মুক্তিযুদ্ধ- ৭১
কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে কিছুক্ষণ

আবীর আহাদ
জুলাইয়ের শেষভাগ। ১৯৭১। কোনো একদিন। সকাল পৌনে এগারোটা। শিয়ালদহ রেল স্টেশন থেকে নেমে বাংলাদেশ মিশনের দিকে হাঁটছি। আরো অনেককেই আমার মতো হাঁটতে দেখি। তবে কাউকে চিনি না।
চাকুলিয়া থেকে সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে কল্যাণী হয়ে আমাদের বরিশাল গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর সদর মহকুমার আলফাডাঙ্গার মুক্তিযোদ্ধাদের ৯ নং সেক্টরের হেডকোয়ার্টার টাকীতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আমরা অস্ত্রের অপেক্ষায় রয়েছি। সেক্টর প্রধান মেজর এমএ জলিল জানিয়েছেন, আমাদের দেশের ভেতর পাঠাতে আরো কয়েক দিন দেরী হবে। ফলে এ অবসরে আমি কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনের প্রেসবিভাগের কর্মকর্তা আলীমুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। আলীমুজ্জামান আমার কাকা। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের সাথে কাকার খুব ভাল সম্পর্ক। প্রধানমন্ত্রী আমাকেও চেনেন। তবে আলী কাকা সুপারিশ করলে আমরা ভালো অস্ত্রসমেত দ্রুত দেশে ঢুকতে পারবো। এ উদ্দেশে কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে যাচ্ছি।
বারাসাত থেকে ট্রেনে আসার সময় বেশ বৃষ্টি হয়েছিল। বৃষ্টির সে-পরশ কলকাতার রাস্তায়ও লেগে আছে। তবে আকাশে এখন প্রখর সূর্য। দক্ষিণ আকাশে সজল মেঘের মাতামাতিও দেখি। মনে মনে ভাবি, এটা তো আষাঢ় মাস। আষাঢ়ের বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে, এই মেঘ, এই বৃষ্টি, এই রোদ। প্রকৃতিতে তারই আভাস।
আলীমুজ্জামান কাকাকে অফিসে পেলাম না। তার সহকারীর কাছ থেকে জানলাম যে, তিনি অসুস্থ। বাসাতেই আছেন। মিশন প্রধান হোসেন আলীও কলকাতার বাইরে। পরিচিত আর কাউকে না পেয়ে তিনতলা থেকে নিচে নেমে আসি। আর নিচে নামতেই অবাক চোখে দেখি বঙ্গবন্ধুর ছোটভাই শেখ আবু নাসের ও গোপালগঞ্জ মহকুমা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম রইস একটা জীপ থেকে নামছেন। চোখাচোখি হতেই নাসের ভাই প্রায় চিৎকার করে বলে ওঠেন, আরে ছোটো ভাই, তুমি এখানে?
রইস ভাইও আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। হ, ভাইজান! ট্রেনিং শ্যাষ। হয়তো ২/৪ দিনের মধ্যি দেশে চইলা যাবো। ভাবলাম কাকার সাথে একটু দেখা কইরা যাই। আমি বলি।
নাসের ভাই আমার কাঁধে একটা হাত রেখে বললেন, তোমারে টাকীতে দূর থেইকে দেখলাম, পরে আর খুঁইজা পাইলাম না। তয় মেজর জলিলকে বলে এসেছি, তোমাদের যেনো তাড়াতাড়ি দেশে পাঠায় দেয়।
পাশ থেকে রইসভাই বলে উঠলেন, দেশে যাইয়া মুজিব বাহিনীর সঙ্গে যেনো কোনো সংঘাতে জড়াইও না! বনগাঁতে শেখ মণির সাথে মুজিব বাহিনী গঠন নিয়া তুমি যে তর্ক বাঁধাইছিলা, এজন্যি কথাটা বললাম।
তখন নাসের ভাইও বললেন, কও তো রইস, মুক্তিবাহিনী থাকতে আবার আর কিসের কী বাহিনী? মুক্তিযুদ্ধে যারাই আইছে, তারা সবাই মুজিবের বাহিনী। মুক্তিবাহিনী থাকতে মুজিববাহিনী নামে আরেকটি বাহিনী করার অর্থ কিন্তু মুক্তিবাহিনীকে অবিশ্বাস করা; একটা বিভ্রান্তি ছড়ানো।
আহাদ সেদিন শেখ মণির সামনে ঠিক একথাটিই তুলে ধরছিল। শেখ কামালের সাথে আমার এ ব্যাপারে কথা হইছে। সেও ঠিক এধরনের কথা বলেছে। কামাল ওসমানী সাহেবের সাথেই রইছে। তার এডিসি। রইসভাই বললেন।
