‘২৮ অক্টোবর জানান দিয়েছিল ক্ষমতায় এসে খুন-গুমের রাজ্য কায়েম করবে’

মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমীর ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, সাড়ে ১৫টা বছর তারা জাতির ঘাড়ে বসে সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। দেশটাকে শ্মশান কিংবা গোরস্তানে পরিণত করেছিল। এরা মাঝে মাঝে বলতো দেশে নাকি অনাবিল শান্তি বিরাজ করছে। আমরা বলতাম শান্তি তোমরা কায়েম করেছো কবরের মতো। যেখান থেকে হাসি কিংবা কান্নার শব্দ শোনা যায় না। কবরস্থানে কোন মানুষ থাকে না। হাসি কান্নার আওয়াজ শোনা যায় না। ২৮ অক্টোবর তারা লাশের ওপর নর্দন করেছে। তখনই তারা জানান দিয়েছিল যে ক্ষমতায় এসে খুন-গুমের রাজ্য কায়েম করবে। আমরা সেদিন আমাদের বুকের কান্না বাংলাদেশের মানুষের কাছে হয়তো বা পৌঁছাতে পারিনি। এরপর পেছনে বোঝাপড়া করে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং একটি জগন্য সরকারে হাত ধরে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে তারা জয়লাভ করেছিল। ২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি ক্ষমতায় বসে খুনের নেশা বাস্তবায়নের কর্মসূচি হাতে নেয়।
আজ শনিবার দুপুরে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জামায়াতে ইসলামী মৌলভীবাজার জেলা শাখা আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির দেয়া দীর্ঘ বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহেদ আলীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মো. ইয়ামির আলী, সহকারী সেক্রেটারি হারুনুর রশিদের যৌথ সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, ঢাকা মহানগর উত্তরের আমীর ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর মো. ফখরুল ইসলাম ও সিলেট জেলা আমীর মাওলানা হাবিুবুর রহমান।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হবিগঞ্জ জেলা আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিশে সুরার সদস্য কাজী মাওলানা মুখলিছুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলার সাবেক আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিশে সুরার সদস্য দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিব ও মো: আবদুল মান্নান, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র আহবায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ুন,খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক মাওলানা আবদুস সবুর, মৌলভীবাজার জেলার নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, ছাত্র শিবিরের সিলেট মহানগর সভাপতি শরিফ মাহমুদ, জামাতের পল্টন থানা আমীর শাহীন আহমদ খান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আমিনুল ইসলাম, ছাত্রশিবিরের মৌলভীবাজার শহর শাখার সভাপতি তারেক আজিজ, জেলা সভাপতি হাফেজ আলম হোসাইন প্রমুখ।
এর আগে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে কর্মী সম্মেলন শুরু হয়। সকাল থেকে ঘন কুয়াশা আর শীতের কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে হাজার হাজার কর্মী সমর্থক সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হন। মানুুষের ঢলে সম্মেলনস্থল উপচে আশপাশের রাস্তঘাট মানুষে মানুষে সয়লাব হয়ে যায়। সকাল এগারটার দিকে কিছুটা রোদের দেখা মিললেও কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার মৌলভীবাজারের আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে উঠে। ডাক্তার শফিকুর রহমান বক্তব্য দিতে মঞ্চে উঠেন ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে। দলের আমীর নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম নিজ জেলা মৌলভীবাজারে খোলা মাঠে কর্মী সমাবেশে ভাষণ দিলেন ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে প্রথমে তারা খুন করে সেনাবাহিনীর চৌকস ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে পিলখানায়। ২৫ এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি। দ্ইু মাস না যেতেই তারা খুনের রাজত্ব কায়েম করে। সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে দেয়। বিডিআর বাহিনী ধ্বংস করে সেই বাহিনীর সাড়ে ১৭ হাজার সদস্যকে চাকুরীচ্যুত করলো। সাড়ে ৮ হাজারকে জেলে দিলো। জেলের ভেতর সাড়ে ৩শ’র অধিক মারাই গেল। আমাদের গর্বের বাহিনী ধ্বংস হলো। ক্ষমতায় যাওয়ার শেষ সিড়ি হিসেবে এদের ব্যবহার করে চক্রান্ত করে ধ্বংস করে দিলো। বাহিনীর নাম বদলে বিজিবি রাখা হয়েছে। আগে নাম ছিল বাংলাদেশ রাইফেলস। আর এখন নাম দিয়েছে বর্ডারের চৌকিদার। লগো বদলিয়েছে, ড্রেস বদলিয়েছে, নাম বদলিয়ে ফেলেছে। কারা হত্যাকারী ছিল জাতিকে জানতে দেওয়া হলো না। লুকোচুরি করা হলো। রাতের অন্ধকারে বিদ্যুতের আলো কেড়ে নিয়ে, অন্ধকার করে খুনিদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হলো। একটা বিশেষ দেশের প্লেন কেন এসেছিল ঢাকায়? এরপর হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেল কিভাবে? তার জবাব স্বৈরাচারী সরকাররা না দিলেও একদিন তাদেরকে দিতে হবে। আমরা সেই হত্যাকা-ের বিচার চাই।
তিনি বলেন, এরপর শুরু হলো তাদের তান্ডব। তাদের প্রথম লক্ষ্যবস্তু করলো জামায়াতে ইসলামীকে; যারা পরিক্ষীত দেশপ্রেমিক। তারা তাদের সততায় দেশবাসীকে মুগ্ধ করেছিল। দক্ষতার সাক্ষর রেখেছিলেন। দায়িত্বের পরতে পরতে সেই সমস্ত নেতৃবৃন্দকে ঠা-া মাথায়, মিথ্যা অভিযোগ সাজানো কোর্ট, পাতানো সাক্ষী এবং ব্রাসেলস থেকে রায় এনে সেই সমস্ত নেতৃবৃন্দকে খুন করা হলো, ফাঁসি দেওয়া হলো, কাউকে কাউকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হলো, জেলের ভেতর মৃত্যু করলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা তখন আমাদের বন্ধু সমস্ত রাজনৈতিক সংগঠন গুলোকে বলেছিলাম, এটি জামায়াতের ওপর আঘাত নয়। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের এই বিশাল দেওয়াল ভেঙ্গে দিলে বাকীরা সবাই ভেসে যাবেন, কেউ টিকতে পারবেন না। আমাদের পাশে দাড়ান। ফ্যাসিজমকে সম্মিলিতভাবে আমরা মোকাবেলা করি। আমরা কথাগুলো বুঝাইতে পারি নাই। সবাই মিলে একসাথে সেই যুদ্ধটা করতে পারলাম না। তার পরের ইতিহাস আপনাদের সামনে পরিষ্কার। তারা আর কাউকে ছাড়লো না। এক এক করে সবাইকে ধরলো। বিএনপিকে ধরলো, হেফাজককে ধরলো, আলেম ওলামাকে ধরলো, অন্যান্য দলকে ধরলো। কাউকে তারা ছাড় দিলো না। এমনকি এই যে, সাংবাদিক বন্ধুরা আজকে এসেছে নিউজ কাভার করতে; তাদেরকেও ধরলো। তাদেরকে খুন করলো, তাদেরকে আমাদের সাথে গুম করলো। তাদের আয়না ঘরে পাঠালো, কাউকে কাউকে ভারতের ওপাড়ে বর্ডারে নিয়ে ফেলে দিলো। এভাবে তারা সারাটা দেশকে নরকে পরিণত করেছিল।
ভারতের উদ্দেশ্যে জামাতের এই শীর্ষ নেতা বলেন, প্রতিদেশী দেশকে বলতে চাই, আপনারা শান্তিতে থাকেন। আমাদেরকেও শান্তিতে থাকতে দেন। আপনাদের পাক ঘরে কি পাকাবেন আমরা জিজ্ঞেস করি না। আমাদের পাক ঘরে উকি মারার চেষ্টা করবেন না। নিজেরা আয়নায় চেহারা দেখুন। আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সবক দিতে হবে না। আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যুগযুগ ধরে চলে এসেছে।
(একে/এসপি/ডিসেম্বর ২১, ২০২৪)
পাঠকের মতামত:
- তুমুল সংঘর্ষের পর কক্সবাজার পাকবাহিনীর দখলে চলে যায়
- ধামরাইয়ে যাত্রীবেশে ছিনতাইকালে ৪ জন আটক, গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
