E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

গাজায় একদিনে আরও ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত

২০২৫ মে ০৫ ১২:৩২:০৪
গাজায় একদিনে আরও ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত

আন্তজার্তিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক।

হতাহতের সংখ্যা বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।

গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে রবিবার (৪ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ভূখণ্ডটিতে মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ হাজার ৫৩৫ জনে পৌঁছেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আক্রমণে আহত হয়েছেন অন্তত ১২৫ জন। তাদেরকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে গত ১৮ মাসের বেশি সময় ধরে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৯১ জনে পৌঁছেছে।

হামাস নিধনের অযুহাতে ফিলিস্তিনে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। দীর্ঘ ১৫ মাস বর্বর হত্যাযজ্ঞের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দখলদাররা। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল। কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৪৩৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৬ হাজার ৪৫০ জন আহত হয়েছেন।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের অধিকাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

জানা গেছে, গাজায় সামরিক অভিযান তীব্র করার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আরও ৬০ হাজার সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে নেতানিয়াহুর সরকার।

(ওএস/এএস/মে ০৫, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test