ম্যানগ্রোভ রক্ষা মানে উপকূল বাঁচানো, প্রাণবৈচিত্র্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা

ওয়াজেদুর রহমান কনক
ম্যানগ্রোভ ইকোসিস্টেম সংরক্ষণ নিয়ে লিখতে গেলে শুরুতেই একটি ভয়াবহ বাস্তবতা সামনে আসে—গত চার দশকে বিশ্বে ম্যানগ্রোভ বনের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি বিলীন হয়ে গেছে। ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম (UNEP)-এর হিসাব অনুযায়ী, প্রতিবছর প্রায় ০.২৬% হারে বিশ্বজুড়ে ম্যানগ্রোভ বন হারিয়ে যাচ্ছে। একসময় পৃথিবীর উপকূলজুড়ে যে বিস্তীর্ণ সবুজ প্রাচীর ছিল, তা এখন সংকুচিত হয়ে এসেছে প্রায় ১,৫০,০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায়। অথচ এই ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল বছরে গড়ে ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের প্রাকৃতিক ঝুঁকিহ্রাস সেবা (Coastal Protection) দিয়ে থাকে, উপকূলীয় ৬০টি দেশের অন্তত ১২০ মিলিয়ন মানুষের জীবন-জীবিকা এই বনের ওপর নির্ভরশীল।
বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন, যা বাংলাদেশের প্রায় ৬,০১৭ বর্গকিলোমিটার ও ভারতের ৪,২৬২ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বিস্তৃত, একাই উপকূলীয় অঞ্চলের লাখো মানুষের খাদ্য, জ্বালানি ও আবাসন নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। কিন্তু অতি আহরণ, দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সুন্দরবনের প্রায় ১% বনভূমি প্রতি বছর হ্রাস পাচ্ছে, যা এক ভয়াবহ পরিবেশগত বিপর্যয়ের ইঙ্গিত বহন করে।
এই কঠিন পরিসংখ্যানগুলোই মনে করিয়ে দেয় কেন ম্যানগ্রোভ ইকোসিস্টেম সংরক্ষণ দিবস বিশ্বজুড়ে এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এটি শুধুই এক দিনের আনুষ্ঠানিকতা নয়—মানুষ ও প্রকৃতির বেঁচে থাকার, প্রজন্মের পর প্রজন্মের টিকে থাকার লড়াইকে বাঁচিয়ে রাখার আহ্বান। ম্যানগ্রোভ ইকোসিস্টেম সংরক্ষণ দিবস বিশ্বের বিভিন্ন উপকূলীয় দেশেই গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়, তবে দেশের বাস্তবতা আর ম্যানগ্রোভ বনের অবস্থা ভেদে আয়োজন ও কর্মসূচির ধরন ভিন্ন হয়।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যেসব দেশে বড় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল আছে, যেমন বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, কেনিয়া বা ব্রাজিল — এসব দেশে দিবসটি সরকারি, বেসরকারি ও স্থানীয় কমিউনিটি পর্যায়ে উদযাপিত হয়।
কিছু দেশে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা, পোস্টার প্রতিযোগিতা বা শিক্ষামূলক ভ্রমণের আয়োজন করা হয়। উপকূলীয় স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের ম্যানগ্রোভ বন পরিদর্শনে নিয়ে যাওয়া হয়, যাতে তারা সরাসরি এর গুরুত্ব বুঝতে পারে।
বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় মৎস্যজীবী, বনজীবী ও কৃষকদের অংশগ্রহণে কর্মশালা ও সেমিনার হয়, যেখানে টেকসই আহরণ, চিংড়ি চাষের ক্ষতিকর পদ্ধতি এড়িয়ে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতির ব্যবহার শেখানো হয়। অনেক জায়গায় স্থানীয় মানুষ, স্বেচ্ছাসেবক দল বা পরিবেশবাদী সংগঠন ম্যানগ্রোভ পুনঃরোপণ কর্মসূচি হাতে নেয়। উপকূলের ক্ষয়প্রাপ্ত জায়গায় চারা রোপণ করা হয়, যাতে নতুন বন গড়ে ওঠে।
ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের কিছু দ্বীপে দিবসটিকে ‘কমিউনিটি ক্লিন-আপ ডে’ হিসেবেও পালন করা হয়। উপকূলীয় বনের ভেতর জমে থাকা প্লাস্টিক বর্জ্য, জাল বা ময়লা পরিষ্কার করে ফেলা হয়। এতে বনের স্বাস্থ্য ভালো থাকে, জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।
কয়েকটি দেশে বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা সংস্থা ও নীতি-নির্ধারক সংস্থা একসঙ্গে বসে ম্যানগ্রোভ রক্ষার নতুন পদ্ধতি, নীতিমালা বা অর্থনৈতিক সুবিধার বিষয়ে আলোচনা করে। ব্রাজিলে নদী মোহনার ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের রীতি আছে এ দিনে।
