শক্তির বাইরে দাঁড়িয়ে শান্তির নৈতিক অবস্থান
ওয়াজেদুর রহমান কনক
বিশ্ব রাজনীতিতে সহিংসতা, যুদ্ধ ও শক্তির আধিপত্য যত বেড়েছে, ততই একটি বিকল্প নৈতিক অবস্থানের প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট হয়েছে—যেখানে সংযম, ভারসাম্য ও মানবিক দায়বদ্ধতা প্রাধান্য পায়। এই প্রেক্ষাপটে এমন একটি ধারণা ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, যা রাষ্ট্র ও সমাজকে ক্ষমতার সংঘাত থেকে দূরে রেখে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথ দেখায়। এই ধারণা কোনো পক্ষের প্রতি অন্ধ আনুগত্য নয়, আবার ন্যায়ের প্রশ্নে নীরবতাও নয়; বরং এটি বিবেচনাপ্রসূত দূরত্ব বজায় রেখে মানবিক মূল্যবোধ রক্ষার একটি সচেতন অবস্থান।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ইতিহাসে দেখা যায়, শক্তির রাজনীতিতে সরাসরি জড়িয়ে পড়া অনেক রাষ্ট্রের জন্য অস্তিত্বগত সংকট তৈরি করেছে। তার বিপরীতে, ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান গ্রহণকারী সমাজ ও রাষ্ট্রগুলো নিজেদের সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক স্থিতি এবং সামাজিক নিরাপত্তা তুলনামূলকভাবে ভালোভাবে রক্ষা করতে পেরেছে। এই অবস্থান যুদ্ধ এড়ানোর কৌশল হিসেবেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করে, আস্থার সেতু গড়ে তোলে এবং সংঘাতরত পক্ষগুলোর মধ্যে সংলাপের সুযোগ সৃষ্টি করে।
এই দর্শনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে শক্তির ব্যবহার নয়, বরং নৈতিক দায়িত্ব ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে পুনর্গঠন করা। এতে বিশ্বাস করা হয় যে শান্তি কেবল সামরিক বিজয়ের ফল নয়; বরং তা আসে সহনশীলতা, ন্যায়বোধ ও মানবিক আইনের প্রতি আনুগত্য থেকে। এই দৃষ্টিভঙ্গি রাষ্ট্রগুলোকে উৎসাহিত করে যেন তারা যুদ্ধের উস্কানি বা জোটগত শত্রুতার পরিবর্তে মধ্যস্থতা, মানবিক সহায়তা এবং কূটনৈতিক সংলাপকে অগ্রাধিকার দেয়।
মানবাধিকার ও মানবিক সংকটের ক্ষেত্রেও এই ধারণার উদ্দেশ্য গভীরভাবে যুক্ত। সংঘাতের সময় বেসামরিক জনগণ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও নিরপেক্ষ অবস্থান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পক্ষপাতহীনভাবে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে, শরণার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং যুদ্ধাপরাধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে নৈতিক অবস্থান নিতে সক্ষম করে। এখানে লক্ষ্য হলো কোনো পক্ষকে শক্তিশালী করা নয়, বরং মানবজীবনের মর্যাদা রক্ষা করা।
আধুনিক বিশ্বে তথ্যযুদ্ধ, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও ভূরাজনৈতিক মেরুকরণের মধ্যে এই দর্শনের উদ্দেশ্য আরও বিস্তৃত হয়েছে। এটি রাষ্ট্র ও সমাজকে শেখায় কীভাবে চাপে পড়েও স্বাধীন চিন্তা বজায় রাখতে হয় এবং স্বল্পমেয়াদি রাজনৈতিক লাভের বদলে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে অগ্রাধিকার দিতে হয়। একই সঙ্গে এটি নাগরিক পর্যায়ে সহনশীলতা, মতের বহুত্ব এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সংস্কৃতি গড়ে তোলার নৈতিক প্রেরণা জোগায়।
