E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতরকে নতুন নাম দিচ্ছেন ট্রাম্প

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৫ ১২:৪৪:৩৭
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতরকে নতুন নাম দিচ্ছেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতরকে নতুন নাম দিচ্ছেন ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম বদলে ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার’ বা ‘যুদ্ধ বিভাগ’ করার উদ্যোগ নিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম বদলে ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার’ বা ‘যুদ্ধ বিভাগ’ করার উদ্যোগ নিয়েছেন।

মন্ত্রণালয়ের নতুন নামটি দ্বিতীয় বা গৌণ নাম হিসেবে ব্যবহারের জন্য শুক্রবার তিনি একটি নির্বাহী আদেশে সই করবেন।
একইসঙ্গে এতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকে সেক্রেটারি অব ওয়ার বা যুদ্ধমন্ত্রী হিসেবে পরিচিত করার নির্দেশ থাকবে।

অবশ্য এককালে এর নামে যুদ্ধ দফতরই ছিল। বর্তমানে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে থাকা পেন্টাগন সেটিরই উত্তরসূরী। খবর বিবিসির।

১৭৮৯ সালে এটি প্রথমে মন্ত্রিপরিষদ-স্তরের সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা টিকে ছিল ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত।

নির্বাহী বিভাগ গঠনের দায়িত্ব কংগ্রেসের ওপর ন্যস্ত, যার মানে দাড়াচ্ছে মন্ত্রণালয়ের নাম আইনগতভাবে পরিবর্তন করতে হলে সংশোধনীর প্রয়োজন হবে।

বিবিসি নির্বাহী আদেশের লেখাটি দেখেছে, এতে বলা হয়েছে––‘প্রতিরক্ষা দফতরের তুলনায় যুদ্ধ দফতর নামটি প্রস্তুতি ও দৃঢ় সংকল্পের শক্তিশালী বার্তা বহন করে, যা কেবল প্রতিরক্ষামূলক সক্ষমতার ওপর জোর দেয়। ’

‘শক্তি ও সংকল্প প্রদর্শনের’ প্রচেষ্টা থেকে আদেশে ডিফেন্স সেক্রেটারি বা প্রতিরক্ষামন্ত্রী, তার মন্ত্রণালয় ও অধস্তন কর্মকর্তাদের নতুন উপাধিগুলো দ্বিতীয় নাম হিসেবে ব্যবহার করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

যেহেতু কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে নাম পরিবর্তন করতে পারবেন না, তাই আদেশে আইন প্রণয়ন ও নির্বাহী পদক্ষেপের সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করতে হেগসেথকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে মন্ত্রণালয়ের নাম স্থায়ীভাবে পরিবর্তনের দিকে এগোনো যায়।

জর্জ ওয়াশিংটনের উদ্যোগে যুদ্ধ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পুনরায় ব্র্যান্ডিং করে একে নতুন নাম দেওয়া হয়।

স্থায়ীভাবে নাম পরিবর্তনের খরচ কত হবে তা এখনো হোয়াইট হাউস জানায়নি।

তবে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো ধারণা করছে, শত শত সংস্থা, প্রতীক, ইমেইল ঠিকানা, ইউনিফর্ম এবং আরও নানা বিষয়ে পরিবর্তন আনতে খরচ বিলিয়ন ডলারের ঘরে চলে যাবে।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test