নিষিদ্ধ কথা
মীর আব্দুল আলীম
আমার পাড়ার জমসেদ চাচা বাড়ি থেকে বেড়িয়েই লেগুনাতে করে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। তিনি লক্ষ করলেন ঐ পরিবহনের নাম্বার প্লেটটিই নেই। এ কথা বলতেই পুচকে হেলপারের (৯/১০ বছরের) নিষিদ্ধ কথা- “বালা লাগলে ওডেন, নাইলে ফুডেন”। নিষিদ্ধ যানটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিশ্বরোডে (রূপগঞ্জ) যেতেই ট্রাফিক সার্জন হাত বাড়ালেন। ১৩/১৪ বছরের ড্রাইভার দৌঁড়ে গিয়ে কি যেন গুঁজে দিলো তাঁর হতে। নিষিদ্ধ ড্রাইভারে নিষিদ্ধ দাওয়াইয়ে মহাখুশি হয়েই এ যাত্রায় ছেড়ে দিলেন টাফিক সার্জন মহোদয়! চাচা বে-উপায় নিষিদ্ধ পরিবহন জনেও অগত্যা ঐ যানে চড়েই নিষিদ্ধ কাজটি করলেন সাতসকালে।
পাশের বাড়ির এক নেতা কিছিমের প্রতিবেশি চাচার জমিটা খাড়া দলিল করে বেঁচে দিয়েছেন এক শিল্পপতির কাছে। এই ঝগড়া করতে গিয়েই সেদিন রান্নাবান্না কর হয়নি চাচার। চাচার বউটা (চাচি) অসুস্থ্য নিষিদ্ধ ভেজাল খাবার খেয়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাই রান্নাবান্নার কাজটা চাচাকেই সারতে হয়। নিষিদ্ধ লেগুনাটা যখন মহাসড়কের তারাব বিশ্ব রোড এলো নেমেই চাচা আমার দুপুরের জন্য কিছু হালকা খাবার কিনতে রাস্তার পাশের নিষিদ্ধ দোকানে এলেন। ৮০ বছরের দোকানী নীল নিষিদ্ধ পলিথিনে ভরে পাউরুটি আর কেঁক চাচার হাতে গুঁজে দিলেন। বেচারা দোকানীর ছেলে আছে আধা ডর্জন; মেয়ে দু’জন। ছেলেরা বিয়েসাদী করে যে যার মতো আছে বেশ, বৃদ্ধ বাবার খবর রাখেনা কেউ। স্ত্রী কিডনি রোগে পরলোকগত হয়েছেন বছর ছয়েক আগে। তাই রাস্তার পাশে অনেক নিষিদ্ধ দোকান থাকলেও জমসেদ চাচা তাঁর দোকান থেকেই টুকটাক মালছামান কিনেন।
দিনটা ছিলো শুক্রবার, কারখানার পণ্যোর চাহিদা অনেক তাই বন্ধের দিনও ছুটি মেলেনি চাচার। প্রতিষ্ঠানটি মাঝে মধ্যেই ছুটির দিনে চাচার মতো অনেক শ্রমিক কর্মচারিকে খাটিয়ে নিলেও ওভারটাইম দেয় না। মালিকের নিষিদ্ধ কথা বিপদর সময় তোমাদের কাছে না পেলে কি চলে? মিষ্টি কথা আর চাকুরী যাবার ভয়ে নিষিদ্ধ সময়েও চাচাকে ডিউটি করতে হয়। অন্যদিন ১২ থেকে ১৬ ঘন্টা এ কারখানায় ডিউটি করলেও বিনে পয়সায় শুক্রবারে ৮ ঘন্টা কাজ করিয়ে নেন নিষিদ্ধ মালিক। টাকা পয়সা না দিলেও সেদিন কিন্তু বিকেলে কিছু নাস্তা পান শ্রমিক কর্মচারিররা। পোড়া তেলে ভাঁজা দু’পিস আলুপুরি আর কনডেন্স মিল্কের চা দেয়া হয় সেদিন। ওভারটাই পাবেন না জেনেও মহাখুশিতে সেদিন চাচা কর্মস্থলে গেছেন। কারন একটাই, তিন মাস পর বেতন পাচ্ছেন তিনি। মালিকপক্ষ বেশ চতুরকিছিমের লোক বলতে হয়। কর্মের জন্য নিষিদ্ধ দিনটাকেই বেঁছে নিয়েছেন বেতন দেবার জন্য, যাতে গোবোঁচার শ্রমিকরা কর্মস্থলে আসে ঠিকঠাক মতো।
অনেক আগের কথা। তখন থাকতাম রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে। ছোট ছেলে বায়না ধরেছে বাজারে যাবে বলে। বাইরে বৃষ্টি ঝরছে। কাক ভেজা করে ছেলেকে নিয়ে যাই রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে। কেনা কাটার এক পর্যায়ে নোনা ইলশে বিক্রেতা নীল একটি রঙ্গিন পলিথিন ব্যাগে তা ভরে দিতেই ছেলের প্রশ্ন- ‘বাবা ওটা না নিষিদ্ধ?' কোন জবাব দিলাম না আমি। কিছুক্ষণ পরেই তরকারি বিক্রেতা কাঁচামরিচ আর কাকরোল পলিথিন ব্যাগে ভরে দিতেই ছেলের ফের প্রশ্ন-‘বাবা নিষিদ্ধ জিনিস