এসব নিয়ে শেখ নাসের আর কোনো মন্তব্য না করে বললেন, উপর থেইকা তো নামলা, তা আলীমুজ্জামান অফিসে আছে? না ভাইজান, তিনি অসুস্থ। ছুটিতে আছেন। আমি বলি। তাইলে রইস, চলো, আমরা একটু প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা কইরা যাই। শেখ নাসের বললেন। নাসের ভাইয়ের একথা শুনে আমি বায়না ধরি: ভাইজান, দেশে তো চইলা যাচ্ছি, মরি কি বাঁচি তা জানি না, তো প্রধানমন্ত্রীকে শেষবারের মতো একটা স্যালুট দিয়া যইতে চাই। যেতে চাও? চলো। নাসের ভাই বললেন।
বাংলাদেশ মিশন ছেড়ে জীপ বালিগঞ্জের দিকে না যেয়ে অন্য পথে থিয়েটার রোডের একটি বাড়ির সামনে থামতেই আমি বলে উঠি, এটাই কি প্রধানমন্ত্রীর কার্যাল? হ। প্রধানমন্ত্রী এখন থিয়েটার রোডে অফিস করেন এবং এখানেই থাকেন। এটা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর বাসভবন। রইসভাই বললেন।
আমরা জীপ থেকে নামলাম। বাড়ির চারদিকে কড়া পাহারা। তবে প্রহরীরা আমাদের কাউকে কিছু বললো না। উপরন্তু শেখ আবু নাসেরকে গান স্যাল্যুট দিলো।
প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ, ব্যারিস্টার আমীরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব ড. ফারুক আজিজ খানসহ কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কীসব বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করছেন। শেখ নাসেরসহ আমাদের দেখে প্রধানমন্ত্রী সপ্রতিভকণ্ঠে বলে ওঠেন, ফরিদপুরের ফুল কেবিনেট যে! সবাই হো হো করে হেসে ওঠেন। আমরাও হাসি।
বসতে বসতে শেখ নাসের বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যশোরের লোহাগড়া থানার পুলুম নামক গ্রামের মধ্য দিয়ে বরিশাল ও গোপালগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা ও শরণার্থীরা আসা যাওয়া করে। খবর পেয়েছি, ঐ পুলুমে পূর্ব পাকিস্তান নামধারী কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল) হক গ্রুপের লোকজন নিজেদের জয়বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধু আর মুক্তিবাহিনীর পরিচয় দিয়ে আদর-যত্ন করার নামে শরণার্থী ও মুক্তিবাহিনীর সবকিছু লুঠ করে নিচ্ছে এ ব্যাপারে একটা ড্রাস্টিক একশান চাচ্ছি। আর একটা বিষয় আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ৯ নং সেক্টর থেকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অভিযুক্ত নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য সুলতানউদ্দিন আহমদ, মুহম্মদ খুরশীদ ও নূর মোহাম্মদ বাবুলকে ক্যাপ্টেন পদমর্যাদা দেয়ায় আপনার আর্মী হেডকোয়ার্টার ও রেগুলার অফিসাররা নাকি প্রবল বিরোধিতা করছে! তারা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামীসহ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বাপ্নিক। মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে তাদেরকে যথাযথ মর্যাদায় দায়িত্ব দেয়া নিশ্চয়ই কোনো অন্যায় নয়।