ভারত ও বাংলাদেশে দিবসটিকে ঘিরে কিছু গণমাধ্যম বিশেষ প্রতিবেদন ছাপে বা টেলিভিশনে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে, যাতে সাধারণ মানুষও ম্যানগ্রোভের গুরুত্ব ও সংকট বুঝতে পারে।
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো— দিবসটি এখন আর কেবল প্রতীকী নয়, বাস্তব পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে অনেক দেশে কাজ করছে। পুনঃবনায়ন, স্থানীয় মানুষকে সচেতন করা আর বৈজ্ঞানিক গবেষণার সঙ্গে মাঠ পর্যায়ের কাজকে যুক্ত করার চেষ্টাই এখন এই দিবসের মূল শক্তি হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ম্যানগ্রোভ ইকোসিস্টেম সংরক্ষণ দিবসের তাৎপর্য অনেক গভীর ও বাস্তব। এ দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ও বিখ্যাত ম্যানগ্রোভ বন হলো সুন্দরবন। এটি শুধু বাংলাদেশের গর্ব নয়, বিশ্বের বৃহত্তম একক ম্যানগ্রোভ বনও বটে। সুন্দরবন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে।
সুন্দরবন প্রকৃতির দেওয়া এক দুর্ভেদ্য প্রাকৃতিক দেয়াল, যা ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, লবণাক্ততা ও উপকূল ক্ষয়ের মতো বড় বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে সমুদ্র উপকূলকে রক্ষা করে। ২০০৭ সালের সিডর বা ২০০৯ সালের আইলার মতো ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের সময় সুন্দরবন বুক পেতে দাঁড়িয়েছিল, যার ফলে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হলেও তা আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারেনি। শুধু প্রকৃতি নয়, সুন্দরবন ও অন্যান্য উপকূলীয় ম্যানগ্রোভ বনজ সম্পদ মাছ ধরা, মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ, গাছের কাঠ ও লতাগুল্ম সংগ্রহের মতো কাজে ব্যবহৃত হয়, যা অনেক মানুষের সরাসরি জীবিকার উৎস।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে বাংলাদেশের ম্যানগ্রোভ বনও নানা হুমকির মুখে। অতিরিক্ত চাহিদা, অবৈধভাবে কাঠ আহরণ, অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ, শিল্পবর্জ্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে লবণাক্ততা বৃদ্ধি — সব মিলিয়ে সুন্দরবন ও অন্যান্য ছোট ম্যানগ্রোভ অঞ্চল ক্রমেই ক্ষয়ে যাচ্ছে। এর ফলে একদিকে জীববৈচিত্র্য হারাচ্ছে, অন্যদিকে উপকূলীয় মানুষের জীবন-জীবিকা ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
এই প্রেক্ষাপটে ম্যানগ্রোভ ইকোসিস্টেম সংরক্ষণ দিবস বাংলাদেশের জন্য শুধু প্রতীকী নয়, অত্যন্ত বাস্তব প্রয়োজনের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। এ দিবসটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, সুন্দরবন রক্ষা মানে শুধু বন রক্ষা নয়— মানুষের ঘরবাড়ি, খাদ্য, নদী, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা। তাই এই দিবসটি নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত করা, স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সচেতন করা এবং নীতি-নির্ধারকদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করার এক গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ হয়ে দাঁড়ায়।
যখন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ক্রমেই বাড়ছে এবং উপকূল ভাঙন বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে, তখন ম্যানগ্রোভ বনই পারে সবচেয়ে স্বল্প ব্যয়ে ও টেকসইভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে। তাই ম্যানগ্রোভ সংরক্ষণ দিবসটি বাংলাদেশের উপকূল, জীববৈচিত্র্য ও মানুষের ভবিষ্যৎ টিকিয়ে রাখার জন্য এক মহামূল্যবান বার্তা বহন করে।
ম্যানগ্রোভ ইকোসিস্টেম সংরক্ষণ দিবস মূলত পৃথিবীর উপকূলীয় জীববৈচিত্র্য রক্ষার গুরুত্বকে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য উদযাপন করা হয়। ২০১৫ সালে ইউনেস্কো এই দিবসটিকে আন্তর্জাতিকভাবে ঘোষণা করে। তখন থেকে প্রতি বছর ২৬ জুলাই দিনটি ম্যানগ্রোভ বন ও এর জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে পালিত হচ্ছে।
