E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গোবিন্দগঞ্জে  সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ১০

২০১৬ জুন ০২ ১৭:২৬:১১
গোবিন্দগঞ্জে  সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ১০

গোবিন্দগঞ্জ(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি :গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আবদুল খালেক নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এছাড়া সংঘর্ষে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আরও ১০ জন আহত হয়েছেন।  এসময় দুটি নির্বাচনী কার্যালয়, দোকান ও মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের খামারপাড়া এলাকায় গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুল খালেক গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের মো. চান্দু মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার দিবাগত রাতে সাপমারা ইউনিয়নের নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন সর্দার তার সমর্থকদের নিয়ে মাদারপুর গ্রামে নির্বাচনী প্রচারনা শেষে বাড়ী ফেরার পথে খামারপাড়া বাজারের নিকট পৌছিলে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাকিল আলম বুলবুলের সমর্থকরা তোফাজ্জলের প্রতি চড়াও হন। এক পর্যায়ে উভয়ের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে তোফাজ্জল হোসেন ও শাকিল আলম বুলবুলসহ ১০ জন আহত হন। এসময় উভয়ের নির্বাচনী অফিস ও মোটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে।

গুরুতর আহতদের মধ্যে ছামছুজ্জোহা (৩৫), আবদুল করিম (৩৯), মোখলেছুর রহামান (৪০), কেরামত আলী (৩৮) আবদুল মান্নান (৪০) ও লুৎফর রহমানকে (৪০) উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ ও ঘোড়াঘাটের ওসমানপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এদের মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেনকে পাশ্ববর্তীঘোড়াঘাটের ওসমানপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও শাকিল আলমকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, এ সংঘর্ষের পর বৃহস্পতিবার ভোরে খামারপাড়া এলাকার একটি জমিতে কাঁদামাখা অবস্থায় আবদুল খালেকের লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পায় স্থানীয়রা। সে চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফাজ্জলের সমর্থক ছিল বলে জানা যায়। পরে তারা বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করে। খবর পেয়ে পুলিশ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তার লাশ উদ্ধার গাইবান্ধা মর্গে প্রেরন করে। এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা দুর্গাপুর গ্রামের মাহবুবের পুত্র শামীম নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
গাইবান্ধা পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম দুপুরে ঘটনাস্থলপরিদর্শন করেছেন।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই। তার পরিবার জানায় সে হার্ঠের রোগী ছিল। আবদুল খালেকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।





(এসআরডি/এস/জুন০২,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test