বাজেট আসছে, শিল্প কি বাঁচবে?
মীর আব্দুল আলীম
শিল্প কারখানার গেট বন্ধ হচ্ছে একে একে। আগের মতো আর শব্দ নেই মেশিনে, নেই চিমনিতে ধোঁয়া-শুধু নিস্তব্ধতা। চোখে পড়ছে অবসন্ন শ্রমিকের মুখ, ফ্যাকাশে ভবিষ্যতের ছবি। অথচ বাজেট আসছে উৎসবের ঢাক বাজিয়ে! একপাশে জাতীয় উন্নয়নের জোয়ারের গল্প, অন্যপাশে শিল্প খাতের নিঃশব্দ শবযাত্রা। দেশের অর্থনীতির শিরায় রক্ত সঞ্চালন করে যে শিল্প, আজ সে-ই নিঃস্বপ্রায়। নেই গ্যাস, নেই বিদ্যুৎ, নেই সহজ ঋণ। উদ্যোক্তারা রয়েছেন, কিন্তু তাঁদের মধ্যে আর প্রাণ নেই। চারদিকে একটা অদৃশ্য অচলাবস্থার ছায়া-এক অশনি সংকেত যেন ধীরে ধীরে গ্রাস করে নিচ্ছে পুরো শিল্পখাতকে। এখনই প্রশ্ন তুলতে হবে-শিল্প বাঁচবে কিভাবে?
কারখানাগুলোতে উৎপাদন নেমে এসেছে ৪০-৫০ শতাংশে। শ্রমিকেরা ফিরে যাচ্ছে শূন্য হাতে, অনিশ্চয়তা বুকে নিয়ে। অথচ রাষ্ট্র বলছে, সময়মতো বেতন দাও; ব্যাংক বলছে, কিস্তি না দিলে খেলাপি হবে! এই কি আমাদের অর্থনৈতিক সহানুভূতি? একজন শিল্পপতিকে গ্যাস-বিদ্যুৎ ছাড়া, ঋণ ছাড়াই কীভাবে চালাতে বলা হচ্ছে কারখানা? এটা যেন জলে ফেলে সাঁতার কেটে আসতে বলা। এই শিল্পপতিরা চোর নন, ডাকাতও নন। তাঁরা দিনের পর দিন, রাতের পর রাত শ্রম দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছেন। অথচ আজ তাঁরা হয়ে উঠেছেন অবজ্ঞার পাত্র-রাষ্ট্রের চোখে যেন তাঁরা শুধুই ঝামেলার নাম। এটি একটি ভয়ানক সংকেত, যা দেশের আত্মনির্ভরতা ও কর্মসংস্থানের ভিত্তিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
শুধু ফাইলের পাতায় ‘শিল্প উন্নয়ন’ লিখে কিছু হবে না। বাজেটে যদি বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে প্রতিটি বাজেট হবে আরেকটি পেরেক দেশের উৎপাদন কাঠামোর কফিনে। উৎসব নয়, এবার বাজেটে চাই কার্যকর নীতিমালা—যাতে শিল্প বাঁচে, উদ্যোক্তা টিকে থাকে, শ্রমিকের মুখে হাসি ফিরে আসে। রাষ্ট্র পরিচালকদের কাছে নিবেদন-শিল্পের কান্না শুনুন। কারখানা বন্ধ মানেই কর্মসংস্থানের মৃত্যু, বৈদেশিক আয়ের পতন, স্বপ্নভঙ্গের দীর্ঘশ্বাস। শিল্পকে বাঁচাতে হলে শুধু কথার ফুলঝুরি নয়, দিতে হবে জ্বালানি, দিতে হবে ঋণ, দিতে হবে নীতিগত স্থিতিশীলতা।
এই দেশের শিল্পপতিরা আজ আতঙ্কে দিন গুনছেন। শিল্প পতিরা না বাঁচলে শিল্প বাঁচবে কি করে। শিল্প পরিচালনার জন্য অনেক মেধার প্রয়োজন হয়। ড্রাইভিং সিটে বসে শিল্প চালান শিল্পপতিরা। কাঁদের হাত পা বেঁধে রাখলে চলবে না। কেউ অপরাধী থাকতে পারেরন তাই বলে শিল্পকারখানা বন্ধা করা যাবেনা। প্রতিষ্ঠানটি চলার ব্যবস্থা করতে হবে। নইলে শ্রমিক বেকার হবে, দেশের অর্থনীতিতে তার বিরাট প্রভাব পরবে। সরকার বলছে, “বেতন ঠিক সময়ে দাও, না হলে আইন আছে!” আমার প্রশ্ন-এই রাষ্ট্র কি শুধু আইন জানে? ন্যায় জানে না? আমার নানা এখলাস গ্রুপ অব ইন্ডষ্ট্রিজের কর্ণধার হাজী এখলাস উদ্দিন ভুইয়া বলতেন, “দেশটা গরিব হতে পারে, কিন্তু মানুষের স্বপ্নটা গরিব হলে চলে না।” আজ শিল্পপতিরা স্বপ্ন দেখতে ভুলে যাচ্ছেন। ব্যাংককে, সরকারকে, সমাজকে-সবার উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো। কারণ শিল্প বাঁচলে মানুষ বাঁচবে, সমাজ বাঁচবে, রাষ্ট্রও বাঁচবে।
