E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

জানুয়ারিতে ঢাকা বাণিজ্য মেলা, শিগগিরই শুরু স্টল বরাদ্দ কার্যক্রম

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১৪:২৮:০৬
জানুয়ারিতে ঢাকা বাণিজ্য মেলা, শিগগিরই শুরু স্টল বরাদ্দ কার্যক্রম

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর পূর্বাচল নিউটাউনে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে আগামী বছরের জানুয়ারির ১ তারিখে শুরু হবে ঢাকা বাণিজ্য মেলার ৩০তম আসর। এ লক্ষ্যে শিগগিরই স্টল বরাদ্দ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মেলা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

তারা জানান, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হলেও জানুয়ারির ১ তারিখে ঢাকা বাণিজ্য মেলা শুরু করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

চলতি বছরের জানুয়ারির ১ তারিখ ২৯তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত বছরের ১ নভেম্বর মেলার স্টল বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশ করে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। গতবারের মেলায় ৩৬২টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন ছিল, যার মধ্যে ৩৫১টিই দেশিয় প্রতিষ্ঠানের স্টল।

এদিকে আগামী বছরের জানুয়ারিতে মেলা করার প্রস্তুতির কথা জানিয়ে ইপিবির পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মাহমুদুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে মেলা শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ওই তারিখ থেকেই মেলা শুরু করা পরিকল্পনা আছে। স্টল বরাদ্দ ও অন্যান্য কার্যক্রম দ্রুতই শুরু হয়ে যাবে।

ইপিবির মেলা এবং প্রদর্শনী বিভাগের দায়িত্বে থাকা এই কর্মকর্তা বলেন, বাণিজ্য মেলা আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম এটা জানুয়ারিতেই হবে। সেইম ডেট, সেইম ভেন্যুতে বাণিজ্য মেলা হবে।

দেশিয় পণ্যের প্রচার, প্রসার ও বিপণনের পাশাপাশি এসব পণ্যের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ১৯৯৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার আয়োজন করছে বাংলাদেশ। মেলার যৌথ আয়োজক প্রতিবারই থাকছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।

পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে চতুর্থবারের মতো বাণিজ্য মেলা হয়েছে। তবে এবার নাম বদলে ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা’ হচ্ছে, ‘ঢাকা বাণিজ্য মেলা’।

গত ১৮ আগস্ট ইপিবির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। মেলার নাম পরিবর্তনের বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দেশি-বিদেশি ক্রেতা-বিক্রেতা নিয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আয়োজনের লক্ষ্য ছিল বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন এবং স্থানীয় বাজারের সঙ্গে তাদের পরিচিত করানো। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান দূতাবাস বা সরকারি প্রতিনিধিদলের মাধ্যমে অংশগ্রহণ না করে স্থানীয় এজেন্ট বা ব্যক্তির মাধ্যমে অংশ নিচ্ছে। ফলে পণ্য ও সেবার মান যাচাই করা যাচ্ছে না। অনেক সময় মানহীন বা স্থানীয়ভাবে বিদেশি ব্র্যান্ড নামেও উপস্থাপন করা হচ্ছে। বিদেশি ব্র্যান্ড বা উৎপাদকেরা সরাসরি না থাকায় ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন। প্রদর্শনীর আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এমন এক বাস্তবতায় মেলার নাম বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test