সবশেষে, এই ধারণার মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্বকে মনে করিয়ে দেওয়া যে শান্তি কোনো দুর্বলতার প্রকাশ নয়; বরং তা একটি সচেতন, দৃঢ় ও দায়িত্বশীল অবস্থান। শক্তির সংঘর্ষের বাইরে দাঁড়িয়ে ন্যায়, মানবতা ও সংলাপকে সামনে রেখে একটি স্থিতিশীল বৈশ্বিক ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাওয়াই এর অন্তর্নিহিত লক্ষ্য।
আন্তর্জাতিক নিরপেক্ষতা দিবস প্রতিবছর ১২ ডিসেম্বর পালিত হয়। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০১৭ সালে একটি প্রস্তাবের মাধ্যমে এই দিবস ঘোষণা করে, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংঘাত নিরসনে নিরপেক্ষতার ধারণাকে একটি বৈধ ও কার্যকর নীতিগত কাঠামো হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। নিরপেক্ষতা এখানে কেবল যুদ্ধের সময় পক্ষ না নেওয়ার একটি কূটনৈতিক কৌশল নয়; বরং এটি একটি গভীর রাজনৈতিক, নৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কভিত্তিক দর্শন।
নিরপেক্ষতার ধারণার ঐতিহাসিক শিকড় প্রাচীন। গ্রিক নগররাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের সময় কিছু নগররাষ্ট্র ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে নিজেদের অর্থনীতি ও সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করত। মধ্যযুগে ইউরোপে নিরপেক্ষতা একটি বাস্তববাদী কৌশল হিসেবে বিকশিত হয়, বিশেষ করে বাণিজ্যনির্ভর রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে। আধুনিক অর্থে নিরপেক্ষতার রাষ্ট্রীয় রূপ প্রথম সুসংহতভাবে দেখা যায় ১৮১৫ সালের ভিয়েনা কংগ্রেসে সুইজারল্যান্ডের স্থায়ী নিরপেক্ষতা স্বীকৃত হওয়ার মাধ্যমে। এর পর থেকে নিরপেক্ষতা আন্তর্জাতিক আইনের একটি স্বতন্ত্র ধারণায় পরিণত হয়।
বিশ্বের স্থিতিশীলতা ও সংঘাতের বর্তমান পরিসংখ্যান যদি বিশ্লেষণ করি, তাহলে স্পষ্ট হয় যে বিশ্ব আজ আগের চেয়ে বেশি বিচ্ছিন্ন, সংঘাতোপাদ এবং মানবিক সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে আছে — এবং এর থেকে মুক্তির পথে নিরপেক্ষ, সমন্বিত ও নৈতিক কূটনৈতিক নীতি কতটা জরুরি তা সংখ্যায় পরিস্কার বোঝা যায়।
২০২৪ সালে বিশ্বে ৫৯টি রাষ্ট্র-ভিত্তিক সংঘাত (state-based conflict) চলছিল, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যার দিকে ইঙ্গিত করে। এই সংঘাতগুলোর ফলশ্রুতিতে ১,৫২,০০০ এর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, যা যুদ্ধের তীব্রতা ও বিস্তারের স্বীকৃতি দেয়। একই সময়ে ৭৮টি দেশই সংশ্লিষ্ট হয়েছে সীমান্তবহির্ভূত সংঘাতে, যা দেখায় সংঘাত শুধু কয়েকটি অঞ্চলে সীমাবদ্ধ নয় বরং এটি গ্লোবাল ব্যবস্থাকে স্পর্শ করছে।
একইসাথে ২৪৩টি (এবং ধরে নেওয়া বিভিন্ন উৎসে ≈১১০–১১৫) সক্রিয় সশস্ত্র সংঘাত চলছে বিশ্বজুড়ে৷ এমন পরিস্থিতিতে প্রায় ৫ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ, অর্থাৎ বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় ৫০%, সরাসরি বা পরোক্ষভাবে সংঘাতের প্রভাবের মধ্যে আছে — ক্ষুধা, নিরাপত্তাহীনতা, শরণার্থী সমস্যায় জরিত।
মার্কিন ও জাতিসংঘের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে প্রতিবর্ষই পুরো বিশ্বে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ১২২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ যুদ্ধ ও নিপীড়নের কারণে বাড়িঘর ছেড়েছে, যা মানবিক সমস্যা কে তীব্র করে তোলে।
