E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

ব্রহ্মপুত্রে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ তৈরির কাজ শুরু করল চীন

২০২৫ জুলাই ১৯ ১৯:৩৭:৫৭
ব্রহ্মপুত্রে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ তৈরির কাজ শুরু করল চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের তিব্বতে ইয়ারলুং জাংবো নদে (ভারত-বাংলাদেশে যার পরিচিতি ব্রহ্মপুত্র) বেইজিংয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরির কাজ শুরু করেছে  চীন। শনিবার (১৯ জুলাই) তিব্বতের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ইয়ারলুং জাংবো নদীতে ৬০ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। এএফপ’র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, তিব্বত ও ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীতে ইয়ারলুং জাংবো নদীতে মেগা-বাঁধের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছে চীন। মেগা-বাঁধের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং উপস্থিত ছিলেন।

চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, এই প্রকল্পে পাঁচটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যার মোট ব্যয় প্রায় ১.২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান (১৬৭.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) হতে পারে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারত বলেছিল, তিব্বতের এই প্রকল্প নিয়ে চীনের কাছে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারত বলেছে, তারা তিব্বতে চীনা বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবে এবং নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

ওই সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, উজানে কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্রহ্মপুত্রের নিম্নপ্রবাহের দেশগুলোর স্বার্থ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা চীনকে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

ডিসেম্বরে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এই প্রকল্পের কারণে নিম্নপ্রবাহে কোনও ‘নেতিবাচক প্রভাব’ পড়বে না এবং চীন নদীর নিম্নপ্রবাহের দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখবে।

নিম্নপ্রবাহের দেশগুলোর উদ্বেগের পাশাপাশি পরিবেশবিদরাও চীনের এই বাঁধ নির্মাণ নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। পরিবেশবিদরা বলেছেন, এমন মেগা প্রকল্প পরিবেশগত দিক থেকে সংবেদনশীল তিব্বত মালভূমিতে অপূরণীয় ক্ষতি করতে পারে। থ্রি জর্জ প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় চীন ১৪ লাখের বেশি মানুষকে জোরপূর্বক স্থানান্তরিত করেছিল।

২০২০ সালের নভেম্বরে ইয়ারলুং জাংবো নদীতে ওই জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানায় চীন। এরপর গত বছরের ডিসেম্বরে তিব্বতের ইয়ারলুং জাংবো নদীতে এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয় বেইজিং। ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে তিব্বতে এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণকাজের গতি দ্বিগুণ করেছে বেইজিং। যদিও পরিবেশবাদী এবং তিব্বতের মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইয়ারলুং জাংবো নদীর উৎসমুখে এই বাঁধ নির্মাণ পরিকল্পনার সমালোচনা করেছে।

সূত্র: বাসস

(ওএস/এসপি/জুলাই ১৯, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

৩০ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test