E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

শিরোনাম:

নওগাঁয় জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট

২০১৪ সেপ্টেম্বর ২৮ ১৬:৫৩:১২
নওগাঁয় জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট

নওগাঁ প্রতিনিধি : পবিত্র ঈদ উল আযহাকে সামনে রেখে দেশী বিদেশী ছোট বড় নানা ধরনের পশুর সমাহারে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন পশুর হাট জমে উঠেছে । নওগাঁ জেলার বিভিন্ন পশুর হাটের পাশাপাশি জেলার সিমান্তবর্তী সাপাহার উপজেলার সাপাহার সদর হাট, উমইল হাট, আশড়ন্দ হাট, মধুইল হাট, দীঘির হাটের গো-হাটগুলিতে পশু  ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমে পশুহাটিতে যেন তিল ধারনের ঠাঁই নাই। হাটে প্রবেশ করাই দুরহ ব্যাপার হয়ে পড়েছে। প্রত্যেক হাটে পশুর আমদানীও হচ্ছে প্রচুর। বেশীর ভাগ পশুই ভারত থেকে আমদানী করা। এবার দামও রয়েছে ক্রেতাদের নাগালে মধ্যে।

জেলার বিভিন্ন হাটে সরেজমিনে ঘুরে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫০হাজার থেকে পৌনে ২ লাখ টাকায় বিদেশী ষাঁড় কেনা-বেচা হতে দেখা গেছে। বাজার গুলোতে বড় পশুর দাম ছোট পশুর তুলনায় একটু হলেও কম। হাটগুলিতে আমদানীকৃত পশুর মধ্যে বেশির ভাগই ভারত থেকে আমদানী করা। এবারে কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার চোরাকারবারীরা বহু আগে থেকেই বেশ তৎপর ছিল ভারত থেকে পশু আমদানীতে। সে হিসেবে তারা জেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রচুর পরিমান পশু আমদানী করে। গরু ব্যবসায়ী এস্তাব আলী জানান, গত বছরের তুলনায় এবারে লাভ অনেকটাই কম। কারন এবারে গরুর আমদানী বেশী।

গত বছরের তুলনায় একই ধরনের গরু কিনতে এবার কমপক্ষে ২থেকে আড়াই হাজার টাকা কম দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে। গরুর বাজার তুলনামুলক কম হওয়ায় জেলার বিভিন্ন এলাকার গরু পালনকারীরা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, দ্রব্যমূল্য উর্ধগতির বাজারে গরু পালন করে এবারে আমাদের লোকসান গুনতে হয়েছে। কারন হিসেবে তারা উল্লেখ করেন, বাজারে গো-খাদ্যের মূল্য অনেক, একটি গরুর পিছনে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে, এখন সে গরুটি বিক্রি করতে গিয়ে তার দাম পাওয়া যাচ্ছেনা। ভারত থেকে অধিক পরিমান গরু আমদানীকেই এ জন্য দায়ী করছেন তারা।

স্থানীয় গরু পালনকারী সুলতান জানান, দীর্ঘ দিন বাড়িতে প্রতিপালন করে যে গরুটির মূল্য পাওয়া যেত ৭০হাজার টাকা, বর্তমানে বাজারে গরুর আমদানী বেশী হওয়ায় সেটি বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৫৫থেকে ৬০হাজার টাকায়। এতে হালকা লোকসান গুনতে হচ্ছে গরু পালনকারীদের। গরু পালন করে লাভ কম-বেশী যাই হোক, এবারে গরুর বাজার তুলনা মুলক কম হওয়ায় ভাগে হলেও এলাকার সাধারন পরিবারগুলি কোরবানী দিতে পারবে বলে লোকজন মনে করছেন। সে হিসেবে এবারে জেলায় গত বছরের তুলনায় কোরবানীর সংখ্যা কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পাবে।

(বিএম/এএস/সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০২ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test