E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

খায়রুল হকের মামলায় আরও দুই ধারা সংযোজন

২০২৫ আগস্ট ০১ ১৩:২৩:৫৪
খায়রুল হকের মামলায় আরও দুই ধারা সংযোজন

স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নামে থাকা শাহবাগ থানার মামলায় পেনাল কোডের ১২০ (বি) ও ৪২০ দুটি ধারা নতুন করে সংযোজন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক খালেক মিয়া ধারা সংযোজনের আবেদন করেন। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাঈন উদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য জানান।

ধারা সংযোজনের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আসামি এ বি এম খায়রুল বিচারক হিসেবে লোভের বশবর্তী হয়ে দুর্নীতিমূলক ও বিদ্বেষাত্মক এবং বেআইনিভাবে রায় দেওয়াসহ অসত্য ও জাল জালিয়াতি সৃষ্টি করেছে মর্মে বাদী এ অভিযোগের ভিত্তিতে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্তকালে প্রাপ্ত তথ্য ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় মামলাটি রুজুর ধারাগুলোর পাশাপাশি পেনাল কোড আইনের ১২০(বি) ও ৪২০ ধারা সংযোজন করা একান্ত প্রয়োজন।

গত বছরের ২৭ আগস্ট রাতে শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহা. মুজাহিদুল ইসলাম। মামলায় দণ্ডবিধি আইনের ২১৯ ও ৪৬৬ ধারা উল্লেখ করা হয়েছিল। পরে গত ৩০ জুলাই এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর পর খায়রুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি রিমান্ডে রয়েছেন। গত ২৪ জুলাই সকালে ধানমন্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় ওইদিন রাতে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২৯ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে বেআইনি রায় দেওয়া ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় করা মামলায় তাকে ভার্চুয়ালি গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

মুজাহিদুল ইসলাম সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ে জালিয়াতির অভিযোগ এনে বলেন, ‘বিচারপতি খায়রুল সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কথায় প্রভাবিত হয়ে অবসর-পরবর্তী ভালো পদায়নের লোভে দুর্নীতিমূলকভাবে শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্য ২০১১ সালের ১০ মে সংক্ষিপ্ত আদেশটি পরিবর্তন করে বেআইনিভাবে ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আপিল মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন।’

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ওই ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ কয়েকজন রিট আবেদন করেন। সেই মামলার শুনানি করে ২০০৪ সালে হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। রিট আবেদনকারী ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে রায় দেন আপিল বিভাগ। তখন প্রধান বিচারপতি ছিলেন এবিএম খায়রুল হক। ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলায় প্রকাশ্য আদালতে ঘোষিত রায়ে সুপ্রিম কোর্ট দুই মেয়াদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল রাখার পথ খোলা রেখেছিলেন। কিন্তু ওই বছর সেপ্টেম্বরে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের সময় জালিয়াতি করা হয়।

(ওএস/এএস/আগস্ট ০১, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০২ আগস্ট ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test