E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

রাশিয়ার জন্য ২০২৬ বিশ্বকাপ হতে পারে যুদ্ধ বন্ধের ‘প্রণোদনা’

২০২৫ মে ০৭ ১৫:৩১:২২
রাশিয়ার জন্য ২০২৬ বিশ্বকাপ হতে পারে যুদ্ধ বন্ধের ‘প্রণোদনা’

স্পোর্টস ডেস্ক : ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার সুযোগ রাশিয়ার জন্য ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের একটি কার্যকর "প্রণোদনা" হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের পর থেকে দেশটির জাতীয় ফুটবল দলকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা ও উয়েফা।

ফলে বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৬ বিশ্বকাপে রাশিয়ার খেলার কোনো সুযোগ নেই।

তবে সম্প্রতি ট্রাম্প তার প্রশাসনের ২০২৬ বিশ্বকাপ প্রস্তুতি টাস্কফোর্সের প্রথম বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, রাশিয়ার জন্য বিশ্বকাপের মঞ্চ হতে পারে যুদ্ধ বন্ধের একটি রাজনৈতিক প্রণোদনা।

বিশ্বকাপের মঞ্চে শান্তির বার্তা?

ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর পাশে বসে ট্রাম্প বলেন, “আমি জানতাম না রাশিয়া নিষিদ্ধ। এটা তো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ”

ইনফান্তিনো উত্তরে বলেন, “হ্যাঁ, আপাতত তারা নিষিদ্ধ। তবে আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে শান্তি আসবে, এবং তখন রাশিয়াও খেলায় ফিরতে পারবে। ”

ট্রাম্প বলেন, “হতে পারে, এটা ভালো একটি প্রণোদনা—আমরা চাই যুদ্ধ থামুক। প্রতি সপ্তাহে প্রায় পাঁচ হাজার তরুণ নিহত হচ্ছে। এটা যেন বিশ্বাসই করা যায় না। ”

এর আগে, নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে জিতলে অফিসে প্রথম দিনই ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন তিনি।

বিশ্বকাপ শেষে সবাইকে ফিরতে হবে: ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স

বিশ্বকাপ উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে আসা লাখ লাখ দর্শনার্থীর প্রতি এক সতর্কবার্তা দিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স।

তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে সমর্থকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। তবে খেলা শেষ হলে সবাইকে নিজের ঘরে ফিরে যেতে হবে। ”

২০২৬ বিশ্বকাপের ১০৪টি ম্যাচের মধ্যে ৭৮টি অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রে। আয়োজক দেশ হিসেবে ভিসা প্রক্রিয়া ও নিরাপত্তা প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এরই মধ্যে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম বলেন, “ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ উপলক্ষে আমরা ভিসা প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এটি মূল বিশ্বকাপের প্রস্তুতিরই অংশ। ”

বিশ্ব ট্যুরিজম ফোরাম ইনস্টিটিউট ইতিমধ্যে সতর্ক করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অভিবাসন নীতি এবং বৈশ্বিক রাজনৈতিক উত্তেজনা দর্শনার্থীদের আগমনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।

(ওএস/এএস/মে ০৭, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test