E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

‘তরুণ প্রজন্ম ভিনদেশিদের দাদাগিরি মেনে নেয়নি, নেবে না’

২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ১৩:০০:৫২
‘তরুণ প্রজন্ম ভিনদেশিদের দাদাগিরি মেনে নেয়নি, নেবে না’

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ভারত আমাদের স্বাধীনতা ছিনতাই করে নিয়ে এদেশের সম্পদ লুটপাট করে নিয়েছে। তারা চেয়েছে এবং চায় তাদের সেবাদাস সরকার দ্বারা বাংলাদেশ পরিচালিত হোক। কিন্তু বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম ভিনদেশিদের দাদাগিরি মেনে নেয়নি, নেবে না।

তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিনতাই করে নিজেদের স্বাধীনতা দাবি করে, তারা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে না, বিশ্বাস করে না। দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে বাংলাদেশের জনগণ। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের দিনে পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশের কাছে আত্মসমর্পণ না করে ভারতীয় বাহিনীর কাছে কেন আত্মসমর্পণ করেছিল? কেন সেদিন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীকে সেখানে রাখা হয়নি? এর একমাত্র কারণ ভারত চায়নি এবং চায় না বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ৫৫তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে শহীদ ও আহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, চব্বিশের জুলাই বিপ্লবে কেবল আওয়ামী লীগ ক্ষমতাই হারায়নি বরং আধিপাত্যবাদ পরাজিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে লুট হওয়া আমাদের স্বাধীনতা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা ফিরিয়ে এনেছে। এজন্য পরাজিত আধিপাত্যবাদের সহযোগিতায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ জুলাই যোদ্ধাদের টার্গেট করে হত্যার ছক কষছে। এরই অংশ হিসেবে ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। ওসমান হাদিকে গুলি করার অর্থ প্রতিটি জুলাই যোদ্ধার মাথায় গুলি করা। বিপ্লবী তরুণেরা পরাজিত শক্তির কাছে মাথা নোয়াবে না। আধিপাত্যবাদের দোসর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের কবর রচনা করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমেই জাতি স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ উপভোগ করবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ভারত আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেছিল নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য। তারা বন্ধু বেশে আমাদের শোষণ করেছে। আমাদের ভূখন্ডের সমস্ত সম্পদ এমনকি রেললাইনের নাট-বল্টু তারা লুট করে নিয়েছিল। যেটি মেজর জলিল নিজের লেখা বইতে উল্লেখ করে গেছেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর আওয়ামী লীগের চেয়েও বেশি মাথা খারাপ হয়ে গেছে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের। এত উন্নয়ন করলে পালানোর কারণ কী প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আসলে কোনো উন্নয়ন নয় বরং দুর্নীতি আর লুটপাটের মহোৎসব চলছিল বিগত ১৫ বছর। পালিয়ে যাওয়া নেতৃত্ব বা দল দেশপ্রেমিক নয় বরং যারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছে তারাই দেশপ্রেমিক।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা শহীদ মীর কাসেম আলী বিদেশে থাকাকালীন যখন অন্য নেতাদের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করেছিল তখন তিনি দেশে আসতে চাইলে তাকে বলা হয়েছে আপনি দেশে আসলে আপনাকেও আটক করবে। তিনি বলেছিলেন আমি কোনো অন্যায় করেনি। আমাকে আটক করে জেল-জুলুম-নির্যাতন করলেও আমি দেশে আসবোই। তিনি দেশে আসলেন, তাকেও আটক করা হয় এবং আওয়ামী লীগের ক্যাঙ্গারু কোর্টে অন্যান্য নেতাদের মতো তাকেও বিচারিক হত্যার শিকার হতে হয়েছে। জামায়াতে নেতারা বিদেশে পালিয়ে যায়নি বরং দেশে এসে জীবন দিয়েছে। যারা দেশের জন্য জীবন দেয় তারাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক। যারা পালিয়ে যায় তারা দেশপ্রেমিক নয় বরং তারা অপরাধী।

(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test