নিষিদ্ধ নয় কেন?' ছেলের প্রশ্নে বিবেকের দংশন হলো আমার। নিজেকে বড্ড অপরাধী মনে হলো। বিক্রেতা যেমন পলিথিন ব্যাগ দিয়ে অপরাধ করেছে, আমিও ঠিক তেমনি তা গ্রহণ করে সমঅপরাধী। আর তা ভেবেই ছেলে প্রশ্নবান থেকে মুক্তি পেতে চটের বেগে মালামাল ভরে চটজলদী বাসায় ফিরলাম। এ দেশে অনেক জিনিসই নিষিদ্ধ কিন্তু তা দস্তুরমত ব্যবহার হচ্ছে অনেকটা প্রকাশ্যেই। এসব যেন দেখার কেউ নেই। আর দেখবেই বা কেন? নগদ পেলেতো ওরা তুষ্ট। তখন ওদের চোখ হয় অন্ধ। আর এ সুযোগে যা হবার তাই হয়।
এ দেশে নিষিদ্ধ কিন্তু নিষিদ্ধ নয় এমন একটি দ্রব্যের নাম জানতে চাইলে অনেকেই অকপটে বলে ফেলবেন এই নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগের কথা। গত ২০০২ সালে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতিকারক দিক বিবেচনা করে রফতানিমুখী শিল্প ব্যতিত সকল ধরনের পলিথিন ব্যাগ উৎপাদনকারী শিল্পের উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের ব্যাপক আকারে ব্যবহার আগের চেয়ে বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মুদি দোকান থেকে শুরু করে কাঁচাবাজার, মাছের বাজার, কিচেন মার্কেট সর্বত্রই নিষিদ্ধ পলিথিনের ছোট-বড় ব্যাগে ছড়াছড়ি। ফলে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে। তরকারির বাজারে একশ গ্রাম কাঁচামরিচ ক্রয় করলেও বিক্রেতা ছোট একটি পলিথিন ব্যাগে ভরে তা ক্রেতাকে দেয়। বর্তমানে দেশে কতগুলো পলিথিন ব্যাগ উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে এবং উৎপাদন পরিমাণ কত তার কোনো পরিসংখ্যান সরকারের কাছে দুর্ভাগ্যজনকভাবে নেই। পরিবেশ অধিদফতরের এক পূর্ববর্তী পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, ১৯৯৩ সালে সারাদেশে ৪.৫ মিলিয়ন পলিথিন ব্যাগ ব্যবহৃত হতো প্রতিদিন। ২০০০ সালে এর ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৯.৩ মিলিয়নে। ২০২১ এ এর পরিমান কত বেড়েছে তা বলা বাহুল্য।
বর্তমানে সর্বনাশা এই পলিথিনের ব্যবহার বেড়েছে ও বেড়ে চলছে লাগামহীনভাবে। প্রাথমিক এক হিসাবে এর পরিমাণ ২১.৭৫ মিলিয়ন। বাংলাদেশ পলিপ্রপাইলিন প্লাস্টিক রোল এন্ড প্যাকেজিং এসোসিয়েশন নামে বৃহৎ একটি পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে সারাদেশে এক হাজারেরও বেশী পলিথিন ব্যাগ উৎপাদনকারী ছোট-বড় অবৈধ কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ৭০০টি ঢাকাসহ পুরাতন ঢাকার কোতয়ালী, চকবাজার, সূত্রাপুর, বেগমগঞ্জ ও মৌলভিবাজারে। এছাড়া ঢাকা শহরের মিরপুর, কাওরান বাজার, তেজগাঁও, কামরাঙ্গিরচর ও টঙ্গীতেও প্রচুর কারখানা রয়েছে। বাকি কারখানাগুলো চিটাগাং ও দেশের অন্যান্য জেলায় অবস্থিত। বিদেশ থেকে প্লাস্টিকের দানা ও পাউডার এনে কারখানাগুলোতে প্রতিদিন অগণিত ছোট-বড় বিভিন্ন আকারের ব্যাগ তৈরি হচ্ছে ও তা সকল আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিপণন ও দেদারছে ব্যবহার হচ্ছে।