সমস্যা শুধু মৃত্যু ও বাস্তুচ্যুতি নয় — যুদ্ধ ও সংঘাতের অর্থনৈতিক ব্যয় যথেষ্ট বিশাল। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় ১৩.৫% (১৯.১ ট্রিলিয়ন ডলার) ছিল সহিংসতার সরাসরি ও পরোক্ষ ব্যয়। অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং বিনিয়োগের ক্ষুদ্র পরিমাণ শান্তি সংরক্ষণে বরাদ্দ হওয়ায় বিশ্ব অর্থনীতির জন্য সংঘাতের নেতিবাচক প্রভাব আরও প্রবল হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে এমন একটি নৈতিক ও কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি অপরিহার্য হয়ে ওঠে, যা শক্তির দ্বন্দ্ব থেকে বেরিয়ে সংলাপ, ভারসাম্য, এবং মানবিক দায়িত্বে ভিত্তি করে বিশ্বকে শান্তির পথে নিয়ে যেতে পারে। পরিসংখ্যানগুলোই বলে দেয় যে যুদ্ধ ও সংঘাত আমাদের জন্য কেবল ইতিহাসের অধ্যায় নয়, বরং বর্তমানের বাস্তব চ্যালেঞ্জ। শান্তি ও নিরপেক্ষতার নীতি তখন শুধু নীতিগতভাবে নয়, বাস্তব তথ্য ও মানবিক জরুরি প্রয়োজনে দাঁড়িয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
আন্তর্জাতিক আইনে নিরপেক্ষতা মূলত যুদ্ধকালীন একটি রাষ্ট্রের অবস্থান নির্দেশ করে। নিরপেক্ষ রাষ্ট্র যুদ্ধরত পক্ষগুলোর কোনোটিকেই সামরিক সহায়তা দেয় না এবং তার ভূখণ্ড যুদ্ধের কাজে ব্যবহার করতে দেয় না। এর বিনিময়ে যুদ্ধরত পক্ষগুলো নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা সম্মান করতে বাধ্য থাকে। ১৯০৭ সালের হেগ কনভেনশন নিরপেক্ষতার আইনি কাঠামো নির্ধারণে একটি মাইলফলক দলিল। তবে আধুনিক বিশ্বে নিরপেক্ষতা কেবল যুদ্ধকালীন আইনি মর্যাদায় সীমাবদ্ধ নেই; এটি শান্তিকালীন কূটনীতি, মধ্যস্থতা ও সংঘাত প্রতিরোধের একটি কার্যকর দর্শনে রূপ নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক নিরপেক্ষতা দিবসের দার্শনিক ভিত্তি নিহিত আছে শক্তির রাজনীতির বিকল্প অনুসন্ধানে। বাস্তববাদী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তত্ত্ব যেখানে শক্তি ও স্বার্থকে কেন্দ্র করে বিশ্ব রাজনীতিকে ব্যাখ্যা করে, সেখানে নিরপেক্ষতা একটি নরম শক্তি-ভিত্তিক পথ দেখায়। এটি ধরে নেয় যে সব রাষ্ট্র সামরিক জোট বা শক্তির ব্লকে যুক্ত না হয়েও নিজেদের নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারে। এই দৃষ্টিভঙ্গি বিশেষভাবে ছোট ও মাঝারি রাষ্ট্রগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যাদের জন্য বৃহৎ শক্তির দ্বন্দ্বে পক্ষ নেওয়া অস্তিত্বের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
নিরপেক্ষতার একটি গুরুত্বপূর্ণ আধুনিক রূপ হলো “সক্রিয় নিরপেক্ষতা”। এটি কেবল নীরব অবস্থান নয়; বরং শান্তি প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভূমিকা পালন। জাতিসংঘ এই ধারণাকে উৎসাহিত করে কারণ নিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলো প্রায়ই বিশ্বাসযোগ্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতে পারে। সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, ফিনল্যান্ড এবং সাম্প্রতিক সময়ে তুর্কমেনিস্তান এই সক্রিয় নিরপেক্ষতার উদাহরণ। তারা আন্তর্জাতিক সংঘাতের সময় আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করে, মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করে এবং শান্তি আলোচনার জন্য নিরপেক্ষ মঞ্চ সরবরাহ করে।