শেখ নাসেরের কথা শেষ না হতেই প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ বলেন, তাদেরকে তো সরকারিভাবে কনফার্ম করা হয়েছে! এরপর কারা বিরোধিতা করছে, সে ব্যাপারে ৯ নং সেক্টর থেকে যেনো আমাকে নোট দেয়া হয়।' তারপর তিনি তাঁর একান্ত সচিবের দিকে তাকিয়ে বললেন, বিষয়টি জরুরীভিত্তিতে দেখো। আর হ্যাঁ, মেজর জলিল ও মেজর আবু ওসমানকে পুলুমের বিষয়ে কঠিন ব্যবস্থা নিতে বলো।পুলুম তো গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়ার অতি নিকটে। ভাটিয়াপাড়াতে পাকিস্তান বাহিনীর একটা শক্ত ঘাঁটি রয়েছ। ঐ এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ভারি ও আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র দেয়ার ব্যবস্থা করুন।
একান্ত সচিব প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনামা নোট করেন। এ সময় আমি বলি, স্যার, আমরা চাকুলিয়া সিইনসি স্পেশাল থেকে ৯ নং সেক্টরে গোপালগঞ্জ ফরিদপুর ও বরিশালের দেড়শত মুক্তিযোদ্ধা এসেছি। সেক্টরে প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ নেই। আমাদের বসিয়ে রাখা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এবার উপস্থিত আরেকজনের উদ্দেশ্য বলেন, সামাদ, এসব তো তোমার ডিফেন্স মিনিস্ট্রির ব্যাপার। বিষয়টা জরুরীভিত্তিতে দেখো। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের এভাবে বসিয়ে রাখা ঠিক হচ্ছে না।
প্রতিরক্ষা সচিব আবদুস সামাদ বলেন, স্যার, আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে আপনি যদি- -ঠিক আছে। বিষয়টি নিয়ে আজই আমি শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে কথা বলবো। এ কে খন্দকারকে বলো, তিনি যেনো ফোর্ট উইলিয়ামে জেনারেল জ্যাকবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।' তারপর আমার দিকে তাকিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমাদের প্রশিক্ষণ কেমন হলো? খুবই ভালো হয়েছে, স্যার। ভারতীয় সৈন্যরা আন্তরিকতার সাথে আমাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। হুম! আমাদের টার্গেট কিন্তু আগামী ডিসেম্বর। সেভাবেই অস্ত্র ধরতে হব।
আমরাও প্রস্তুত স্যার! প্রয়োজনীয় অস্ত্র গোলা-বারুদ সাপ্লাই ঠিক থাকলে আমরা বিচ্ছুরাই পাকিস্তান হানাদারদের কূপোকাত করতে যথেষ্ট। আমার এ কথায় কক্ষশুদ্ধ সবার দৃষ্টি এসে নিবদ্ধ হয় আমার দিকে। আমার তখন ভীষণ লজ্জা লাগে!
প্রধানমন্ত্রী বুঝি আমার অবস্থা বুঝতে পারেন। বিষয়টিকে হালকা করার জন্য তিনি হাসি হাসি মুখে বললেন, আমরা তোমাদের মতো বিচ্ছুদের উপরই বেশি নির্ভরশীল। প্রফেশনাল আর্মী থেকে তোমরা গণবাহিনীর সদস্যরা অনেক বেশি চেতনাতৃপ্ত, অনেক বেশি ক্ষিপ্র। আরেকটা বিষয় আমাদের গোচরে এসেছে। মুজিববাহিনী নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই। তারাও সম্মিলিত মুক্তিবাহিনীর অংশ। মুক্তিবাহিনী ও মুজিববাহিনী- সবাই বঙ্গবন্ধুর অনুসারী- বঙ্গবন্ধুর বাহিনী। এসব নিয়ে তোমরা কোনোপ্রকার দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগবে না। সবাই মিলে হানাদারদের খতম করতে হবে, এটাই মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যাশা। আরো কিছু কিছু বিষয়ে যেসব বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে তা আমরা সম্পূর্ণ কাটিয়ে উঠেছি। পরিষ্কার কথা, আমরা বঙ্গবন্ধুকেও চাই, স্বাধীনতাও চাই।
এসময় আমি হঠাত্ বলে উঠি, স্যার, ভারত আমাদের জন্য সবকিছুই করছে, তো স্বাধীন দেশ হিশেবে আমাদের বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না কেনো? কোনো একমসয় ভারতই আমাদের ওপর জেঁকে বসবে না তো!