আমাদের দেশের শিল্পপতিরা কেউ অন্য গ্রহ থেকে আসেননি। এরা এই দেশের সন্তান। এই মাটির ঘামে, পরিশ্রমে, ঘর বন্ধক রেখে কারখানা বানিয়েছে। অথচ আজ রাষ্ট্র তার দায়িত্ব ভুলে গেছে। শুধু ঋণ আদায়ের খাতা আর হিসাবের কষাকষিতে শিল্প ধ্বংসের পথে। আমি বহু দেশ ঘুরেছি, বহু শিল্পনগরী দেখেছি-কিন্তু এমন নিষ্ঠুর বাস্তবতা খুব কম জায়গাতেই দেখেছি। সেখানে সরকার শিল্পকে ঘিরে পরিকল্পনা করে, প্রণোদনা দেয়, সহযোগিতা করে। আমাদের দেশে সরকার শুধু দাবী করে-দাও, জমাও, হিসাব দাও। প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা শিল্প চাই না দুর্ভিক্ষ? শিল্প যদি মরে যায়, তাহলে কয়েক বছর পর হুট করে আমরা দেখবো-বেকারত্ব বেড়েছে, মুদ্রাস্ফীতি আকাশছোঁয়া, সামাজিক অপরাধ ছড়িয়ে পড়ছে। তখন বাজেট দিয়ে আর কিছু রক্ষা করা যাবে না। এখনো সময় আছে।
এ অবস্থায় আমরা কোন অর্থনীতি চাই? আমরা চাই একটি টেকসই অর্থনীতি-যেখানে কাঁচা মাল আমদানিতে অগ্রাধিকার থাকবে, গ্যাস-বিদ্যুৎ শিল্পখাতের জন্য নিরবচ্ছিন্ন থাকবে, ব্যাংক লোন সহজ হবে, আমলাতন্ত্র কমবে। শিল্পপতিরা ভিলেন নয়-তারা সুযোগ পেলে সমাজের নায়ক হতে পারেন। শিল্পকে দমন নয়, সহানুভূতি দিয়ে বাঁচান। একটি শিল্প বন্ধ মানে কয়েক হাজার মানুষের জীবিকা বন্ধ। একটি শিল্প রুগ্ন মানে একটি এলাকার অর্থনীতি রুগ্ন। অথচ আমরা দেখি, যেই মালিক সমস্যায় পড়ে, তাকে নানা অনুসন্ধান, হয়রানি ও হুমকির মধ্যে ফেলা হয়। আমি বলছি-অপরাধী হলে বিচার হোক, কিন্তু তার শিল্প যেন মরে না যায়।
শিল্প বাঁচানো মানে শুধু অর্থনীতিকে বাঁচানো নয়, এটা মানবিক দায়িত্ব। গার্মেন্টস হোক বা টেক্সটাইল, ওষুধ হোক বা রফতানি শিল্প-সবখানে শ্রমিকের রক্ত-ঘাম মিশে থাকে। এদের সুরক্ষা মানেই রাষ্ট্রের প্রাণ ফিরিয়ে আনা। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট হতে হবে শিল্পবান্ধব- এই হোক অঙ্গীকার। এই বাজেট যেন হয় কর্মসংস্থানের ভিত্তি, উদ্যোক্তাদের আশ্রয়, ব্যাংক-শিল্প সংলাপের সেতু। করের বোঝা নয়, হোক সহায়তার হাত। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার ভিড়ে নয়, হোক সহজ প্রক্রিয়া।
এটা কি আমরা ভুলে গেছি যে, শিল্প মানেই কর্মসংস্থান? শিল্প মানেই একেকটা পরিবারের রুটি-রুজির নিশ্চয়তা? ‘চোরেরা সব চুরি করে গেছে’-কারা চোর? সবাই জানে। টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস খাতের নেতারা সরাসরি বলেছেন—ব্যাংকিং খাতের অবস্থা ভয়াবহ। চোরের দল সব কিছু লুটেপুটে খেয়ে গেছে। এখন সেই দায় চাপানো হচ্ছে শিল্প মালিকদের কাঁধে। ব্যাংক লোন পাওয়া যাচ্ছে না। সুদের হার উঠেছে ১৪-১৬ শতাংশে। গ্যাস চাইলেও পাওয়া যাচ্ছে না, আর বিদ্যুৎ গেলে আসে ভ্যাঙচি মেরে। এমন শিল্পনীতি নিয়ে কোন উন্নয়ন? গুটি কয়েক ব্যাংক চোর সব লুট করে গেছে। তাতে শিল্প পরেছে বেকায়দায়। মরারর উপর খাঁড়ার ঘাঁয়ের মতো শিল্প মালিকদের নানা ভাবে চাপে রাখা হচ্ছে। তাতে শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যেগুলু চলছে তা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।
বাজেট হোক শিল্পবান্ধব- মুখে নয়, বাস্তবে
সরকার বলছে, “এবার বাজেট হবে উৎপাদনমুখী, বিনিয়োগবান্ধব।” কথায় নয়, এবার আমরা চাই কাজের প্রমাণ। শিল্পখাত এখন সংকটে। সেখান থেকে উত্তরণে দরকার সাহসী, যুক্তিযুক্ত ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। শুধু বক্তৃতা দিয়ে শিল্প বাঁচানো যাবে না-চাই কার্যকর পদক্ষেপ। শিল্পের প্রাণ ফেরাতে যেসব পদক্ষেপ অত্যাবশ্যক:
১. নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ: শিল্প এলাকায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহে অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। লোডশেডিং ও গ্যাস-সংকট শিল্পের সবচেয়ে বড় বাধা।
২. শিল্পবান্ধব সুদের হার: ব্যাংক ঋণে ৭-৯% এর মধ্যে সুদের হার নির্ধারণ করতে হবে, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য।
৩. কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ছাড়: শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামালের ওপর আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট হ্রাস করতে হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুল্ক ছাড় দিন।
৪. রিভাইভাল প্যাকেজ চালু: বন্ধ হয়ে যাওয়া বা অচল শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ পুনর্জীবন প্যাকেজ ঘোষণা করুন।
৫. শিল্প মালিক নয়, শ্রমিক বাঁচান: মালিকের ভুল থাকলে আইন অনুযায়ী বিচার করুন, কিন্তু তার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করবেন না।
৬. প্রণোদনা প্যাকেজ: উৎপাদন খাতের জন্য ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে স্বল্প সুদে সহজ ঋণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করুন।
৭. উদ্যোক্তাদের সম্মান করুন: শিল্পপতিদের ‘অপরাধী’ না বানিয়ে তাঁদের সম্ভাবনার অংশ হিসেবে দেখুন। তারা দেশের চাকরি, রপ্তানি ও রাজস্বের উৎস।
৮. শিল্প খাতে দীর্ঘমেয়াদি নীতিমালা: সরকারের পরিবর্তনের সাথে নীতির পরিবর্তন যেন না হয়। দীর্ঘমেয়াদি, স্থিতিশীল শিল্পনীতি জরুরি।
৯. শিল্প এলাকায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (ঝঊত): যেখানে ভূমি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবে এক ছাতার নিচে।
১০. শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা: শিল্পপ্রতিষ্ঠান সংকটে পড়লে শ্রমিক যেন সুরক্ষিত থাকে, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১১. শিল্প ব্যবস্থাপনায় আইটি ও অটোমেশন সহায়তা: প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য কর ছাড় ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিশেষ প্রণোদনা দিতে হবে।
১২. রপ্তানিমুখী শিল্পে বিশেষ কর সুবিধা: রপ্তানির ওপর উৎসে কর কমিয়ে দিতে হবে এবং কর রিটার্ন প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে।
১৩. ব্যুরোক্র্যাটিক হয়রানি বন্ধ করুন: শিল্প উদ্যোক্তারা যেন প্রতিটি কাগজে অনুমোদনের জন্য দিনের পর দিন দপ্তরে ঘুরে না মরেন—এই ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন।
১৪. পরিবহন ও অবকাঠামো খাতে উন্নয়ন: শিল্প পণ্য পরিবহনে দ্রুত ও নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলুন।
১৫. অর্থফাঁকি নয়, ট্যাক্স ছাড়: যারা সৎভাবে কর দিচ্ছেন তাদের জন্য পুরস্কারমূলক কর রেয়াত ও বিশেষ স্বীকৃতি দিন।
১৬. তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য স্টার্টআপ সহায়তা: নতুন শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য ভর্তুকিযুক্ত ঋণ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করুন।