- ফরিদপুরে যৌথ অভিযানে দুই চাঁদাবাজ হাতেনাতে গ্রেফতার, কারাদণ্ড
- ধামরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আলী আজগরের পরিবারের পাশে এসডিআই
- রাজবাড়ীতে আ.লীগ-ছাত্রলীগের ৪ নেতা গ্রেফতার
- ‘শেখ মুজিবের করা কালো আইনেই নিষিদ্ধ হতে পারে আ.লীগ’
- মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে চায় সরকার : পার্বত্য উপদেষ্টা
- ফরিদপুরে বিস্ফোরক মামলায় মুক্তিযোদ্ধাসহ আ.লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার
- বিএনপি অফিস ভাঙচুরের প্রতিবাদে ফরিদপুরে মানববন্ধন
- ‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচির ঘোষণা দিলেন হাসনাত
- ‘আ.লীগ সংবিধানকে নিজেদের দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছিল’
- আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে কুষ্টিয়ায় বিক্ষোভ
- ‘বাগেরহাটকে আন্তর্জাতিক পর্যটন হাব প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখছে সরকার’
- বাঘের তাড়া খেয়ে লোকালয়ে হরিণ, উদ্ধার করে সুন্দরবনে অবমুক্ত
- নড়াইলে আউড়িয়া ও মুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার ৪, জেলহাজতে প্রেরণ
- মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারী নিহত
- অবশেষে সেই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
- রাজধানীর ৫ হাজার শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দিলো বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র
- বরিশালে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
- ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ঘিরে সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির টহল বৃদ্ধি
- বরিশালের হত্যা মামলার প্রধান আসামি ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার
- মেগা প্রকল্পের নামে লুটপাট হয়েছে, উন্নয়ন হয়নি
- কাশিমপুর কারাগারে সাবেক মেয়র আইভী
- ‘সরকার নির্বাচন বিলম্বিত করতে চাইছে’
- সোনাতলায় পুলিশের অভিযানে ভিকটিম উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪
- দাবদাহের পর ঈশ্বরদীতে স্বস্তির বৃষ্টি
- গ্যালাক্সি এ০৬ স্মার্টফোন উন্মোচন করল স্যামসাং
- টাঙ্গাইলের পথেঘাটে দীপ্তি ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া
- ঢাকায় সামরিক কর্তৃপক্ষ ১৪৮নং সামরিক বিধি জারি করে
- পঞ্চগড় বৈশাখি লোক নাট্যোৎসবে দ্বিতীয় দিনের পালা 'বাবার শেষ বিয়ে'
- প্রতি লিটার ১৬২.১৯ টাকা দরে পাম অয়েল কিনবে সরকার
- সোনার দামে ফের রেকর্ড, ভরি ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা ছাড়ালো
- ‘চট্টগ্রামের রাজাঘাট এলাকা পাকবাহিনীর দখলে চলে যায়’
- মিশন হেক্সা, আনচেলত্তির সঙ্গে ব্রাজিলের চুক্তি চূড়ান্ত, ঘোষণা শিগগিরই
- জামিন পেলেন মডেল মেঘনা
- অ্যাগুয়েরোর রেকর্ড ভেঙে সবার ওপরে সালাহ
- রাজবাড়ীতে ব্যাটারী চালিত অটোবাইকের নম্বর প্লেট’র ফি কমানোর দাবিতে মানববন্ধন স্মারকলিপি
- বাবাকে কুপিয়ে হত্যার পর পুলিশের কাছে ধরা দিলেন মেয়ে
- ‘মানবিক করিডোর’
- বাংলাবান্ধার জিরো পয়েন্ট এলাকার সৌন্দর্য বর্ধন কাজের উদ্বোধন
- সাতক্ষীরায় ঘেরের জমি লীজ দিতে রাজী না হওয়ায় মালিককে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা
- রাজবাড়ীতে আম পাড়ায় শিশুকে গাছে বেঁধে নির্যাতন
- বাগেরহাটে ৩২৩ মেধাবী শিক্ষর্থীকে সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান
- সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৫ দিন পর মিললো সিরাজুল ইসলামের লাশ
- চিৎমরমে মারমা তরুণ-তরুণীদের উচ্ছ্বাসে চলছে সাংগ্রাইয়ের প্রস্তুতি