E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

ভুয়া বিল তৈরির অভিযোগে শিল্পকলার ডিজিকে দুদকে তলব

২০২২ জানুয়ারি ০৬ ১৪:৪২:০৬
ভুয়া বিল তৈরির অভিযোগে শিল্পকলার ডিজিকে দুদকে তলব

স্টাফ রিপোর্টার : ভুয়া বিল তৈরি করে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ, বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ একাধিক অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) তাকে তলবে নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। নোটিশে লিয়াকত আলী লাকীকে আগামী ১৬ জানুয়ারি সকাল ১০টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিমের কাছে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুদকের জনসংযোগ দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার বিগত দুই অর্থবছরের বাজেট, ব্যয় ও ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের নথিপত্র চেয়ে শিল্পকলার মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর কাছে নোটিশ পাঠায় দুদক।

গত সোমবার শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে শত কোটি টাকা আত্মসাৎসহ বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য টিম গঠন করে দুদক।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়ার সমন্বয়ে টিম গঠন করা হয়। পাশাপাশি পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে তদারককারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

দুদকে আসা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক যুগ ধরে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকা লিয়াকত আলী লাকী অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি তহবিল থেকে ২৬ কোটি টাকা তুলে নেন বলে অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালের ৩০ জুন শিল্পকলা একাডেমির আগের সচিব নওশাদ হোসেন বদলি হন। সেদিনই নতুন আদেশ জারি করে একাডেমির চুক্তিভিত্তিক পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিমকে সচিবের দায়িত্ব দেন ডিজি। ৩০ জুন থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ২৬ কোটি টাকা বিভিন্ন কৌশলে উত্তোলন করেন লাকী। পরস্পর যোগসাজশে এই অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মধ্যে আরও রয়েছে সঙ্গীত বিভাগের কক্ষে ব্যবহারের জন্য পর্দা, ক্রোকারিজ ও ফার্নিচার না কিনে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ, ড্যান্স এগেইনেস্ট করোনা কর্মসূচির আওতায় নৃত্যদলের সম্মানী, হার্ডডিস্ক ক্রয়, ডকুমেন্টেশন, প্রপস-কস্টিউম, প্রচার ও বিবিধ ব্যয় দেখিয়ে মোটা অংকের বরাদ্দ দেওয়া হয়।

(ওএস/এএস/জানুয়ারি ০৬, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১০ আগস্ট ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test