E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

শিরোনাম:

চট্টগ্রামে পাহাড়ের নিচ থেকে বসতি সরাচ্ছে প্রশাসন

২০১৪ জুন ২৫ ১১:৩৫:৩৫
চট্টগ্রামে পাহাড়ের নিচ থেকে বসতি সরাচ্ছে প্রশাসন

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রামনগরীর ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশ থেকে বসবাসকারী লোকজনকে সরিয়ে দেওয়া শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

তিনদিনের প্রবল বর্ষণের পর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মতিঝর্ণা এলাকার পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারি পরিবারগুলোকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

পর্যায়ক্রমে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে বসতি স্থাপনকারী সবাইকে সরিয়ে দেওয়া হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নগরীর ১১টি পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ৬৬৬টি পরিবার বসবাস করছে বলে চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে নগরীর একে খান মালিকানাধীন পাহাড়ে ১৮৬ পরিবার, ইস্পাহানি পাহাড়ের দক্ষিণ পাশে হারুন খানের পাহাড় ও বায়তুন আমান সোসাইটির কাছে পাহাড়ে ৫টি, কৈবল্যধাম বিশ্ব কলোনি পাহাড়ে (পানির ট্যাংক) ২৭টি, লেকসিটি আবাসিক এলাকার পাহাড়ে ১২টি, আকবর শাহ আবাসিক এলাকা পাহাড়ে ২২টি, পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে সিটি কর্পোরেশন পাহাড়ে ১১টি, ফয়েজ লেক আবাসিক এলাকার কাছে পাহাড়ে ৯টি, ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট একাডেমির উত্তর পাশে মীর মোহাম্মদ হাসানের মালিকানাধীন পাহাড়ে ৩৮টি, নাসিরাবাদ শিল্প এলাকা সংলগ্ন পাহাড়ে ৩টি, জালালাবাদ হাউজিং সোসাইটি সংলগ্ন পাহাড়ে ৩৩টি ও মতিঝর্ণা ও বাটালি হিল পাহাড়ে ৩২০টি পরিবার ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এসএম আব্দুল কাদের জানিয়েছেন, ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছিল। কেউ কেউ সরেছেন, অনেকই সরে যাননি। যারা সরেছেন তাদের অনেকে আবার ফেরত এসেছে। তাদের আমরা উচ্ছেদ করে নিরাপদ স্থানে পাঠিয়ে দিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে পাহাড়ে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বসতি স্থাপনকারীদের সরিয়ে দেওয়া হবে।’

নগর পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সহকারি কমিশনার দীপক জ্যোতি খীসা বলেন, সকাল থেকে খুলশী থানার লালখান বাজারের মতিঝর্ণা এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এসএম আব্দুল কাদের। পুলিশের শতাধিক সদস্য এ উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১১ জুন পাহাড় ধসে ১২৭ জন মারা যায়। এর পর পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়। ওই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনেও পাহাড় ধস রোধে এবং ঝুঁকিপূর্ণ বসতি উচ্ছেদে ৩৬ দফা সুপারিশ করা হয়েছিল। সাতবছর পার হলেও সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করতে পারেনি পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি।

(ওএস/এইচআর/জুন ২৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০২ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test