E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট খারিজ

২০২৫ মে ২৬ ১৩:০৫:১৮
নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট খারিজ

স্টাফ রিপোর্টার : নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালায় বিতর্কিত ধারাগুলোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ ও এসব ধারা পর্যালোচনার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ (সামারিলি রিজেক্ট) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (২৬ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটকারী আইনজীবী রওশন আলী।

রিটটি খারিজ করে উচ্চ আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি। সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এটা প্রি-ম্যাচিউরড। সুপারিশ যদি সরকার বাস্তবায়ন করে তখন রিটকারী চাইলে আদালতে আসতে পারবেন।

এর আগে, নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালায় বিতর্কিত ও সাংঘর্ষিক ধারাগুলোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ ও এসব ধারা পর্যালোচনার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২৬ মে দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে ১৯ মে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট একই বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে ওইদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রওশন আলী। কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।

৪ মে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন। রিটে কমিশনের সুপারিশ করা বিতর্কিত ৩, ৪, ৬, ১০, ১১ এবং ১২ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

রিটকারী আইনজীবী জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, নারী সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন ২০২৫- এর অধ্যায় ৩, ৪, ৬, ১০, ১১ এবং ১২- তে অন্তর্ভুক্ত সুপারিশগুলো ইসলামি শরিয়তের বিধানের পরিপন্থি, জনগণের ধর্মীয় অনুভূতির পরিপন্থি এবং বাংলাদেশের গণপ্রজাতন্ত্রী সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় এ রিট করা হয়েছে।

রিট আবেদনে সুপারিশগুলো কেন বেআইনিভাবে প্রণীত এবং আইনগত কার্যকারিতা বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রিটে তিনটি মন্ত্রণালয় এবং নারী সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।

আবেদনে বলা হয়েছে, এ রিট কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়। এটি দেশের ধর্মীয় মূল্যবোধ, সংবিধানিক ভারসাম্য এবং সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নেওয়া একটি আইনগত পদক্ষেপ।

রিট আবেদনে বলা হয়, প্রথমত, উইমেন রিফর্ম কমিশন রিপোর্টের অধ্যায় ১১-তে পুরুষ ও নারীর জন্য সমান উত্তরাধিকার দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা সরাসরি কোরআনের সূরা নিসা (৪:১১)-এর পরিপন্থি।

দ্বিতীয়ত, রিপোর্টে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব এসেছে, যা ইসলামি শরিয়তে অনুমোদিত একটি বিধান এবং সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ধর্মচর্চার অধিকার ক্ষুণ্ন করে।

তৃতীয়ত, My Body, My Choice স্লোগানকে অন্ধভাবে সমর্থন দিয়ে শরিয়তের ওপর ভিত্তি না রেখে নৈতিকতার সীমা অতিক্রম করার চেষ্টা করা হয়েছে।

চতুর্থত, যৌনকর্মকে বৈধ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা ইসলামি মূল্যবোধ এবং সংবিধানের ২(ক) ও ২৬ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি।
জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

পঞ্চমত, রিপোর্টে লিঙ্গ পরিচয় এবং ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা শরিয়তবিরোধী এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

(ওএস/এএস/মে ২৬, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

৩১ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test