হিন্দুরা যা ভাবছেন বিষয়টি তা নয়
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন জামাতের একটি কূটচাল

শিতাংশু গুহ
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন কথাটি এনিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে। এটি জামাতের প্রস্তাব, নুতন কিছু নয়, সম্ভবত: ১৯৯০’র দশকে গোলাম আজম প্রথমে এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন। জামাত জানে বর্তমান নির্বাচন পদ্ধতিতে জিতে তাদের পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়, তাই এ নুতন মারপ্যাচ। তাঁদের অনেকগুলো যুক্তির মধ্যে একটি হচ্ছে, অনেকরকম নির্বাচন তো দেখলেন, এবার সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন করে দেখুন। অর্থাৎ আপনি তো অনেক রকম খাবার খেয়েছেন, এবার আবর্জনা খেয়ে দেখুন! সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন প্রসঙ্গ সামনে আনা হয়েছে সময় ক্ষেপনের জন্যে, এতে আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে বিএনপি ব্যতীত অন্যদের লাভ।
কিছু হিন্দু সংগঠন এর পক্ষে কথা বলছে, আসলে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন হিন্দুরা যা ভাবছে বিষয়টি তা নয়, এতে হিন্দুদের কোন লাভ নেই? সেই ব্যাখ্যায় পরে আসছি, আপাতত সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন কি তা বোঝার চেষ্টা করি। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন মানে ভোটের সংখ্যা? অর্থাৎ কোন নির্বাচনে কোন দল প্রদত্ত ভোটের কত শতাংশ ভোট পাবে সেই অনুসারে আসন বন্টন হবে। সচরাচর সুষ্ঠূ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৪২%, বিএনপি ৪০%, জাপা ৬%, জামাত ৬%, জাসদ-বাম ২%, এনসিপি ১%, হিন্দু লীগ ১%, ইসলামী জোট ১% এবং জনতা পার্টি ১%। সেই অনুপাতে ৩শ’ আসনে আওয়ামী লীগ পাচ্ছে ১২৬টি আসন, বিএনপি ১২০, জাপা ১৮, জামাত ১৮, জাসদ ৬, এনসিপি ৩, হিন্দু লীগ ৩, ইসলামী জোট ৩ এবং জনতা পার্টি ৩টি আসন। যে দল ১%-র কম ভোট পাবেন তাদের কোন প্রতিনিধি থাকবে না।
ওপরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ বা বিএনপি কেউই এককভাবে সরকার গঠন করতে পারবে না। জাপাকে সাথে নিলেও হচ্ছেনা, জামাতকে নিতে হবে, এটাই জামাতের ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি। এজন্যে জামাত সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন চায়, এতে তারা কম ভোট পেয়েও বেশি আসন পাবে, বড় দলের ওপর ছড়ি ঘোরাতে পারবে। জামাতকে সাথে নিলে জামাতের কথা শুনতে হবে। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনে ভোটার প্রার্থীকে ভোট দেবেনা, দলকে ভোট দেবে। এতে প্রার্থীর গুরুত্ব থাকবে না, জনপ্রিয় ভাল প্রার্থীরা এককভাবে জিততে পারবেন না, স্বতন্ত্র প্রার্থীর জেতার সম্ভবনা থাকবে না? দলের হাতেই সকল ক্ষমতা কুক্ষিগত থাকবে। দল মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে যেকোন প্রার্থীকে সংসদে পাঠাবে। দলীয় কর্মীরা অবহেলিত হবেন।
হিন্দু সংগঠনগুলো ভাবছে তাঁরা সংখ্যালঘু সংখ্যানুপাতে ১০x৩=৩০টি আসন পাবেন। বিষয়টি তা নয়, বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক দলই সংখ্যালঘুদের সেই সুযোগ দেবেনা। এই প্রক্রিয়ায় হিন্দুদের পক্ষে নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসাটা কঠিন হবে। গত ৫৩ বছরে কোন সরকার কোন হিন্দু রাজনৈতিক দলকে অনুমোদন দেয়নি। ২০২৫-এ একটি মাত্র দল অনুমোদন পেয়েছে। ধরে নেয়া যাক আরো ২/১টি দল অনুমোদন পাবে। এঁরা একত্রে ভোট করলে কত ভোট পাবেন? অন্য বড় দলের সাথে জোট বাঁধলে তো ‘যেই লাউ সেই কদু’। দলীয় এমপি’র কি অবস্থা সেটা তো বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বোঝা গেছে? সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন তত্বটি হিন্দুদের আরো কোনঠাসা করবে।
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন জামাতের একটি কূটচাল। জামাত সকল ইসলামী দলগুলো নিয়ে ৫-৭% ভোট পেলেও ১৫/২০টি আসন ধরে রাখতে সক্ষম হবে? নির্বাচন হলে জামাত হয়তো এনসিপিকে নিয়ে এ খেলা খেলতে চাইবে। উপরোক্ত পরিসংখ্যান বা যুক্তিতর্ক সবই নির্বাচন সুষ্ঠূ ও অবাধ হলেই প্রযোজ্য। বাংলাদেশের মূল সমস্যা ‘সুষ্ঠূ ও অবাধ নির্বাচন’। বাংলাদেশে নির্বাচনী ব্যবস্থায় ধ্বস নামিয়ে দিয়েছে জিয়া, এরপর এরশাদ, ২০০১-এ খালেদা জিয়া, এরপর ২০১৪/২০১৮/২০২৪-এ শেখ হাসিনা। এর পরিণতি কিন্তু সবাই ভুগেছেন, তবু কেউ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেননি। এখনো একই ধারা চলছে? সুষ্ঠূ ও অবাধ নির্বাচন কিভাবে সম্ভব তা নিয়ে আলোচনার খবর নাই, সবাই আসন ভাগাভাগি নিয়ে ব্যস্ত!
