চিকিৎসা নয় যেন নির্দয় বাণিজ্যের বাজার

মীর আব্দুল আলীম
স্বাস্থ্যসেবা-এ শব্দটা শুনলেই কেমন যেন একটা ভরসা জাগে। মনে হয়, অসুস্থ হলে একটা জায়গা তো আছে, যেটা মানুষকে ফিরিয়ে আনবে জীবনের কাছে। কিন্তু এখন? এখন অসুস্থ হওয়া মানেই ভয়, আতঙ্ক, আর সর্বোপরি এক অর্থনৈতিক বিপর্যয়। চিকিৎসার দরজায় ঢুকতেই যেন প্রথম প্রশ্ন: “টাকা এনেছেন তো?”
বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা এখন আর সেবা নয়, যেন নিখাদ ব্যবসা। রোগীর চোখের জল, পরিবারের কান্না, এসব এখন হিসাবের খাতায় পড়ে না। ডাক্তার দেখানোর আগে টাকা, পরীক্ষা করাতে টাকা, রিপোর্ট তুলতে টাকা, ওষুধ কিনতে টাকা। আইসিইউ লাগলে তো পুরা পরিবারই শ্বাস বন্ধ করে বসে থাকে। কারণ সেখানে জীবনের চেয়েও দামী হয়ে যায় টাকার যোগান। স্বাস্থ্য খাত যেন একটা প্রতিষ্ঠিত সিন্ডিকেট-যেখানে দালাল আছে, কমিশন আছে, অপ্রয়োজনীয় টেস্ট আছে, আর আছে ‘লাইফ সাপোর্ট’ নামক ভয় ধরানোর যন্ত্রণা।
‘লাইফ সাপোর্ট’ শব্দটি শোনামাত্র পরিবারের সকল সদস্য এক ধরনের আর্থিক আতঙ্কে নিমজ্জিত হন। আত্মীয়দের কাছে ধার, গহনা বন্ধক, বা শেষ রক্ষার ব্যাংক ব্যালান্স-সবই হারাতে হয় চিকিৎসা পাওয়ার জন্য। দেশের স্বাস্থ্য খাত এখন যেন মানুষের জীবন বাঁচানোর জায়গা নয়, বরং এক নির্মম বাণিজ্যের বড় বাজার। অনেক সময় দেখা যায়, রোগী যতটা না বিপন্ন, তার চেয়েও বেশি বিপন্ন তার পরিবার-চিকিৎসার খরচ জোগাতে গিয়ে। এই বাস্তবতায় প্রশ্ন জাগে: স্বাস্থ্য কি এখন আর অধিকার রইল না? তা কি এক প্রকার বাণিজ্যেই পরিণত হয়নি? রাষ্ট্র কি এই দুর্ব্যবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, নাকি এরাও এর এক নীরব অংশীদার?
এদেশে সরকারি হাসপাতালে গেলেও দেখা যায়, চিকিৎসার নামে বিশাল বৈষম্য। ধনী হলে কেবিনে, গরিব হলে মেঝেতে! অথচ উন্নত বিশ্বে হাসপাতাল মানেই সবার জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (ঘঐঝ) হাসপাতালে ধনী-গরিব সবাই একই ধরনের ওয়ার্ডে চিকিৎসা পায়। সব ধরনের রোগীরাই সিরিয়াল মেনে র্দীর্ঘক্ষন অপেক্ষার পর চিকিৎসা সেবা নেন। উন্নত দেশে গুলোতে এমনই ব্যবস্থা রয়েছে। এ ব্যাপারে আমার (লেখকের) বড় ছেলে যুক্ত রাজ্যের ন্যাশনাল হেল্থ সাভিস এর আওতাধীন সেন্ট্রল লন্ডনের কুইন এ্যলিজাবেদ হাসপাতালের সিনিয়র রেজিষ্ট্রর চিকিৎসক ডা: মীর তানজীল এহসান জানালেন- “যুক্ত রাজ্যে ধনী গরিব সবার জন্য একই সেবা”। উন্নত বিশ্বে সরকারী হাসপাতার গুলোতে বৈসম্যহীন এমন নিয়মেই চলছে। সেখানে বাংলাদেশে সরকারি হাসপাতালেও ‘ভিআইপি কেবিন’ নামের বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে, যেখানে থাকতে হলে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করতে হয়। এদিকে, সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যের ওষুধ থাকলেও, তা সাধারণ রোগীদের হাতে পৌঁছানোর আগেই গায়েব হয়ে যায়। এসব ওষুধ পরে বাজারে পাওয়া যায়, কিন্তু গলাকাটা দামে!
সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা নয়, যেন এক ব্যবসায়িক খেল! সরকারি হাসপাতালে গেলেও সরকারি সুবিধা নেই। ওষুধ নেই, সেবার মান নিম্নস্তরের, আর আছে এক বিশাল দালাল বাহিনী, যারা রোগীকে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের দিকে ঠেলে দেয়, যেখানে ‘সার্ভিস চার্জ’ শুনলেই মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। সরকারি হাসপাতালে যেসব সেবা দেওয়ার কথা, তা পাওয়া তো দূরের কথা, রোগীদের জন্য কার্যকর সেবা প্রদানে সরকারের নীতিগত তৎপরতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ। সরকারি হাসপাতালগুলোতে সেবার মান দিন দিন আরো খারাপ হয়ে যাচ্ছে। রোগী সাধারণত চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে আসেন, কিন্তু এসে দেখেন, এখানে অরাজকতা আর দুর্নীতির শেষ নেই। বড় বড় সরকারি হাসপাতালগুলিতে রোগীদের ‘ভিআইপি কেবিন’ পরিষেবায় বিশাল অর্থের অংক দাবি করা হয়। দরিদ্র রোগীরা যখন তাদের গরিব অবস্থায় কেবিনে না থাকার জন্য ‘সাধারণ রোগী’ হিসেবে চিকিৎসা নিতে যায়, তখন সেখানে সেবা পাওয়ার কোনও নিশ্চয়তা থাকে না। সরকারিভাবে বিনামূল্যে যে ওষুধের কথা বলা হয়, তা সাধারণ রোগীদের কাছে সহজলভ্য না হয়ে বাজারে গায়েব হয়ে যায়। এরপর, যেসব ওষুধ রোগীরা আবার খুঁজে পান, তা বাজারে বিক্রি হয় এক চড়া দামে! এছাড়া, সরকারি হাসপাতালগুলিতে রোগী-পরিবারদের জন্য এক বিশাল দালাল বাহিনী কাজ করছে। এই দালালরা তাদের ভাগ পেতে রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে ঠেলে দেয়, যেখানে বিল শুনলে রোগীর আত্মীয়স্বজনদের ‘হার্ট অ্যাটাক’ হতে পারে। যেন রুগীর চিকিৎসা নয়, পুরো হাসপাতালটাই কিনতে বলছে তারা!