ম্যানগ্রোভ হলো লবণাক্ত পানিতে জন্মানো বিশেষ ধরণের বন, যা সমুদ্র ও নদীর মোহনায় গড়ে ওঠে। এই গাছপালা শুধু বন্য প্রাণী ও সামুদ্রিক জীবের আবাসস্থল হিসেবেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষাতেও অপরিসীম অবদান রাখে। ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও সমুদ্রভূমিক্ষয়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোকে সুরক্ষা দেয় ম্যানগ্রোভ বন। এ ছাড়া এসব বন মাছ, কাঁকড়া ও চিংড়ির জন্য প্রজননক্ষেত্র হিসেবে কাজ করে, যা কোটি কোটি মানুষের খাদ্য ও জীবিকার উৎস।
কিন্তু মানবসৃষ্ট নানা কার্যকলাপ, যেমন অতি আহরণ, অপরিকল্পিত চাষাবাদ, শিল্পবর্জ্য ও নগরায়ণ ম্যানগ্রোভ বনের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও এই ঝুঁকিকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই ম্যানগ্রোভ ইকোসিস্টেম সংরক্ষণ দিবসের মূল বার্তা হলো— আমাদের পরিবেশ ও উপকূলীয় জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ রাখতে ম্যানগ্রোভ বনের টিকে থাকা জরুরি।
এ দিনটি পালনের মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠী থেকে শুরু করে নীতি-নির্ধারক পর্যন্ত সকলকে একত্রিত করে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যাতে ম্যানগ্রোভ সংরক্ষণের জন্য আইনগত ও সামাজিক উদ্যোগ আরও জোরদার হয়। গবেষণা, শিক্ষা, পুনঃবনায়ন কর্মসূচি এবং কমিউনিটি অংশগ্রহণকে এই দিবস সামনে এনে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
আসলে ম্যানগ্রোভ শুধু গাছ নয়— এটি একটি সুরক্ষার প্রাকৃতিক প্রাচীর, যা মানবজাতিকে প্রকৃতির বৈরিতা থেকে রক্ষা করে। তাই এই দিবসটি আমাদের কাছে এক প্রকার দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেয় — ম্যানগ্রোভ রক্ষায় আমরা সকলেই জড়িত, সকলেরই কিছু করার আছে।
ম্যানগ্রোভ ইকোসিস্টেম সংরক্ষণ দিবসের মূল বার্তাটি বাস্তবতায় গভীর শিকড় গেড়ে আছে— এটি কোনো আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং বৈশ্বিক ও স্থানীয় পর্যায়ে মানুষ ও প্রকৃতির সহাবস্থানের একটি জাগ্রত আহ্বান। বৈজ্ঞানিক গবেষণা বলছে, একটি পূর্ণবিকশিত ম্যানগ্রোভ বন প্রতি হেক্টরে বছরে প্রায় ১,০২০ মেট্রিক টন কার্বন ধরে রাখতে পারে, যা গ্লোবাল ওয়ার্মিং রোধে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অথচ বনের ক্ষয়রোধে মানবসমাজ এখনও পর্যাপ্ত সচেতন নয়— বিশ্বের মোট উপকূলের ৭৫ শতাংশের বেশি অঞ্চলেই ম্যানগ্রোভ ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে।
বাংলাদেশের মতো ঘূর্ণিঝড়প্রবণ দেশগুলোতে ম্যানগ্রোভ বন প্রাকৃতিক প্রাচীরের কাজ করে, যা ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ক্ষয়ক্ষতি ৬০%-৮০% পর্যন্ত কমিয়ে আনতে পারে। সুন্দরবনের মতো জীবন্ত উদাহরণ দেখায়, এক টাকার বিনিয়োগের বিপরীতে কমপক্ষে ১০ টাকা সমমানের পরিবেশগত ও আর্থ-সামাজিক সেবা পাওয়া সম্ভব। তবুও চিংড়ি চাষের জন্য বনের অতি আহরণ, নদীর গতিপথ পরিবর্তন ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে প্রতিবছর হাজার হাজার হেক্টর ম্যানগ্রোভ বন উজাড় হচ্ছে।
ম্যানগ্রোভ শুধু গাছের ঝাঁক নয়—এটি মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া, কচ্ছপ, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও অসংখ্য ক্ষুদ্র প্রাণীর জীবনচক্রের অংশ। পৃথিবীর প্রায় ৪০% সামুদ্রিক মাছ কোনো না কোনো সময় ম্যানগ্রোভের ছায়াতলে বেড়ে ওঠে। ফলে এই বন হারালে সমুদ্রের খাদ্যচক্রও ভেঙে পড়তে বাধ্য।
আন্তর্জাতিকভাবে একে টিকিয়ে রাখার জন্য পুনঃবনায়ন কর্মসূচি, কমিউনিটি-ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা ও কঠোর আইন প্রণয়ন হচ্ছে। বাংলাদেশেও সুন্দরবন রক্ষায় কমিউনিটি প্যাট্রোল দল, সহায়ক বন ব্যবস্থাপনা কমিটি ও বনজীবীদের বিকল্প জীবিকা গড়ে তোলার মতো উদ্যোগ আছে, তবে তা এখনও পর্যাপ্ত নয়।