১৭. পলিসি লোন নিশ্চিত করুন: শুধু কাগজে নয়, বাস্তবে স্বল্প সুদে পলিসি লোন যেন সহজে পায় যেসব শিল্প সত্যিই চালু আছে।
১৮. নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ সহায়তা: নারী শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ স্কিম চালু করতে হবে—ঋণ ছাড়াও মার্কেটিং, প্রশিক্ষণে সহায়তা।
১৯. প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি: শ্রমিক ও ম্যানেজমেন্ট স্টাফদের জন্য প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করুন।
২০. শিল্প গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ: স্থানীয়ভাবে যন্ত্রাংশ ও প্রযুক্তি তৈরিতে গবেষণা কার্যক্রমে বাজেট বরাদ্দ দিন।
এই শিল্প কার জন্য? শিল্প মানে শুধু মালিকের নয়, দেশ এবং শ্রমিকেরও। মালিক মানে শুধুই লভ্যাংশ না, তার সঙ্গে দায়িত্বও আছে। কিন্তু সেই দায়িত্ব পালন করতে হলে রাষ্ট্রকে আগে তার পাশে দাঁড়াতে হবে। আইন, কর, সুদের বোঝায় যখন একজন উদ্যোক্তা নুয়ে পড়ে, তখন তার কারখানায় আলো জ্বলে না, ভবিষ্যৎ নিভে যায়। আজকের এই অব্যবস্থার মধ্যে বহু শিল্প ইতিমধ্যে বন্ধ হয়েছে। বাকিরাও দম আটকে পড়ে আছে। অথচ একটা বাজেটেই অনেক কিছু বদলে দেওয়া সম্ভব-যদি সদিচ্ছা থাকে।
বাজেট কার জন্য? উন্নয়নের গল্প শুনিয়ে লাভ নেই যদি পেটে ভাত না থাকে। শিল্প বাঁচলে তবেই কর্মসংস্থান, রপ্তানি, রাজস্ব-সব টিকবে। আজ বাজেট শুধুই সংখ্যা নয়, এটা দেশের শিল্পকে নতুন প্রাণ দেওয়ার শেষ সুযোগ। এই সুযোগ হাতছাড়া করলে ক্ষুধা, বেকারত্ব আর দুর্ভিক্ষের দিকে ধাবিত হবে বাংলাদেশ। ইতিহাস এমন রাষ্ট্রের প্রতি করুণা করে না।
শিল্প মানেই দেশের ভবিষ্যৎ। এখানে কর্মসংস্থান, রপ্তানি আয়, জাতীয় প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রা-সবকিছু জড়িয়ে আছে। তাই শিল্পখাতের উন্নয়ন মানে দেশের উন্নয়ন। এবারের বাজেটে সত্যিকার শিল্পবান্ধব পদক্ষেপ না থাকলে উন্নয়ন শুধু কাগজে থাকবে, বাস্তবে আমরা হারাবো হাজার হাজার কারখানা ও কোটি মানুষের জীবিকা।
সামনের বাজেট যদি শিল্পখাতকে অগ্রাধিকার না দেয়, তবে তা হবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। শিল্প রক্ষা করা মানে কেবল অর্থনীতি টিকিয়ে রাখা নয়-এটি লাখো শ্রমজীবী মানুষের খাবার টিকিয়ে রাখার প্রশ্ন, একটি রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা রক্ষার শপথ। এ বাজেট হতে হবে প্রকৃত অর্থেই শিল্পবান্ধব, সহানুভূতিশীল ও সময়োপযোগী। একটি জাতির উন্নয়নের মেরুদণ্ড তার শিল্প। আর শিল্প যদি মরে যায়, তাহলে রাষ্ট্রও ধীরে ধীরে নিঃশেষ হয়ে যায়-শুধু কাঠামোটা বেঁচে থাকে, ভেতরটা ফাঁপা হয়ে যায়। আজ বাংলাদেশের শিল্প খাত এমনই এক ফাঁপা ভবনের নিচে দাঁড়িয়ে ধ্বংসের প্রতীক্ষায়। তাই শিল্প বাঁচান, রাষ্ট্রকে বাঁচান। সরকারের উচিত আগামী বাজেটে শিল্পখাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া। কারণ, শিল্পই দেশের ফুসফুস। ফুসফুস বন্ধ মানে নিঃশ্বাস থেমে যাওয়া।
লেখক: সাংবাদিক, সমাজ গবেষক, মহাসচিব-কলামিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ।
পাঠকের মতামত:
- ‘৫ আগস্ট ঘিরে কোনো নিরাপত্তা শঙ্কা নেই’
- ‘সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে ফ্যাসিস্ট মাথাচাড়া দিতে পারে’