বাংলাদেশে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর বিল দেখে মনে হয় যেন রোগী নয়, পুরো হাসপাতাল কিনতে বলা হচ্ছে। এখানে এক একটি অপারেশন বা এক্স-রে করা হলে লাখ লাখ টাকা খরচ হয়ে যায়। চিকিৎসকরা পর্যন্ত অনেক সময় বিশেষ কোনো ল্যাব বা হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করে রোগীদের অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষার নির্দেশ দেন। তাদের উদ্দেশ্য একটাই—কমিশন নেওয়া! এই চিকিৎসকদের কাছে রোগী আর মানবতা নয়, বরং শুধুমাত্র একটি ব্যবসায়িক সুযোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে, ওষুধ কোম্পানির প্রভাবও দিনের পর দিন বাড়ছে। অধিকাংশ চিকিৎসক শুধুমাত্র নিজের সুবিধা এবং প্রাপ্ত কমিশনের জন্য রোগীদের নির্দিষ্ট ওষুধ কোম্পানির ওষুধ লিখে দেন, এমনকি এসব ওষুধ রোগীর জন্য প্রয়োজনীয়ও নয়। এইভাবে, রোগী ক্ষতির সম্মুখীন হয়, আর চিকিৎসকরা বিলাসী জীবনযাপন করতে থাকে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোর বিল দেখলে মনে হয়, এখানে রোগী নয়, পুরো হাসপাতাল কেনাবেচার হিসাব চলছে! যেকোনো সাধারণ অপারেশন মানেই লাখ লাখ টাকা। ছোটখাটো পরীক্ষার জন্যই কয়েক হাজার টাকা লুটে নেয় হাসপাতালগুলো। শুধু তাই নয়, চিকিৎসকদের অনেকেই নির্দিষ্ট ল্যাব ও হাসপাতালের সঙ্গে কমিশন চুক্তিতে থাকেন। রোগীকে অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা করানোর প্রবণতা এখন ওপেন সিক্রেট।
লাইফ সাপোর্ট নিয়ে দেশে নতুন এক ‘অর্থ কামানোর যন্ত্র’ চালু হয়েছে। উন্নত বিশ্বে রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা না থাকলে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয় না, অথচ বাংলাদেশে সেটাই সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা! এমনকি ডাক্তাররা আগেই জানেন যে রোগী বাঁচবে না, তবুও তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখার সুপারিশ করেন কারণ প্রতিদিনের বিল লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়। রোগীর পরিবার যখন বিল মেটাতে অক্ষম হয়ে পড়ে, তখন হঠাৎ করে ঘোষণা আসে: “রোগীকে আর বাঁচানো গেল না।”
বর্তমান সময়ে চিকিৎসার অন্যতম ব্যয়বহুল অংশ হলো ওষুধের খরচ। রোগী বা তার পরিবারের ব্যয়ের বিশাল অংশ ওষুধের পেছনে ব্যয় হয়। সাধারণত, দীর্ঘমেয়াদী রোগ যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি বা হৃদরোগের চিকিৎসায় নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হয়, যা অনেকের জন্য এক দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ জাতীয় স্বাস্থ্য হিসাবে (ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টস) দেখা যায়, মানুষ নিজের পকেটের ১০ দশমিক ১ শতাংশ খরচ করে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে, চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বারে ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ, রোগনির্ণয় পরীক্ষা–নিরীক্ষায় ১১ দশমিক ৭ শতাংশ, ওষুধে ৬৪ দশমিক ৬ শতাংশ এবং চিকিৎসাসামগ্রীতে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ; অর্থাৎ চিকিৎসার জন্য অন্য সব খাতে যে খরচ হয়, তার প্রায় দ্বিগুণ খরচ হয় শুধু ওষুধের পেছনে।
ওষুধ কোম্পানিগুলোর জন্য চিকিৎসা এখন একটা বিশাল ‘বাজার’। অনেক চিকিৎসক রোগীর সুস্থতা নিয়ে যতটা না চিন্তিত, তার চেয়ে বেশি ভাবেন কিভাবে ওষুধ কোম্পানির দেওয়া সুবিধা পাবেন! বিদেশ সফর, দামি গাড়ি, ফ্ল্যাট, এমনকি নগদ টাকার লোভে চিকিৎসকরা রোগীদের এমন ওষুধ দেন, যা অনেক সময় প্রয়োজনই নেই। চেম্বারের সামনে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের জটলা লেগেই থাকে। রোগী চেম্বার থেকে বের হওয়া মাত্রই প্রেসক্রিপশন কার্ড দেখে নেওয়া, ছবি তোলা—এটাই যেন নিয়ম হয়ে গেছে! এতে রোগীদের গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হয়, কিন্তু কে তা নিয়ে মাথা ঘামায়?
সরকারি হাসপাতালের সামনে দালালদের অবাধ বিচরণ। তারা গরিব রোগীদের নানা ভীতি দেখিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে চিকিৎসার বিল শুনে অনেক রোগীরই ‘হার্ট অ্যাটাক’ হওয়ার অবস্থা হয়! দালালরা কমিশন পায়, আর রোগীর পরিবার সর্বস্বান্ত হয়। সরকারি হাসপাতালের সামনে দালালদের দৌরাত্ম্য দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা। তারা বিশেষভাবে দরিদ্র, অশিক্ষিত এবং অসহায় রোগীদের টার্গেট করে, যাদের হাসপাতালের সিস্টেম সম্পর্কে ভালো ধারণা নেই। কীভাবে দালালরা কাজ করে?