লেখক : আমেরিকা প্রবাসী।
পাঠকের মতামত:
- কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে ডুবে গেছে রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত সেতু
- কালা জাহাঙ্গীরের চরিত্রে অভিনয় করবেন না শাকিব
- ৪২ মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরছেন টেইলর
- ‘বিচার নিয়ে আমাদের আন্তরিকতায় সন্দেহ রাখবেন না’
- ‘তাবলিগের দুই পক্ষের বিবাদ মেটাতে কমিটি হচ্ছে’
- ঝিনাইদহের জাকির হোসেনের ম্যাজিক তেল! পোড়া ক্ষতে কাজ করে জাদুর মতো
- সরকারি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনের দাবিতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন
- ঝিনাইদহে ২ আগস্ট পর্দা উঠছে রেডিয়েন্ট প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগের
- ১০টির বেশি সিম থাকলে ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেবে বিটিআরসি
- স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের প্রস্তুতি বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের সভা
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬০ হাজার ছাড়াল
- বৈষম্যবিরোধী নেতা রিয়াদের বাসা থেকে সোয়া ২ কোটি টাকার চেক উদ্ধার
- ইসরায়েল পদক্ষেপ না নিলে সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য
- রাশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প, দেশে দেশে সুনামি সতর্কতা
- গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলার ঘটনায় মামলা
- ফরিদপুরে রাতের অন্ধকারে একটি সার্বজনীন দুর্গা মন্দির ভাঙচুর
- ‘শুল্ক কমানোর সবুজ সংকেত পেয়েছে বাংলাদেশ’
- বৃহস্পতিবার নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা
- ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও জরুরি সংস্কার চায় বিএনপি’
- ‘জুলাই সনদের খসড়া বিষয়ে বিএনপি ইতিবাচক’
- ‘সরকার অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে কাজ করছে’
- লংগদুতে সড়ক দুর্ঘটনায় শ্রমিক নিহত
- সাতক্ষীরা সদরের ডিবি সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত শুরু
- সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের সড়ক নিরাপত্তা সচেতনতা বৃদ্ধি সভা অনুষ্ঠিত
- ফরিদপুরে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার, ইয়াবা উদ্ধার
- শীত আসতেই মুখ-হাত-পায়ে চামড়া উঠছে, কী করবেন?
- বেলকুচিতে জনমত জরিপে এগিয়ে বদিউজ্জামানের মোটরসাইকেল
- কমলনগরে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার আটক
- হিমেল হাওয়ায় কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ
- ‘কোন মানুষ অর্থের কাছে চিকিৎসায় হেরে যাবে না, সবাই বাঁচবে’
- ঝিনাইদহে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ কর্মী নিহতের ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি
- রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ৩ মোটরসাইকেল আরোহীর
- প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি, বিএনপি নেতা চাঁদের নামে মামলা
- মা
- প্রজন্মের কাছে এক মুক্তিযোদ্ধার খোলা চিঠি
- পারিবো না
- ঝিনাইদহে বজ্রপাতে মৃত দুই কৃষক পরিবারকে তারেক রহমানের মানবিক সহায়তা প্রদান
- লক্ষ্মীপুরে গুলিবিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
- অতিরিক্ত ঠান্ডায় ঠাকুরগাঁওয়ে বেড়েছে শিশু রোগীর সংখ্যা
- লক্ষ্মীপুরে বাংলা নববর্ষ উদযাপন
- রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক সামরিক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করছে জান্তা
- নৌকার পক্ষে সমর্থন জানানেল এডভোকেট আব্দুল মতিন
- লক্ষ্মীপুরে দোকান ঘর বিক্রির নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা
- মহুয়া বনে
- বিজনেস সামিটের পর্দা নামছে আজ