E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় কমেছে ৪.৬১ শতাংশ

২০২৫ অক্টোবর ০৬ ০০:৫৮:০৬
সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় কমেছে ৪.৬১ শতাংশ

স্টাফ রিপোর্টার : সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় কমেছে। গত মাসে বিদেশের বাজারে প্রায় ৩৬২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছেন দেশের উদ্যোক্তারা। এ আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৭ কোটি ৫৩ লাখ ডলার বা ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ কম।

২০২৪ সালে সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৩৮০ কোটি ২৮ লাখ ডলারের বেশি। রবিবার (৫ অক্টোবর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত রপ্তানির হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাস (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রপ্তানি আয় বেড়েছে ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে রপ্তানি হয়েছে এক হাজার ২৩১ কোটি ডলারের পণ্য। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল এক হাজার ১৬৫ কোটি ডলার।

প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক খাতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। রপ্তানি কমেছে ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এছাড়া কৃষি পণ্যে ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং প্লাস্টিক পণ্যে ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির দেখা পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে আলোচ্য সময়ে প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। সেই সঙ্গে কার্পেট রপ্তানি ২১ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং হিমায়িত মাছ রপ্তানি ১২ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

পোশাকে শুল্কের ধাক্কা
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ধাক্কার প্রভাবে গত সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা দেশের সামগ্রিক রপ্তানি আয়েও প্রতিফলিত হয়েছে।

এ ব্যবসায়ী নেতা জানান, তৈরি পোশাক খাতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে, কারণ বেশির ভাগ ক্রেতাই নতুন করে কোনো ক্রয়াদেশ দিচ্ছেন না। তারা এখন অতিরিক্ত ২০ শতাংশ রেসিপ্রোক‍্যাল শুল্কের একটি অংশ বাংলাদেশি সরবরাহকারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। রপ্তানিকারকদের পক্ষে এ অতিরিক্ত চাপ বহন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কারণ তারা এরই মধ্যে প্রাথমিক শুল্ক সমন্বয় এবং উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির প্রভাবসহ বিভিন্ন ধরনের চাপে রয়েছেন।

এছাড়া, বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং অন্যান্য বাজারেও কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে। কারণ চীনা ও ভারতীয় প্রস্তুতকারকরা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এসব বাজারে রপ্তানি বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যোগ করেন বিকেএমইএ সভাপতি।

হাতেম বলেন, ‘আমরা আশঙ্কা করছি, এ ধীরগতি আগামী দুই থেকে তিন মাস অব্যাহত থাকতে পারে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা নতুন শুল্ক কাঠামোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারলে, আমাদের রপ্তানি আবারও পুনরুদ্ধার হবে বলে আশা করছি। এ সময়টায় রপ্তানিকারকদের ধৈর্য্য সহকারে ক্রেতাদের যেকোনো ধরনের চাপ মোকাবিলা করতে হবে।’

(ওএস/এএস/অক্টোবর ০৬, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০৬ অক্টোবর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test