১. ভয় দেখানো: রোগী বা তার স্বজনদের বলা হয় যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পেতে অনেক দেরি হবে, জরুরি চিকিৎসা না করালে অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। অনেক সময় মিথ্যা বলা হয় যে এখানে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই বা ডাক্তার ভালো না।
২. প্রলোভন দেখানো: দ্রুত চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রোগীকে বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতালে নিয়ে যায়। উন্নত চিকিৎসার কথা বলে রোগীকে প্রভাবিত করা হয়।
৩. কমিশনভিত্তিক কাজ: দালালরা বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে এবং প্রতিটি রোগীর জন্য কমিশন পায়। কিছু অসাধু ডাক্তারও এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকে, যারা রোগীদের সরকারি হাসপাতাল থেকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
৪. পরিণতি কীঁ? অতিরিক্ত চিকিৎসা বিল: দরিদ্র রোগীর পরিবার সরকারি হাসপাতালের বিনামূল্যে বা কম খরচে চিকিৎসা পাওয়ার পরিবর্তে বেসরকারি হাসপাতালে বেশি টাকা দিয়ে চিকিৎসা করাতে বাধ্য হয়।
৫. অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা: অনেক সময় রোগীর অবস্থা জটিল না হলেও ইচ্ছাকৃতভাবে বিভিন্ন ব্যয়বহুল পরীক্ষা করানো হয়।
৬. ঋণের ফাঁদ: নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে ধারদেনায় জড়িয়ে পড়ে।
স্বাস্থ্য খাতের এই নৈরাজ্য ও বেহাল অবস্থা ঠেকাতে সরকার কিছু উদ্যোগ নিয়েছে, যা সামান্য হলেও আশার আলো জাগায়। সম্প্রতি সরকার একটি ১২ সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করেছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এমএ ফয়েজ। এ প্যানেলের মূল দায়িত্ব হবে বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সংস্কার, চিকিৎসাসেবার গুণগত মানোন্নয়ন এবং দীর্ঘমেয়াদি নীতিগত দিকনির্দেশনা প্রদান করা। এ ছাড়া, স্বাস্থ্যখাতের নানামুখী সংকট ও করণীয় নির্ধারণে মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা ও মতামত জানতে চেয়ে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে গণমাধ্যমকর্মীদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। এসব সভায় সরাসরি স্বাস্থ্যসেবায় যুক্ত মানুষের অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণ তুলে আনা হয়েছে, যা ভবিষ্যৎ নীতিনির্ধারণে সহায়ক হতে পারে। তবে প্রশ্ন থেকে যায়—এই আলোচনার ফলাফল কতটা বাস্তবায়নযোগ্য হবে? প্রস্তাবনায় সীমাবদ্ধ না থেকে কার্যকর বাস্তবায়নই হবে এই উদ্যোগগুলোর সত্যিকারের সফলতা।
স্বাস্থ্যসেবা কোনো বিলাসিতা নয়, নাগরিকের মৌলিক অধিকার। অথচ আমাদের বাস্তবতায় চিকিৎসা যেন এক ব্যয়বহুল প্রতিযোগিতা। রোগীর অসহায়ত্বকে পুঁজি করে গড়ে উঠেছে এক নির্মম বাণিজ্য কাঠামো—যেখানে দালালচক্র, কমিশন সিন্ডিকেট, অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা আর ‘লাইফ সাপোর্ট’-এর নামে প্রতারণা যেন স্বাভাবিক বিষয়। স্বাস্থ্য খাতে কিছু উদ্যোগ থাকলেও দুর্নীতির শিকড় এত গভীরে যে, কেবল ঘোষণায় এর সমাধান সম্ভব নয়। দরকার কঠোর পদক্ষেপ, কার্যকর তদারকি এবং নীতিনির্ধারকদের মানবিক দায়বোধ। স্বাস্থ্য খাতকে ব্যবসার জায়গা নয়, মানুষের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। রোগীর জীবন যেন টাকার কাছে হার না মানে-এটাই এখন সবচেয়ে জরুরি চাওয়া।
লেখক: সাংবাদিক, সমাজ গবেষক, মহাসচিব-কলামিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ।
পাঠকের মতামত:
- রাশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প, দেশে দেশে সুনামি সতর্কতা
- গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলার ঘটনায় মামলা
- ফরিদপুরে রাতের অন্ধকারে একটি সার্বজনীন দুর্গা মন্দির ভাঙচুর
- ‘শুল্ক কমানোর সবুজ সংকেত পেয়েছে বাংলাদেশ’
- বৃহস্পতিবার নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা
- ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও জরুরি সংস্কার চায় বিএনপি’
- ‘জুলাই সনদের খসড়া বিষয়ে বিএনপি ইতিবাচক’
- ‘সরকার অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে কাজ করছে’
- লংগদুতে সড়ক দুর্ঘটনায় শ্রমিক নিহত
- সাতক্ষীরা সদরের ডিবি সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত শুরু
- সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের সড়ক নিরাপত্তা সচেতনতা বৃদ্ধি সভা অনুষ্ঠিত
- ফরিদপুরে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার, ইয়াবা উদ্ধার
- সিলেটে ডঃ আবদুল মজিদের সভাপতিত্বে স্বাধীনতা বিরোধীদের সভা অনুষ্ঠিত হয়
- কুড়িগ্রামে জুলাই সংগঠক জোবায়ের হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
- এশিয়ান কাপে বাংলাদেশের কঠিন প্রতিপক্ষ
- নতুন ভোটার হচ্ছেন ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার
- আগস্টের শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা
- শক্তিশালী হচ্ছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট, র্যাংকিংয়ে টানা উন্নতি
- বোয়ালমারীতে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ
- পাংশায় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
- সালথায় ৬০টি চায়না দুয়ারী জাল জব্দ, এক জেলের জরিমানা
- শ্রীমঙ্গলে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ
- ‘ভাসানী না হলে শেখ মুজিব তৈরি হতো না’
- ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কা, সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
- সুবিধা বঞ্চিত প্রকৃত ভুক্তভোগীরা, ধরা ছোঁয়ার বাইরে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠনগুলি
- শীত আসতেই মুখ-হাত-পায়ে চামড়া উঠছে, কী করবেন?
- বেলকুচিতে জনমত জরিপে এগিয়ে বদিউজ্জামানের মোটরসাইকেল
- কমলনগরে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার আটক
- হিমেল হাওয়ায় কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ
- ‘শুল্ক কমানোর সবুজ সংকেত পেয়েছে বাংলাদেশ’
- ‘কোন মানুষ অর্থের কাছে চিকিৎসায় হেরে যাবে না, সবাই বাঁচবে’
- ঝিনাইদহে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ কর্মী নিহতের ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি
- রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ৩ মোটরসাইকেল আরোহীর
- প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি, বিএনপি নেতা চাঁদের নামে মামলা
- প্রজন্মের কাছে এক মুক্তিযোদ্ধার খোলা চিঠি
- মা
- পারিবো না
- ঝিনাইদহে বজ্রপাতে মৃত দুই কৃষক পরিবারকে তারেক রহমানের মানবিক সহায়তা প্রদান
- লক্ষ্মীপুরে গুলিবিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
- অতিরিক্ত ঠান্ডায় ঠাকুরগাঁওয়ে বেড়েছে শিশু রোগীর সংখ্যা
- লক্ষ্মীপুরে বাংলা নববর্ষ উদযাপন
- রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক সামরিক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করছে জান্তা
- নৌকার পক্ষে সমর্থন জানানেল এডভোকেট আব্দুল মতিন
- মহুয়া বনে
- লক্ষ্মীপুরে দোকান ঘর বিক্রির নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা