E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

শিরোনাম:

শরীয়তপুরে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা, স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

২০১৬ জানুয়ারি ০৫ ১৫:১৮:০৪
শরীয়তপুরে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা, স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

শরীয়তপুর প্রতিনিধি : যৌতুকের জন্য স্বামী ও শ্বশুরবাড়ীর লোকজনের নির্যাতনে শরীয়তপুরে এক গৃহবধুর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৃত্যুর পর নিহত পলি আক্তার (২৫)কে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে গেছে নিহতের স্বামী জাহাঙ্গীর আকন ও তার পরিবার।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও রহস্যজনক কারণে থানায় অপমৃত্যুর মামলা নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ নিহতের স্বজনদের। তদন্তুপূর্বক দোষীদের বিরেুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। অপর দিকে জেলার নড়িয়া উপজেলায় এক স্কুল ছাত্রীর আত্ম হননের খবর পাওয়া গেছে ।

নিহত পলি আক্তারের স্বজন ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি গ্রামের ইব্রাহিম আকনের ছেলে জাহাঙ্গীর আকনের সাথে নড়িয়া উপজেলার গুয়ারা গ্রামের আবুল হাশেম খানের মেয়ে পলি আক্তারের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেল পলির পরিবার। বিয়ের পর থেকে আরও টাকা দাবী করে প্রায়ই পলিকে মারধর করত জাহাঙ্গীর ও তার পরিবার। সর্বশেষ ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে পলির পরিবারের কাছে ১ লক্ষ টাকা দাবি করে জাহাঙ্গীর। ১৫ হাজার টাকা দিতে রাজি হয়েছিল পলির পরিবার। আর এতে মারাত্মক ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার রাতে পলিকে মারপিটের পর অচেতন করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে হত্যা করে । চিকিৎসক পলির মৃত্যু ঘোষনা করলে মঙ্গলবার সকালে পলির মরদেহ হাসপাতালে ফেলে রেখে পলিয়ে যায় জাহাঙ্গীর ও তার পরিবার। পলির ইয়াসির নামে ৬ বছর বয়সের ও ইয়ামিন নামে ৩ বছরের দুইজন পূত্র সন্তান রয়েছে।

নিহত পলির মা বকুল বেগম বলেন, আমরা দরিদ্র মানুষ, মেয়ের সুখের কথা ভেবে হিং¯্র জামাতাকে গত ৮ বছরে অনেক টাকা দিয়েছি। তার পরেও সব সময়ে যৌতুকের জন্য আমার মেয়েটা মারধর করতো। গত ১০ দিন আগে পূনরায় আমার মেয়ের কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করে। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে টাকা দিতে না পারলে পলিকে ওরা মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমরা যৌতুকের টাকা শোধ করতে না পারায় আমার মেয়েটাকে ওরা মেরে ফেলেছে। আমি আমার মেয়ের খুনিদের বিচার চাই।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকার পরেও অপমৃত্যুর মামলা গ্রহনের বিষয়ে জানতে চাইলে শরীয়তপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. এনামুল হক বলেন, এখন অপমৃত্যুর মামলা নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

অপর দিকে জেলার নড়িয়া উপজেলায় মীম আক্তার নামে নবম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী গলায় ওড়না পেচিয়ে ঘরের ফ্যানের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহত মীমের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার রহমতগঞ্জ গ্রামে। মীম শিশুকাল থেকেই নড়িয়া উপজেলার শেহের আলী মাদবর কান্দি গ্রামের নানা আবুল হোসেন মোল্যার বাড়ি থেকে লেখাপড়া করতো। সে এবার নড়িয়া বিএল হাই স্কুল থেকে জেএসসি পাশ করে নবম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছে। ৪/৫ দি পূর্বে মীমের মা এসে তাকে বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে মীম যেতে রাজি হয়নি।

এ কারণে মা শাহানা বেগম মেয়েকে রাগ করেছে। মায়ের সাথে অভিমান করে সোমবার রাতে মীম নানার ঘরের ফ্যানের সাথে গায়ের ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। নড়িয়া থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে ।

(কেএনআই/এএস/জানুয়ারি ০৫, ২০১৬)


পাঠকের মতামত:

০১ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test