নিরপেক্ষতা দিবসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা হলো নৈতিকতা। নিরপেক্ষতা অনেক সময় ভুলভাবে নৈতিক উদাসীনতা হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়। কিন্তু জাতিসংঘের দৃষ্টিতে নিরপেক্ষতা মানে ন্যায় ও মানবাধিকারের প্রশ্নে নীরব থাকা নয়। বরং এটি সহিংসতা ও প্রতিহিংসার বাইরে থেকে মানবিক মূল্যবোধ রক্ষা করার একটি পন্থা। নিরপেক্ষ রাষ্ট্র যুদ্ধের সমর্থক না হয়ে মানবিক আইন, শরণার্থী সুরক্ষা এবং বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেয়।
আন্তর্জাতিক রাজনীতির সমসাময়িক বাস্তবতায় নিরপেক্ষতা নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। সাইবার যুদ্ধ, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, তথ্যযুদ্ধ এবং জোটভিত্তিক বৈশ্বিক রাজনীতি নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখা কঠিন করে তুলেছে। তবুও জাতিসংঘ নিরপেক্ষতাকে একটি গতিশীল নীতি হিসেবে দেখছে, যা পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। নিরপেক্ষতা দিবস এই কারণেই কেবল অতীতের ধারণা স্মরণ নয়, বরং ভবিষ্যতের শান্তিপূর্ণ বিশ্বব্যবস্থার একটি রূপরেখা।
বিশ্বব্যবস্থার দক্ষিণাংশের দেশগুলোর জন্য নিরপেক্ষতা দিবসের তাৎপর্য আরও গভীর। ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকার, পরাশক্তির প্রভাব এবং আঞ্চলিক সংঘাতের বাস্তবতায় নিরপেক্ষতা একটি আত্মমর্যাদাশীল পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি হতে পারে। বাংলাদেশসহ অনেক উন্নয়নশীল রাষ্ট্র শান্তি মিশনে অংশগ্রহণ, জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের ঐতিহ্য এবং ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতির মাধ্যমে এই দর্শনের সাথে ঐতিহাসিকভাবে যুক্ত।
সার্বিকভাবে আন্তর্জাতিক নিরপেক্ষতা দিবস একটি প্রতীকী দিন হলেও এর মর্মার্থ অত্যন্ত গভীর। এটি রাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং নাগরিক সমাজকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে শক্তির প্রতিযোগিতার বাইরে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব কল্পনা করা সম্ভব। নিরপেক্ষতা এখানে নিষ্ক্রিয়তা নয়, বরং সচেতন সংযম, নৈতিক দৃঢ়তা এবং শান্তির পক্ষে সক্রিয় অবস্থান। পিএইচডি সমমানের দৃষ্টিতে নিরপেক্ষতা তাই কেবল একটি কূটনৈতিক কৌশল নয়; এটি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একটি বিকল্প দার্শনিক কাঠামো, যা ভবিষ্যৎ বিশ্বব্যবস্থার জন্য ক্রমশ অপরিহার্য হয়ে উঠছে।
লেখক : গণমাধ্যমকর্মী।
পাঠকের মতামত:
- সোনাতলায় দাদন ব্যবসায়ীর আঘাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুবকের মৃত্যু
- অচল যন্ত্র, বিশুদ্ধ পানির সংকট ও অব্যবস্থাপনায় ধুঁকছে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- আওয়ামী চাকে বিএনপি-জামায়াতের ঢিল
- চরের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় ২০ লাখ টাকার সেতু
- মুকসুদপুরে নবাগত ইউএনও’র মতবিনিময়
- পাবনা- ৫ আসনে মনোনয়নপত্র নিলেন জামায়াতের প্রার্থী ইকবাল হোসেন
- মাদারীপুরে পায়ে চালিত রিকসা চালকদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
- ঈশ্বরদীতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ
- আগৈলঝাড়ায় বিশেষ অভিযানে শ্রমিকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গ্রেফতার
- নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে সুইট সিক্সটিন পার্টিতে ৬ কিশোর গুলিবিদ্ধ
- বিজয় দিবস: নতুন প্রজন্মের রাষ্ট্রচিন্তার দিকদর্শন
- স্মৃতির রক্তিম আলোয় উদ্ভাসিত বিজয়ের দিন
- শক্তির বাইরে দাঁড়িয়ে শান্তির নৈতিক অবস্থান
- অস্ট্রিয়ার স্কুলে নিষিদ্ধ হচ্ছে হিজাব
- থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশে কারফিউ জারি
- কাপ্তাইয়ে দারুল উলুম বড়ইছড়ি নূরানী মাদ্রাসার ফল প্রকাশ
- টুঙ্গিপাড়ায় গ্রামীন পানি সমিতির লোহার পাইপ বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ
- ঝিনাইদহে রমরমা সুদের কারবারে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ
- মহম্মদপুরের নহাটা বাজারে প্রিন্স টেলিকমে ভিভো শোরুমের উদ্বোধন
- অবরুদ্ধ সুনীল মণ্ডলের বাড়ি পরিদর্শন করলেন কালিগঞ্জ সহকারি কমিশনার
- যশোরের এএসআই কারী মহিবুল্লাহ সাময়িক বরখাস্ত
- রাঙ্গামাটিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে চিন্তাবিদ ও গবেষকদের আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান
- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শাহবাগ ব্লকেড
- হাসিনা-কামালের আমৃত্যু কারাদণ্ড থেকে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল
- ‘হাদিকে সিঙ্গাপুরে নিতে খরচ দেবে মন্ত্রণালয়’
- সিলেটে কমছে বন্যার পানি, দেখা মিলেছে রোদের
- ‘ক্ষমতা ছেড়ে দিন, এক বছরের মধ্যে পরিবর্তন করে দেবো’
- শেখ হাসিনার সাথে মুঠোফোনে কথা বলায় গ্রেফতার আ.নেতা জাহাঙ্গীর
- অনলাইন সাংবাদিকতায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল ‘চট্টগ্রাম জার্নাল’
- উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে জবাই করে হত্যা
- নবীনগরে নতুন করে আবারও রিপোর্টার্স ক্লাবের আত্মপ্রকাশ
- মহম্মদপুরে শহীদ আবীর পাঠাগারসহ মুক্তিযোদ্ধাদের স্থাপনা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি
- সন্ত্রাসীদের ঠাঁই নাই
- অমলকান্তি
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
- নবীনগরে একই পরিবারের চারজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
- স্বাধীনতার সুখ
- নবীনগরে তৃতীয়বারের মতো ইংরেজী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- 'নির্লজ্জ বেহায়া হতেই কী আমরা তোমাকে খুন করেছি কিংবা তোমাকে রক্ষা করিনি?'
- তৃতীয় দিনের মতো খাগড়াছড়িতে চলছে অবরোধ
- চা শ্রমিকদের কেউ হামলার শিকার হয়নি, জানালেন বাগান পঞ্চায়েত
- ‘আয়নাঘরসহ সব গোপন বন্দিশালা বন্ধ করতে হবে’
- 'তোমার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর প্রথম যে ব্যক্তিটি খুনি মোশতাককে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন, তিনি মাওলানা হামিদ খান ভাসানী, যাকে তুমি পিতৃজ্ঞানে শ্রদ্ধা করতে'
- সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকারে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ৪
- সিলেটের জনপ্রিয় সংঙ্গীত শিল্পী হতে চান শর্মিলা বড়ুয়া
-1.gif)








