E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

‘সরকারি সংস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে ভোগান্তি কমবে’

২০২৩ নভেম্বর ২৬ ০০:০৯:৪৯
‘সরকারি সংস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে ভোগান্তি কমবে’

স্টাফ রিপোর্টার : সরকারের সংস্থাগুলোতে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে জনগণের ভোগান্তি কমবে বলে মত প্রকাশ করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন। শনিবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত স্মার্ট এসএমইদের জন্য তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট সরকারের পাশাপাশি স্মার্ট ইকোনোমি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের সংস্থাগুলোতে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে জনগণের ভোগান্তি ও ব্যয় কমবে। এর পাশাপাশি সেবার মানও বৃদ্ধি পাবে।

তিনি বলেন, এসএমই খাতে যথাযথ তথ্য প্রাপ্তির বিষয়টি এ খাতের সম্প্রসারণে কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণের একান্ত অপরিহার্য। এসএমই উদ্যোক্তারা আমাদের অর্থনীতি ও জিডিপিতে সবচেয়ে বেশি হারে অবদান রেখে আসছে। তাই তাদের উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরনের কোনো বিকল্প নেই।

মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয়, জ্বালানি সক্ষমতাসহ অন্যান্য সূচকে আমাদের উন্নয়ন হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে দেশের বেসরকারিখাত। আমাদের এসএমই উদ্যোক্তারা সবচেয়ে বেশি সাহসী এবং নানা প্রতিকূলতা মেকাবিলা করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এমতাবস্থায় এ খাতের উদ্যোক্তাদের তথ্য-প্রযুক্তিখাতে সক্ষমতা বাড়ানো গেলে অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন আনায়ন সম্ভব। প্রযুক্তি গ্রহণে ভয়-ভীতি দূরীকরণের ওপর তিনি জোরারোপ করেন । তিনি আরও বলেন, সরকারি-বেসরকারি খাতের যৌথ সমন্বয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কপোরেশন (বিসিক) চেয়ারম্যান মুহ. মাহবুবর রহমান বলেন, সারাদেশে আমাদের ৮৫টি কার্যালয় ও প্রায় ১০০ কোটি টাকার পুণঃঅর্থায়ন স্কিম রয়েছে। এখান থেকে এসএমই উদ্যোক্তাদের ৫ শতাংশ হারে ঋণ সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। আমাদের এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে বিসিক নানাবিধ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বলে তিনি অভহিত করেন।

জিবিএল ফিনটেক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুর রহমান সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এন্টারপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট’ এবং ‘গ্লোবাল ইনোভেশন’ সূচকে বাংলাদেশ যথাক্রমে ৮৪ ও ১০৫তম স্থানে রয়েছে। তাই এ ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। প্রযুক্তির সীমিত ব্যবহার, আর্থিক সহায়তার সীমাবদ্ধতা এবং দক্ষতার অভাব আমাদের এসএমই খাতের উন্নয়নে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। এসএমই খাতে প্রযুক্তিবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের ওপর তিনি জোরারোপ করেন।

তিনি বলেন, উচ্চ কর ও শুল্ক হার, টেকনোলোজি বিষয়ক ‘নো-হাউ’ পিছিয়ে থাকা, সক্ষমতার অভাব, প্রযুক্তিগত বিনিয়োগের উচ্চমূল্য, তথ্য সুরক্ষা, সাইবার সিকিউরিট এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা প্রভৃতি বিষয়সমূহ আমাদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। আমাদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ‘স্মার্ট এসএমই’ তে রূপান্তরের লক্ষ্যে নীতিমালার সংস্কার ও সহায়ক নতুন নীতিমালা প্রণয়নের তিনি জোরারোপ করেন। এছাড়াও এসএমইদের সহজশর্তে ঋণ সহায়তা প্রাপ্তির পরিবেশ উন্নয়নে সকলকে এগিয়ে আসার প্রস্তাব করেন।

সেমিনারের নির্ধারিত আলোচনায় সেবা প্ল্যাটফর্ম লিমিটেড’র কো-ফাউন্ডার ইলমুল হক সজীব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলোজি’র অধ্যাপক ড. বি মাইনুল হাসান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বক্তব্য দেন।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ২৬, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

৩১ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test