E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

বৈষম্যের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বন্দোবস্ত হচ্ছে : মোমিন মেহেদী

২০২৫ অক্টোবর ২৪ ১৮:৩১:১২
বৈষম্যের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বন্দোবস্ত হচ্ছে : মোমিন মেহেদী

স্টাফ রিপোর্টার : নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, জুলাই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে বৈষম্যের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বন্দোবস্ত হচ্ছে। আজ জাতি দেখছে- নীতিকথা বলা লোকগুলো বৈষম্যের রাঘব-বোয়ালে পরিণত হয়েছে মাত্র ১৩ মাসে। আজ শুক্রবার সকালে ২৭/৭ তোপখানা রোডস্থ বিজয় মিলনায়তনে প্রধান উপদেষ্টাসহ সকল উপদেষ্টার ব্যর্থতার খতিয়ান প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।

নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির যুগ্ম মহাসচিব ওয়াজেদ রানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যকালে মোমিন মেহেদী আরো বলেন, বাংলাদেশে শান্তিতে হাফ নোবেলজয়ী ড. ইউনূস স্বাধীনতা বিরোধীদেরকে রাজনৈতিকভাবে পৃষ্টপোষকতাই শুধু দিয়েছেন, কিন্তু দেশে শান্তি ফেরাবার জন্য মববাজদেরকে আইনের আওতায় আনেননি, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখবার জন্য কোনো বিশেষ পদক্ষেপ নেননি। কারণ তিনি ক্ষমতায় এসেছেন তার নাগরিক শক্তিকে যে জনগণ প্রত্যাখান করেছিলো, সেই জনগণের উপর প্রতিশোধ নেয়ার লক্ষ্যে। যে কারণে তিনি এবং তার সরকার ধর্মীয় উম্মাদনা, সহিংসতা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-দুর্নীতিকে উসকে দিচ্ছেন। এতে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান চন্দন সেনগুপ্ত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। নেতৃবৃন্দ এসময় ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন না দিয়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, দুর্নীতি বৃদ্ধি, সন্ত্রাস-খুন-ধর্ষণ-সন্ত্রাস-দখল বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার দায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দেয়ার পাশাপাশি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়-এও সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেন।

এসময় মোমিন মেহেদী ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদকে অর্থ মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়; ড. আসিফ নজরুলকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; মোঃ তৌহিদ হোসেনকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়; আদিলুর রহমান খানকে শিল্প মন্ত্রণালয়; গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; আলী ইমাম মজুমদারকে খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়; অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়; মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়; সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়; আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; ফারুক ই আজম, বীর প্রতীককে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়; ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনকে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, নূরজাহান বেগমকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়; অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়; ফরিদা আখতারকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়; শারমীন এস মুরশিদকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়; ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেনকে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়; সুপ্রদীপ চাকমাকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়; শেখ বশিরউদ্দীনকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়; মোঃ মাহফুজ আলমকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়; মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সকল ব্যর্থতার দায় নিতে হবে। কারণ তারা রাজনৈতিক বিবেচনায় এসব মন্ত্রণলায়ের সকল রকম কর্মকাণ্ডকে ভাগবাটোয়ারার পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। যা শুধু দেশেরই ক্ষতি নয়; দেশের সকল নাগরিকের সীমাহীন ক্ষতি।

(এস/এসপি/অক্টোবর ২৪, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

২৪ অক্টোবর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test