E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

দায় স্বীকার করে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার জবানবন্দি 

২০২৫ জুলাই ০১ ১৯:০৩:২৫
দায় স্বীকার করে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার জবানবন্দি 

স্টাফ রিপোর্টার : ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের খাস কামরায় জবানবন্দি গ্রহণ শুরু হয়।

আদালতে দায়িত্বরত এক উপপরিদর্শক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিকেল সোয়া ৫টায় তিনি বলেন, জবানবন্দি রেকর্ড করা এখনো চলছে। পরে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে জবানবন্দি গ্রহণ শেষ হয় বলে জানান তিনি।

এর আগে দুই দফায় আট দিনের রিমান্ড শেষে তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক সৈয়দ সাজেদুর রহমান হুদাকে আদালতে হাজির করেন। এ সময় ‘স্বেচ্ছায়’ জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এরপর ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করছেন বলে শেরে বাংলা নগর থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং মামলা, গুম, খুন ও তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়ক সালাহ উদ্দিন খান গত ২২ জুন শেরে বাংলা নগর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের পাশাপাশি তাদের সময়ের নির্বাচন কমিশনারদের আসামি করা হয়।

এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজীর আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার দিনই নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। এরপর ২৭ জুন তাকে আবারও চার দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই তিন নির্বাচনে ‘গায়েবি মামলা, অপহরণ, গুম খুন ও নির্যাতনের’ ভয় দেখিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘গণগ্রেপ্তার’ করে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়।

সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সত্ত্বেও সংবিধান লঙ্ঘন, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন, সরকারি কর্মচারী হয়েও অবৈধভাবে ভোটে হস্তক্ষেপ, ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটের কাজ সম্পূর্ণ করা ও জনগণের ভোট না পেলেও সংসদ সদস্য হিসেবে মিথ্যাভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

উক্ত ঘটনার সাক্ষী সকল ভোট কেন্দ্র এলাকার ভোটাররা এবং ভোটারদের মধ্যে যারা ভোট প্রদান করতে বঞ্চিত হয়েছেন তারাসহ ভোট কেন্দ্রে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্যরা। এ ছাড়া ভোট কেন্দ্রে অনেক সৎ প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ অফিসারসহ স্থানীয় লোকজনসহ আরো অন্যান্যরা ঘটনার সাক্ষী হবে। এ ছাড়া ব্যালট পেপারে যে সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই প্রকৃতভাবে তারা ভোট দিয়েছে কিনা সে বিষয়ে উল্লিখিত ঘটনার সঠিক রহস্য তদন্তে সত্য উদঘাটিত হবে।

রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ যুক্ত হয়েছে এ মামলায়। নূরুল হুদার পর সাবেক আরেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকেও রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০১, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

৩০ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test