প্রধানমন্ত্রী একটু মুচকি হাসি দিয়ে বলেন, আমরা যেমন আমাদের দেশ, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দিক নিয়ে ভাবি, ভারতকেও ভাবতে হয়। বিশ্বরাজনীতির দৃষ্টিভঙ্গি, তার গতিপ্রকৃতিসহ ভারতকে তার দেশের অখণ্ডতা, বিশেষ করে তার মূল ভূখণ্ড থেকে শিলিগুড়ির প্রত্যন্ত সরু অঞ্চল পেরিয়ে তার পূর্বাঞ্চলীয় বিশাল পাহাড়ি অঞ্চলের নিরাপত্তা প্রশ্নে বাংলাদেশ পরিস্থিতি জড়িত। সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে ভারতের একটা সমঝোতা চলছে। ভারতকে তাদের মতো করে ভাবতে দাও। সময় হলেই বুঝবে, ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তথা স্বাধীনতা সম্পর্কে কতোখানি আন্তরিক। তবে তোমরাও জানো, আমরাও জানি, তার মাটিতে কোটিখানেক শরণার্থী লালন, সরকার পরিচালনা ও মুক্তিযুদ্ধের সামরিক প্রশিক্ষণসহ তারা অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছ। এটা তার আন্তরিকতার বড়ো প্রমাণ। সময় মতো স্বীকৃতি দিয়েই সর্বাত্মক শক্তি দিয়ে আমাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মহাসমরে ঝাঁপিয়ে পড়বে ভারতীয় মিত্রবাহিনী- বন্ধু বাহিনীরূপে।
এক গ্লাস পানি পান করে প্রধানমন্ত্রী এবার বেশ দৃঢ়তার সাথে বললেন, বঙ্গবন্ধুর বাঙালি মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানকে তাড়িয়ে ভারতকে তার মাটিতে বসতে দেবে না। আমাদের আহ্বানে ভারতীয় মিত্রবাহিনী বাংলাদেশে প্রবেশ করবে, আবার আমাদের আহ্বানে তারা বাংলাদেশ ছেড়ে যাবে। এটা আমার কথা নয়, এটা বঙ্গবন্ধু ও ইন্দিরা গান্ধীর অঙ্গীকার। তোমরা হয়তো জানো কিনা জানি না, বহুদিন আগে লণ্ডনে মুজিবভাই ও ইন্দিরা গান্ধীর এক বৈঠকে এ সমঝোতা হয়েছিলো। দ্বিতীয়বার একাত্তরের প্রথমদিকে সাধারণ নির্বাচনে যখন ইন্দিরা গান্ধী বিজয়ী হন, তখন তার প্রধানমন্ত্রী হিশেবে শপথ নেয়ার কথা ছিলো ১১ মার্চ। সেটিকে পিছিয়ে তিনি ১৭ মার্চ শপথ নেন। এদিন সকাল বেলা ঢাকায় বঙ্গবন্ধু তার ৫১তম জন্মদিনে কর্মী ও ভক্তদের দেয় মাল্য গলে নিচ্ছেন, ওদিকে দিল্লিতে ইন্দিরা গান্ধী একই দিনে প্রধানমন্ত্রী হিশেবে শপথ নিচ্ছেন। এটা ছিলো বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর অঙ্গীকার পূরণ করার ইংগিত যা মুজিবভাইও বুঝেছিলেন। আমাকেও একান্তভাবে সেটি তিনি বলেছিলেন।
শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর সাথে আমার কথা হয়েছে। এসব কথা তিনি আমাকেও বলেছেন। তাঁর সাথে কথা বলে এবং বাস্তব ফল পেয়ে আমার এ বদ্ধমূল ধারণা হয়েছে যে, বঙ্গবন্ধুর প্রতি ইন্দিরা গান্ধীর অগাধ আস্থাসহ আমাদের বাংলাদেশের মানুষের সংগ্রামী চেতনা ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার প্রতি বিপুল শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। তোমরা ইন্দিরা গান্ধী ও আমার উপর আস্থা রাখতে পারো, বিশেষ করে আমি আমার প্রাণপ্রিয় নেতা মুজিবভাইকে অসম্মান করবো না, করতে পারি না। কোনো কারণে ভারত যদি আমাদের সরাসরি সহযোগিতা করতে না পারে, তারপরও আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ক্ষতি হবে না, হয়তো তা প্রলম্বিত হবে। ভিয়েতনামের মতোই আমরা বছর বছর ধরে লড়াই চালিয়ে যাবো।
প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিনের এহেন আবেগঘন ও প্রত্যয়দৃপ্ত দৃঢ় বক্তব্য শুনে আমার চোখ ফেটে ক'ফোটা অশ্রু ঝরে পড়ে। শেখ আবু নাসেরকেও রুমালে চোখ মুছতে দেখি। অন্যান্য সবার মুখ থমথমে। কামরুল ইসলাম রইস শেখ নাসেরভাইকে ইশারা দিয়ে উঠে দাঁড়ালেন।
প্রধানমন্ত্রী গম্ভীর কণ্ঠ বললেন, নাসের, আর কিছু বলবে, ভাই? না তাজভাই, আপনি আপনার কাজ করেন। আমি তো প্রায়ই এসে আপনাকে বিরক্ত করে যাই। তাজউদ্দিন আহমদ উঠে দাঁড়িয়ে শেখ নাসেরের একটা হাত ধরে বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে বললেন, তোমার মুখের উপরই তো মুজিবভাইয়ের মুখ খুঁজে পাই।
