E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

‘চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির হৃৎস্পন্দন’

২০২৫ মে ১৪ ১৩:১৬:৩২
‘চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির হৃৎস্পন্দন’

স্টাফ রিপোর্টার : চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির হৃৎস্পন্দন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার চট্টগ্রাম বন্দরকে বিশ্বমানের করতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বন্দর পরিচালনা কোম্পানিগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

বুধবার (১৪ মে) চট্টগ্রাম সফরের শুরুতেই নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান। সেখানে তাকে বন্দরের সক্ষমতা সম্পর্কে ব্রিফ করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটা আমাদের জন্য এক বিশাল সুযোগ হবে। সরকার তার পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশের অর্থনীতি উন্নত হবে এবং হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিকে যদি পরিবর্তন করতে হয়, তবে চট্টগ্রাম বন্দরের ওপরই আমাদের ভরসা। একে ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।

চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটি বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃদয়। যদি হৃদয় দুর্বল হয়, তবে কোনো চিকিৎসকই একে ভালোভাবে চালাতে পারবে না। এজন্যই আমাদের এটিকে বিশ্বমানের করতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, পূর্বেও (আন্তর্জাতিক বন্দর পরিচালনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে) ডাকা হয়েছিল, কিন্তু কোনো বাস্তব অগ্রগতি হয়নি।

‘এই হৃদয়কে প্রতিবেশীদের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। আমি এজন্য নেপাল ও ভারতের সাত বোন (উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্য) নিয়ে বলেছি। তারা যদি এর সঙ্গে যুক্ত হয়, তারা যেমন উপকৃত হবে, তেমনি আমরাও। আর যারা যুক্ত হবে না, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ যোগ করেন তিনি।

শৈশবে চট্টগ্রাম বন্দর ঘিরে নিজের স্মৃতিচারণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর আমার কাছে নতুন নয়। শৈশব থেকেই এর সঙ্গে পরিচিত। এ বন্দর অনেক পরিবর্তিত হয়েছে, তবে দুঃখের বিষয়—এ পরিবর্তনের গতি ধীর। আমি যখন সুযোগ পেয়েছি, তখন থেকেই ভাবছিলাম কী করা যায়।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ব অনেক এগিয়ে গেছে, কিন্তু আমরা অনেক পিছিয়ে রয়েছি। কেউ এই বন্দরের উন্নয়ন নিয়ে ভাবে না। এজন্যই আমি পরিবর্তনের কথা বলেছি। আমি বলেছি, বন্দরের পরিচালনার দায়িত্ব বিশ্বের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিতে হবে। আশা করি সবাই এটি বুঝবে।

নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টার আগ্রহের প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ঘিরে কয়েকটি নতুন টার্মিনাল নির্মিত হলে কনটেইনার জট অনেকটা কমে যাবে। আমি আশা করি, ছয় মাসের মধ্যেই আপনারা এর পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান বন্দরের আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক বাণিজ্যের ৯২ শতাংশ এই বন্দর দিয়ে পরিচালিত হয় এবং তার ৯৮ শতাংশই নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল দিয়ে হয়।

তিনি বলেন, বর্তমানে এই বন্দরের কোনো কার্যকর বিকল্প নেই। তবে প্রাকৃতিক কারণে ২০০ মিটারের বেশি দীর্ঘ জাহাজ এই বন্দরে নোঙর করতে পারে না। এর ফলে বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়—যা বিশ্বব্যাংকের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে।

(ওএস/এএস/মে ১৪, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

৩১ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test