- শ্রীনগরে অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে চলছে স্বাস্থ্য সেবা
- হাসিনাকে দেশে ফেরাতে আ.লীগের নতুন পরিকল্পনা
- ‘গাজীপুরে আসন বাড়বে, কমবে বাগেরহাটে’
- ডেঙ্গুতে আরও ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৮৬ জন
- ১০২ এসিল্যান্ড প্রত্যাহার
- জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি ঐক্য পরিষদের
- ‘তিন মাসে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন হয়েছে, এক বছরেও না হওয়ার কারণ দেখছিনা’
- পাংশায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ
- স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে শাহীন গ্রেপ্তার
- জামালপুরে দুই টিকিট কালোবাজারি আটক
- গোপালগঞ্জে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
- সোনাতলায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
- ফুলপুরে পরিষ্কার পরিছন্নতার বিশেষ অভিযান
- স্বাধীনতা ও জাতিসত্তা রক্ষার লড়াইয়ে চাই জাতীয় ঐক্য
- নিউ ইয়র্কে বন্দুক হামলার সময় কর্মরত ছিলেন না নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল
- সেরা দূরপাল্লার এয়ারলাইনের স্বীকৃতি পেলো এমিরেটস
- ডিসকভারির সাথে পার্টনারশিপে উদ্বোধন হলো অপো রেনো ১৪ সিরিজ ৫জি স্মার্টফোন
- কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে ডুবে গেছে রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত সেতু
- কালা জাহাঙ্গীরের চরিত্রে অভিনয় করবেন না শাকিব
- ৪২ মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরছেন টেইলর
- ‘বিচার নিয়ে আমাদের আন্তরিকতায় সন্দেহ রাখবেন না’
- ‘তাবলিগের দুই পক্ষের বিবাদ মেটাতে কমিটি হচ্ছে’
- ঝিনাইদহের জাকির হোসেনের ম্যাজিক তেল! পোড়া ক্ষতে কাজ করে জাদুর মতো
- শীত আসতেই মুখ-হাত-পায়ে চামড়া উঠছে, কী করবেন?
- কমলনগরে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার আটক
- হিমেল হাওয়ায় কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ
- ‘কোন মানুষ অর্থের কাছে চিকিৎসায় হেরে যাবে না, সবাই বাঁচবে’
- ঝিনাইদহে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ কর্মী নিহতের ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি
- রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ৩ মোটরসাইকেল আরোহীর
- প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি, বিএনপি নেতা চাঁদের নামে মামলা
- মা
- প্রজন্মের কাছে এক মুক্তিযোদ্ধার খোলা চিঠি
- পারিবো না
- ঝিনাইদহে বজ্রপাতে মৃত দুই কৃষক পরিবারকে তারেক রহমানের মানবিক সহায়তা প্রদান
- অতিরিক্ত ঠান্ডায় ঠাকুরগাঁওয়ে বেড়েছে শিশু রোগীর সংখ্যা
- লক্ষ্মীপুরে গুলিবিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
- রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক সামরিক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করছে জান্তা
- লক্ষ্মীপুরে বাংলা নববর্ষ উদযাপন
- নৌকার পক্ষে সমর্থন জানানেল এডভোকেট আব্দুল মতিন
- লক্ষ্মীপুরে দোকান ঘর বিক্রির নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা
- মহুয়া বনে
- বিজনেস সামিটের পর্দা নামছে আজ
- রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি: ১৭ নারীসহ ৫২ জন রিমান্ডে