E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

বাংলাদেশে কানাডার বিনিয়োগের পরিমাণ ১৩২.৮৩ মিলিয়ন ডলার

২০২৫ নভেম্বর ২৪ ১৬:৫১:২৬
বাংলাদেশে কানাডার বিনিয়োগের পরিমাণ ১৩২.৮৩ মিলিয়ন ডলার

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী এবং কানাডার সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডেপুটি মিনিস্টার (ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড) ও চিফ ট্রেড কমিশনার সারা উইলশো-এর মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২৩ নভেম্বর) ডিসিসিআই এর গুলশান সেন্টারে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং এসময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে দুই দেশের ইতিবাচক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রসঙ্গে ডিসিসিআই এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী বলেন, ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২ দশমিক ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যেখানে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৯০১ দশমিক শূন্য ৯ এবং ১ দশমিক ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তিনি উল্লেখ করেন, কানাডা বাংলাদেশের ২০তম বৃহত্তম বৈদেশিক বিনিয়োগকারী দেশ এবং এদেশে বর্তমানে কানাডার মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ১৩২ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

তিনি আরও বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সবুজ প্রযুক্তি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসা সরঞ্জাম, আর্থিক সেবা, তথ্য-প্রযুক্তি ও ডিজিটাল অবকাঠামো, স্মার্ট লজিস্টিকস পরিষেবা ও কোল্ডচেইন ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে কানাডিয়ান উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।

এর পাশাপাশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হস্তশিল্প, সাইকেল, তৈরি পোষাক, সিরামিকস, ফার্নিচার, ওষুধ, প্রক্রিয়াজাত ও হিমায়িত খাদ্যপণ্য, সফটওয়্যার এবং বিপিও সেবা প্রভৃতি পণ্য বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে আমদানির আহ্বান জানান ঢাকা চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী।

বৈঠকে কানাডার সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডেপুটি মিনিস্টার (ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড) ও চিফ ট্রেড কমিশনার সারা উইলশো বলেন, কানাডায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই এসএমই। কানাডার মোট রপ্তানির প্রায় ৭৫ শতাংশ এবং কানাডা থেকে অধিকাংশ এফডিআই যুক্তরাষ্ট্রমুখী, একইভাবে কানাডাও যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবচেয়ে বেশি এফডিআই পেয়ে থাকে, তবে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা বজায় রাখতে রপ্তানি, রপ্তানির বাজার ও পণ্যে বৈচিত্র্য আনাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, কানাডা শিক্ষাখাতে শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে এবং বাংলাদেশ থেকে বহু শিক্ষার্থী কানাডায় পড়াশোনা করেন। শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন খাতে উভয় দেশেরই একসঙ্গে কাজ করার সমান সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, অটোমোটিভ শিল্প ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতেও কানাডার প্রশংসনীয় সক্ষমতা রয়েছে, এছাড়া কানাডা বাংলাদেশকে বৈশ্বিকভাবে আরও প্রতিযোগিতামূলক হতে সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করতে চায়। বর্তমানে কানাডার অটোমোটিভ খাত নতুন বাজার খুঁজছে, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় বাজার হতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং এ সময় বলেন, দুই দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে হলে দুদেশের বাণিজ্য সংগঠনগুলোর যোগাযোগ বাড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের বেসরকারিখাতই এই দেশের প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তি এবং কানাডা বাংলাদেশে বাণিজ্য বাড়াতে অত্যন্ত আগ্রহী।

তিনি বলেন, আমরা দক্ষতা উন্নয়ন, কারিগরি সহায়তা, ভোকেশনাল ট্রেনিং, নার্সিং, অ্যাগ্রো-টেক শিল্প, ইজ অব ডুয়িং বিজনেস প্রভৃতি খাতে বাংলাদেশে কাজ করতে চাই। ভবিষ্যতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও উচ্চপর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়াও, ডিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. সালেম সোলায়মান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা এবং কানাডার হাইকমিশনের কাউন্সিলর ও সিনিয়র ট্রেড কমিশনার ডেবরা বয়েস প্রমুখ বৈঠকে যোগ দেন।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ২৪, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

২৪ নভেম্বর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test