E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

মিশন ইম্পসিবলের সঙ্গে দেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে থান্ডারবোল্টস

২০২৫ মে ২৩ ১২:৫৭:৪৪
মিশন ইম্পসিবলের সঙ্গে দেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে থান্ডারবোল্টস

বিনোদন ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে অগণিত ভক্ত-দর্শকদের কাঙ্খিত দিনটি চলে এসেছে। ২৩ মে পর্দায় আসছে ‘মিশন ইম্পসিবল: ফাইনাল রেকনিং’। এই খবরে আনন্দিত হতে পারেন বাংলাদেশের দর্শকরাও। কারণ একইদিনে দেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

ইতোমধ্যেই অগ্রিম টিকেটের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন অনেকে। হাই ভোল্টেজ এই সিনেমার পাশাপাশি একই দিনে স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে মার্ভেল স্টুডিওর নতুন সিনেমা ‘থান্ডারবোল্টস’।

মিশন ইম্পসিবল : ফাইনাল রেকনিং
হলিউড সুপারস্টার টম ক্রুজের আইকনিক সিনেমা ‘মিশন ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে দর্শকদের উন্মাদনা বরাবরই তুঙ্গে থাকে। এ যাবৎ ফ্র্যাঞ্চাইজির সাতটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এবার ভক্তরা মুখিয়ে রয়েছেন সিরিজের অষ্টম সিনেমা দেখার জন্য।

সম্প্রতি কান চলচ্চিত্র উৎসবে এর বিশেষ প্রদর্শনী হয়েছে। যেখানে অংশ নিয়েছেন টম ক্রুজসহ সিনেমার কলাকুশলীরা। তিন বছর আগে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’ নিয়ে যেভাবে উড়াল দিয়েছিলেন, সেই একই কায়দায় আবারো আলোড়ন তুললেন টম ক্রুজ।

এবার তিনি নিয়ে এসেছেন ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারির পরিচালনায় ‘মিশন ইম্পসিবল: ফাইনাল রেকনিং’। সিনেমাটিকে এই বছরের কান উৎসবের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত হলিউড প্রিমিয়ার হিসেবে দেখা হচ্ছে। সিনেমাটি স্ক্রিনিংয়ের পর কানে পাঁচ মিনিট দাঁড়িয়ে করতালি দেন দর্শকরা।

এমন আবেগঘন বক্তব্যে টম ক্রুজ বলেন, ‘ছোটবেলায় এমন কিছু কল্পনাও করিনি। আজ ৩০ বছর ধরে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমে আপনাদের বিনোদন দিতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ। ’ ২০১৫ সালের ‘রগ নেশন’ থেকে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির দায়িত্ব নেওয়া ম্যাককোয়ারিকে উদ্দেশ্য করে টম বলেন, ‘তোমার সঙ্গে আরও অনেক সিনেমা করতে চাই। ’

২০২৩ সালের ‘ডেড রেকনিং পার্ট ওয়ান’র সিক্যুয়েল ‘ফাইনাল রেকনিং’। কাহিনি ঘোরে বিশ্বব্যাপী ছড়ানো এআই দুর্যোগের আবর্তে, আর সেই চিরচেনা টম ক্রুজ স্টাইলে একের পর এক ‘অসম্ভব’কে সম্ভব করার গল্প। এবারের সিনেমার বাজেট প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার।

সিনেমার ট্রেলার প্রকাশের পর থেকেই যেন বক্স অফিসে নতুন ঝড়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সেই চোখ ধাঁধানো অ্যাকশন দৃশ্যের ঝলক দেখা গেছে ট্রেলারে। টম ক্রুজ একটি ফাইটার জেট থেকে লাফিয়ে পড়েন এবং পরবর্তী সময়ে তাকে একটি উল্টেপড়া বিমান থেকে ঝুলতে দেখা যায়। এতে আরও রয়েছে একটি ডুবোজাহাজের মধ্যে ভয়ংকর মারামারির দৃশ্য। দেখা যাবে আরও একটি মারাত্মক স্ট্যান্ট যেখানে তিনি একটি বিমান থেকে ঝুলছেন।