এই অবস্থায় ম্যানগ্রোভ সংরক্ষণ দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, শুধু সরকারি প্রকল্প বা আন্তর্জাতিক সংস্থা নয়— প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব এই প্রাকৃতিক বর্মটিকে রক্ষা করা। উপকূল বাঁচাতে, প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষা করতে ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সামলাতে ম্যানগ্রোভ বনকে বাঁচিয়ে রাখাই একমাত্র টেকসই পথ। মানবসমাজের দায় তাই স্পষ্ট: প্রকৃতি আর সময় দুটোই আমাদের হাতে সীমিত— তাই এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে, না হলে উপকূল ভাঙবে, বন হারাবে, আর একদিন মানুষও হারিয়ে যাবে তারই অজান্তে।
লেখক : গণমাধ্যমকর্মী।
পাঠকের মতামত:
- কুড়িগ্রামে জুলাই সংগঠক জোবায়ের হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
- এশিয়ান কাপে বাংলাদেশের কঠিন প্রতিপক্ষ
- নতুন ভোটার হচ্ছেন ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার
- আগস্টের শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা
- শক্তিশালী হচ্ছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট, র্যাংকিংয়ে টানা উন্নতি
- বোয়ালমারীতে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ
- পাংশায় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
- সালথায় ৬০টি চায়না দুয়ারী জাল জব্দ, এক জেলের জরিমানা
- শ্রীমঙ্গলে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ
- ‘ভাসানী না হলে শেখ মুজিব তৈরি হতো না’
- ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কা, সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
- সুবিধা বঞ্চিত প্রকৃত ভুক্তভোগীরা, ধরা ছোঁয়ার বাইরে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠনগুলি
- আদমদীঘি উপজেলা পরিদর্শনে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার
- ঠাকুরগাঁওয়ে বিজিবির গুলিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় সাড়ে ৬ বছর পর মামলা
- ফুলপুরে নাগরিক ভাবনা শীর্ষক মতবিনিময় সভা
- নাটোরে ১১ দোকান দখল করে তালা, জামায়াত নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪
- চালককে পাশে বসিয়ে ট্রাক চালাচ্ছিলো হেলপার, দুর্ঘটনায় মৃত্যু
- রংপুরের ঘটনা ফের প্রমান করলো বাংলাদেশে হিন্দুরা মুসলমানের সাথে থাকতে পারবে না!
- ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
- ঈশ্বরদীতে বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনের দাবি
- কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টে ফাইনালে মহম্মদপুর ফুটবল একাদশ
- নগরকান্দায় কেন্দ্রীয় মহিলা লীগ নেত্রী ডিবির হাতে আটক
- ইউএনও’র অনন্য উদ্যোগে স্বস্তিতে সোনাতলার মানুষ
- ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেই হবে না, সফলতার সঙ্গে শেষ করাও জরুরি’
- এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বাতিলের কোনো সুযোগ নেই
- চুয়াডাঙ্গায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর
- বেলকুচিতে জনমত জরিপে এগিয়ে বদিউজ্জামানের মোটরসাইকেল
- শীত আসতেই মুখ-হাত-পায়ে চামড়া উঠছে, কী করবেন?
- কমলনগরে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার আটক
- হিমেল হাওয়ায় কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ
- ‘কোন মানুষ অর্থের কাছে চিকিৎসায় হেরে যাবে না, সবাই বাঁচবে’
- ঝিনাইদহে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ কর্মী নিহতের ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি
- রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ৩ মোটরসাইকেল আরোহীর
- পারিবো না
- মা
- প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি, বিএনপি নেতা চাঁদের নামে মামলা
- প্রজন্মের কাছে এক মুক্তিযোদ্ধার খোলা চিঠি
- ঝিনাইদহে বজ্রপাতে মৃত দুই কৃষক পরিবারকে তারেক রহমানের মানবিক সহায়তা প্রদান
- শ্রীমঙ্গলে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ
- লক্ষ্মীপুরে গুলিবিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
- লক্ষ্মীপুরে বাংলা নববর্ষ উদযাপন
- রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক সামরিক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করছে জান্তা
- অতিরিক্ত ঠান্ডায় ঠাকুরগাঁওয়ে বেড়েছে শিশু রোগীর সংখ্যা
- নৌকার পক্ষে সমর্থন জানানেল এডভোকেট আব্দুল মতিন
- মহুয়া বনে