২০০২ সালে নিষিদ্ধ ঘোষণার পর বাজার থেকে কিছু পলিথিন ব্যাগ আটক করার পর সরকারের সকল কার্যক্রম রহস্যজনকভাবে থেমে যায়। এরপর দীর্ঘ সাত থেকে প্রায় আট বছর পার হয়ে যায় কিন্তু আইন ভঙ্গ করে যারা পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয় ও ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কোনো আইনগত প্রক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না। এরই ফলশ্রুতিতে আজকের সর্বনাশা পলিথিনে দেশ ভাসছে। সরকার ২০০০ সালে পরিবেশ রক্ষা আইন-১৯৯৫ পরিবর্তন করে একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে পলিথিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও ছয় মাসের কারা প্রদানের ক্ষমতা অর্পণ করে। কিন্তু উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতি আটক ও কারখানা সীল করার ক্ষমতা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রদান করা হয়নি। এদিকে পরিবেশ আদালতকে দোষী ব্যক্তিকে ১০ লাখ টাকা অর্থ দন্ড অথবা ১০ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করার ক্ষমতা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার ক্ষমতাও প্রদান করা হয়।
পরিবেশ আদালতকে কারখানার যন্ত্রপাতি আটক করে তা বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতাও প্রদান করা হয়, যা অন্যকোনো আদালতের নেই। যে পলিথিন দীর্ঘ ১৯ বছর আগে আইনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেই পলিথিন কিভাবে প্রতিদিনই নদী-পানি-কৃষিজমি ইত্যাদি নষ্ট করছে, শহরাঞ্চলে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে ও মানবজীবনকে বিপর্যস্ত করছে তা ভাবতেও অবাক লাগে। প্রকাশ্যেই আইন ভঙ্গ করে জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়া এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের রহস্যজনক নিরবতা বাংলাদেশে নতুন কোনো ঘটনা নয়। এরই ধারাবাহিকতায় ছেয়ে যাচ্ছে পরিবেশ ধ্বংসকারী পলিথিনের ব্যাপকতা। এর ভয়াবহতা দেশের লোকজনকে আর কতকাল দেখতে হবে তা বুঝা যাচ্ছে না। পরিবেশবাদী ও সুশীল সমাজের শত আর্তনাদ ও চিৎকার পৌঁছে না প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ লোকদের কানে।
জাতীয় পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন ও বিপণনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের আর্থিক লেনদেনের কারণে দীর্ঘ সাত থেকে আট বছর যাবৎ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে। আমরা মনে করি বিপন্ন পরিবেশকে দ্রুত রক্ষার জন্য আজই সারাদেশ থেকে পলিথিনের মূলোৎপাটন করা জরুরি। পলিথিনের স্থলে পাট, কাগজ ও চটের ব্যাগ যা সহজে মাটিতে পচনশীল সেগুলো ব্যবহারের ওপর জোর দিতে হবে। এগুলো পচলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। পলিথিন ব্যাগ মাটিতে পচে না বলে তা মাটির ঊর্বরতা নষ্ট করে। মাটিকে উত্তপ্ত করা ও গাছের মূল মাটির গভীরে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে পলিথিন। পুকুরের তলদেশে জমে থাকা পলিথিন মাছ ও জলজ প্রাণীর অস্তিত্ব সঙ্কট সৃষ্টি করে।
এদিকে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদীর তলদেশে জমে থাকা কয়েক ফুট পলিথিনের স্তর নদীর তলদেশের পলি আটকিয়ে শুধু নদীর নাব্যতাই নষ্ট করছে না বরং মাছ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে পানিতে স্বাভাবিক অক্সিজেনের পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস করছে। কৃষি পলিথিন ব্যাগ জমির উৎপাদন ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। ঢাকা শহরের পয়ঃনিঙ্কাশনের ৮০ভাগ ড্রেন পলিথিন ব্যাগ কর্তৃক জমাট বেঁধে আছে। যার দরুন সামান্য বৃষ্টি হলেই ঢাকা শহরে দেখা দেয় অসহনীয় জলাবদ্ধতা। বৃষ্টির সময় অনেক মেনহোল থেকে শত শত পলিথিন ভেসে বের হতে দেখা যায়। ড্রেনেজ সিস্টেমকে সর্বদাই অচল করে রাখে। এর আগে ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গার তলদেশ থেকে বর্জ্য অপসারণের যে কর্মসূচি নেয়া হয়েছিল তাতে দেখা যায় যে, উত্তোলনকৃত বর্জ্যের অধিকাংশই পলিথিন ব্যাগ। আগে থেকে সর্বনাশা পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ হলে নদীর তলদেশ থেকে বর্জ্য উত্তোলনের জন্য ২০৬ কোটি টাকা বাজেট করতে হতো না। বেঁচে যেত সরকারের ২০৬ কোটি টাকা, যা একটি উন্নয়নশীল গরিব দেশের জন্য বিরাজ ব্যাপার।
শুধু বুড়িগঙ্গাই নয় বরং ঢাকার চারদিক দিয়ে প্রবাহিত সকল নদীর তলদেশেই পলিথিনের দূষণ ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চলছে লাগামহীনভাবে। নদী থেকে শুরু করে শাখা নদী ও ছোট ছোট খাল বিল জলাশয়ের তলদেশেও রয়েছে পলিথিন ব্যাগের মোটা স্তর। নষ্ট হচ্ছে পানির প্রাকৃতিক গুণ। কৃষিক্ষেত্রে পলিথিন ব্যাগ সূর্যের আলোকে ফসলের গোড়ায় পৌঁছতে বাধা দেয়। ফলে মাটির ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়া মরছে না বলে কৃষিজমিতে উৎপাদন কমে আসছে। কিছুদিন আগেও পরিবেশ অধিদফতর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পলিথিন ব্যাগের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়। মাঝে মাঝেই এমন আশ্বাস মিলে। কাজের কাজ কিছুই হয় না। হয নিষিদ্ধ কাজ্ নিষিদ্ধ কারখানা নিষিদ্ধ অর্থগুনে সটএক পড়েন সংম্লিষ্ট কর্মকতৃারা। দফতর থেকে আরও বলা হয় যে, ৩৫ মাইক্রোন পুরুত্বের পলিথিন এবং প্যাকেজিং ও রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানে ব্যাবহৃত পলিথিন ব্যাগ ছাড়া সকল ধরনের পলিথিন উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধের বিরামহীন কর্মসূচি নেয়া হচ্ছে। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে সরকারের এই মহৎ কর্মসূচি উদ্যোগ বা বন্ধ হয়ে গেল। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য আরামদায়ক বলে কেউ পরিবেশের কথা ভাবছে না। চুটিয়ে চলছে এর নিষিদ্ধ ব্যবসা এবং ব্যবহার। আর এ অবস্থা কিছুতেই চলতে দেয়া যায় না। নিষিদ্ধ পলিথিন যেন নিষিদ্ধই থাকে এর সবরকম ব্যবস্থা সরকারের এখনই নেয়া উচিৎ।
লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সমাজ গবেষক।
পাঠকের মতামত:
- চ্যালেঞ্জ আছে, তবু জনবান্ধব বাজেট প্রস্তুতের চেষ্টা
- ‘সংসদ ক্ষমতাসীন দলের একচ্ছত্র ভুবন’
- সনি আইএমএক্স ৬৮২ ক্যামেরার নতুন স্মার্টফোন বাজারে ছাড়লো ওয়ালটন
- জাতির পিতার সমাধিতে এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশনের সেক্রেটারী জেনারেলের শ্রদ্ধা
- ছেলের চাকরির জন্য স্ট্যাম্প-চেক দিয়ে প্রতারণার শিকার কৃষক বকুল
- রাজবাড়ীতে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রেপ্তার
- কোটালীপাড়ায় শিক্ষকদের গালাগালির প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন
- ‘চোরাই পথে গরু প্রবেশের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার’
- কোরবানির হাট কাঁপাতে আসছে ‘দিনাজপুরের রাজা’
- সাতক্ষীরায় রাস্তা পুনঃনির্মাণের দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি পালন
- নদীতে ভাসছিল ট্রলি ব্যাগ, মিলল পা-মাথা বিচ্ছিন্ন লাশ
- বগুড়ায় স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে হত্যায় স্বামী আটক
- কোম্পানীগঞ্জে নারাইনপুর সীমান্তে যুবকের লাশ উদ্ধার
- সাতক্ষীরায় সেমাই ও চানাচুর ফ্যাক্টরীতে টাস্কফোর্সের অভিযান
- ঈদে ‘জংলি’ আসছে না
- নার্সেস এসোসিয়েশন সিওমেক’র নির্বাচন সম্পন্ন
- ‘বঙ্গবন্ধুর কৃষি নীতির পথ ধরেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের রোল মডেল’
- মুকসুদপুর প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি
- কামবালা হচ্ছেন ‘ভোটার অব দ্যা ইলেকশন’ : খালিদ মাহমুদ
- ‘দুর্যোগ-দুর্বিপাকে আ.লীগই মানুষের পাশে থাকে’
- সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর জন্মদিনে কেক কাটা, প্রার্থনা ও শিরনি বিতরণ
- সিলেট নগরীতে জলাবদ্ধ এলাকায় খাবার পানির সংকট
- কোটালীপাড়ায় অজ্ঞাত পরিচয় নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
- সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক জান্নাতের বিরুদ্ধে মনগড়া রিপোর্ট তৈরির অভিযোগ
- সালথার গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা
- শৈলকুপায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর অভিযোগে মানববন্ধন
- লোহাগড়া পৌরসভার বাজেট ঘোষণা
- ঈশ্বরদী ইপিজেড গেটে স্বামীর ছুরিকাঘাতে নারী কর্মী খুন
- প্রচন্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত, প্রয়োজন স্বাস্থ্য সচেতনতা
- ঘুষ বাণিজ্যের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন শিক্ষা অফিসার শামছুল
- আবার ফিরে আসছে সেই অন্ধকারময় দিনগুলি
- বিজ্ঞান শিক্ষায় প্রথাগত ধর্ম চর্চা সাংঘর্ষিক
- দুই সপ্তাহে রিজার্ভ আরও বেড়েছে; ডলারের বাজার দ্রুত স্বাভাবিক হবে, আশা অর্থনীতিবিদের
- স্মার্ট ফোনে ভূমিকম্পের অ্যালার্ট চালু করবেন যেভাবে
- বিদ্যার মাহাত্ম্য
- ‘নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে নির্বাচনকে সুষ্ঠু করা সম্ভব নয়’
- ‘বেনজীর দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে দেশে ফিরতেই হবে’
- সালথায় জন্ম-মৃত্যু টাস্কফোর্স ও ইউনিয়ন আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা
- মহম্মদপুরের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানকে গণ সংবর্ধনা প্রদান ও আলোচনা সভা
- বরগুনায় রেমালে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক সহায়তা ও খাদ্য সমাগ্রী বিতরণ
- টুঙ্গিপাড়ায় স্কুলের ২০০ শিশুকে খাওয়ানো হলো দুধ
- বাসায় বানান পটেটো ক্র্যাকার
- ‘বেনজীরকে দেশ ত্যাগে সুযোগ দিয়েছেন সরকার’
- ঈদুল আজহায় মুক্তি পাচ্ছে না ‘জংলি’
- ‘বেনজীরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ লোক-দেখানো’
- আগামী মৌসুমে রিয়ালকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতে চান আনচেলত্তি
- যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলে পদত্যাগ করবেন ইসরায়েলি মন্ত্রীরা
- মোদির হ্যাটট্রিক বিজয়ের ইঙ্গিত
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত, আহত শতাধিক
- স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !