E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

অন্তর্বর্তী সরকার গঠন ও শপথ নিয়ে আদেশ বৃহস্পতিবার

২০২৫ ডিসেম্বর ০৩ ১২:৩৬:৫১
অন্তর্বর্তী সরকার গঠন ও শপথ নিয়ে আদেশ বৃহস্পতিবার

স্টাফ রিপোর্টার : অন্তর্বর্তী সরকার গঠন ও শপথ পাঠের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনানি শেষ হয়েছে।

বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চে শুনানি শেষে আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার দিন রেখেছেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট পদত্যাগের করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেন এবং রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন বিষয়ে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের কাছে মতামত চেয়ে রেফারেন্স পাঠান।

সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টের উপদেষ্টামূলক এখতিয়ারের বিষয়ে বলা আছে। অনুচ্ছেদটি বলছে, যদি কোনো সময়ে রাষ্ট্রপতির নিকট প্রতীয়মান হয় যে, আইনের এইরূপ কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে বা উত্থাপনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যা এমন ধরনের ও এমন জনগুরুত্বসম্পন্ন যে, সেই সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের মতামত গ্রহণ করা প্রয়োজন, তা হলে তিনি (রাষ্ট্রপতি) প্রশ্নটি আপিল বিভাগের বিবেচনার জন্য প্রেরণ করতে পারবেন এবং ওই বিভাগ স্বীয় বিবেচনায় উপযুক্ত শুনানির পর প্রশ্নটি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে স্বীয় মতামত জ্ঞাপন করতে পারবেন।

রাষ্ট্রপতির বিশেষ রেফারেন্সের (১/২৪) পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগ গত বছরের ৮ আগস্ট মতামত দেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য শোনা হয়। মতামতে বলা হয়, রাষ্ট্রের সাংবিধানিক শূন্যতা পূরণে জরুরি প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের নির্বাহী কার্য পরিচালনার নিমিত্ত অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টা নিযুক্ত করতে পারবেন। রাষ্ট্রপতি ওইরূপ নিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করাতে পারবেন।

এর বৈধতা নিয়ে আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ গত বছরের ডিসেম্বরে রিট করেন। চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি দেওয়া বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট খারিজ করে দেন। রায়ে হাইকোর্ট বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কোনো আইনি দলিল দিয়ে সমর্থিত নয় বলে রিট আবেদনকারীর বক্তব্যে এসেছে। উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এক অনন্য পরিস্থিতিতে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুয়ায়ী উপদেষ্টামূলক মতামত গ্রহণ করেন। মতামত অনুযায়ী কাজ করেছেন। তাই এটি আইনি দলিল দিয়ে সমর্থিত, বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার দ্বারা সমর্থিত। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে যে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছিল, তা আমাদের ইতিহাসের অংশ এবং আশা করি আগামী বহু বছর ধরে জনগণ যত্নে থাকবে।’

রিটটি ভ্রান্ত ধারণা, বিদ্বেষপ্রসূত ও হয়রানিমূলক বলে উল্লেখ করে তা সরাসরি খারিজ করা হয়।

পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে (লিভ টু আপিল) আবেদন করেন রিট আবদনকারী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ।

মঙ্গলবার আবেদনকারী আইনজীবীর শুনানির পর ইন্টারভেনার হিসেবে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের তিন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। লেখক ফিরোজ আহমদের পক্ষে ড. শরীফ ভূঁইয়া শুনানি করেন। এছাড়া ইন্টারভেনার হিসেবে আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও মোহাম্মদ শিশির মনিরও শুনানিতে ছিলেন।

(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test