এমন দৃশ্যের শুটিং কতটা মারাত্মক ও ভয়ংকর ছিল তা নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে টম বলেন, যখন আপনার মুখটি ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৩০ মাইলেরও বেশি গতিতে ছোটা কোনো যানের (বিমানের) অভিমুখে থাকে, তখন বুঝবেন সময়টা আপনার জন্য কতটা কঠিন। কারণ, তখন আপনি অক্সিজেন পাচ্ছেন না। তাই এ দৃশ্যটির শুটিংয়ের জন্য আমাকে শ্বাস নেওয়ার বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতে হয়েছিল। কাজটি করতে গিয়ে মাঝে মাঝে আমি শারীরিকভাবে অজ্ঞান হয়ে যেতাম; আমি ককপিটে ফিরে যেতে পারতাম না।

সিনেমাটিতে টম ক্রুজ ছাড়াও হেইলি অ্যাটওয়েল, ভানেসা করবি, সাইমন পেগসহ আরও অনেকে অভিনয় করেছেন। জানা গেছে, আইএমএফ এজেন্ট ইথান হান্টের চরিত্রে টম ক্রুজের এটিই শেষ দেখা হতে পারে। কারণ আটটি সিনেমার পর ‘মিশন: ইম্পসিবল’ সিরিজের একটি নাটকীয় সমাপ্তি তুলে ধরার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছেন টম।

‘থান্ডারবোল্টস’
মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্স-এর পঞ্চম ধাপের শেষ চলচ্চিত্র ‘থান্ডারবোল্টস’। গেল ২ মে আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি দর্শক সমালোচকদের কাছ থেকে বেশ ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে। এরিক পিয়ারসন এবং জোয়ানা ক্যালোর চিত্রনাট্য থেকে এটি পরিচালনা করেছেন জ্যাক শ্রিয়ার।

এতে অভিনয় করেছেন ফ্লোরেন্স পু, সেবাস্তিয়ান স্ট্যান, ওয়াট রাসেল, ওলগা কুরিলেনকো, লুইস পুলম্যান, জেরাল্ডিন বিশ্বনাথন, ক্রিস বাউয়ার, ওয়েন্ডেল পিয়ার্স, ডেভিড হারবার, হান্না জন-কামেন এবং জুলিয়া লুই- ড্রেফাস। সিনেমাতে একদল অ্যান্টিহিরো একটি মারাত্মক ফাঁদে আটকা পড়ে এবং একটি বিপজ্জনক মিশনে একসঙ্গে কাজ করতে বাধ্য হয়।  একটি অস্বাভাবিক সুপারহিরো দলের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি, যারা মূলত অ্যান্টিহিরো বা বিতর্কিত অতীতের চরিত্র।

সিনেমাতে দেখা যায় যে ইয়েলেনা বেলোভা, বাকি বার্নস, রেড গার্ডিয়ান, ঘোস্ট, টাস্কমাস্টার এবং জন ওয়াকার এই ছয়জন অ্যান্টিহিরো একটি মারাত্মক ফাঁদে পড়ে যায়, যা তৈরি করেছে ভ্যালেন্টিনা অ্যালেগ্রা দে ফন্টেইন। এই ফাঁদ থেকে বাঁচতে তারা একটি বিপজ্জনক মিশনে অংশ নিতে বাধ্য হয়, যেখানে তাদের নিজেদের অতীতের অন্ধকার দিকগুলোর মুখোমুখি হতে হয়। এই দলের সদস্যরা একে অপরের প্রতি অবিশ্বাসী এবং নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বপূর্ণ, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তারা একটি দল হিসেবে একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করে।

এই সিনেমাটি মার্ভেল স্টুডিওর একটি নতুন দিক নির্দেশ করে, যেখানে তারা অ্যান্টিহিরোদের মনস্তাত্ত্বিক দিক এবং তাদের অতীতের ট্রমা নিয়ে কাজ করেছে। এটি মার্ভেলের পূর্ববর্তী কিছু সিনেমার তুলনায় আরও গভীর এবং সংবেদনশীল। এটি তাদের অতীতের ভুল, গ্লানি এবং মুক্তির গল্প।

(ওএস/এএস/মে ২৩, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

৩১ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test