লেখক :মুক্তিযোদ্ধা লেখক ও গবেষক।
পাঠকের মতামত:
- ইন্দো-প্যাসিফিক ও বঙ্গোপসাগর: বাংলাদেশের ভারসাম্য রক্ষার কৌশল
- শৈলকুপায় আহত মেছো বাঘকে পিটিয়ে মারলো এলাকাবাসী
- ‘চাঁদাবাজিতে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই’
- ‘রাষ্ট্র সংস্কারের ৩৭ সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়েছে’
- ‘আগামী সপ্তাহে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা’
- শুভ জন্মাষ্টমী: সত্য, সুন্দর ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় শান্তির বার্তা
- সালথা থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত
- সাদা পাথর লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনী নোটিশ
- ২৮ বছর পর সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- বাকৃবিতে শাহাজালাল হলে নবীনবরণ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
- হালিশহরে থানা পুলিশের অভিযানে ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
- কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে কিছুক্ষণ
- ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩, আহত ১৫
- স্বামীকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্স খাদে, প্রাণ গেল স্ত্রীর
- রুশ সহায়তায় কাজাখস্থানে নির্মিত হবে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
- হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মায় প্রতিদিনই বাড়ছে পানি
- পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেফতার
- ছুটি রিসোর্ট কক্সবাজারে বিনিয়োগের সেরা সুযোগ
- ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই স্কুলছাত্র নিহত
- শৈলকুপায় ব্যবসায়ীর পায়ের রগ কর্তন
- ‘জুলাই সনদের কিছু অংশ বিপজ্জনক’
- ‘সতর্ক থাকতে হবে নির্বাচন যেন ফেব্রুয়ারি অতিক্রম না করে’
- ‘পকেট-সাইজড জায়ান্ট’ অনার প্যাড এক্স৭ এখন বাজারে
- দুদকের মামলায় পাপিয়া দম্পতির রায় আজ
- ‘জুলাই অভ্যুত্থানে বড় অবদান ছিল শিক্ষার্থীদের’
- ফ্যাটি লিভার চিকিৎসায় বিশেষ সাফল্য অর্জন
- প্রাথমিকের ৩২ হাজার শূন্য পদে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশ
- বেলোনিয়ায় মুক্তিবাহিনীর ঘাঁটিতে পাকবাহিনীর অতর্কিত হামলা
- হালিশহরে থানা পুলিশের অভিযানে ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
- ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩, আহত ১৫
- বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী : আনন্দে-বেদনায়
- ঠাকুরগাঁওয়ে সফল নারীরা পেলেন সম্মাননা ক্রেস্ট
- সালথা থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত
- কাগজের নৌকা
- মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় মাসুদা বেগম বুলু
- ঘুরে আসুন রাজবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী ৪ দর্শনীয় স্থান
- শুভ জন্মাষ্টমী: সত্য, সুন্দর ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় শান্তির বার্তা
- দ্বিজেন্দ্রলাল রায়’র কবিতা
- একুশের কবিতা
- সাদা পাথর লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনী নোটিশ
- গৌরীপুরে প্রকৃতিতে শোভা ছড়াচ্ছে সোনালু ফুল
- ‘জেলা উপজেলায় আ.লীগের স্মার্ট কার্যালয় গড়ে তোলা হবে’
- ‘কারও স্বীকৃতির জন্য সরকার বসে নেই’
- সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু
- 'যথাযথ প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ হয়ে বিদেশে গেলে কাজের অভাব হয় না'
১৪ আগস্ট ২০২৫
- ইন্দো-প্যাসিফিক ও বঙ্গোপসাগর: বাংলাদেশের ভারসাম্য রক্ষার কৌশল
- কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে কিছুক্ষণ