E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

অভিবাসীদের বহিস্কারে আইসিইকে তথ্য হস্তান্তর বন্ধের নির্দেশ মার্কিন বিচারকের

২০২৫ নভেম্বর ২৪ ১৭:৫৫:৫০
অভিবাসীদের বহিস্কারে আইসিইকে তথ্য হস্তান্তর বন্ধের নির্দেশ মার্কিন বিচারকের

ইমা এলিস, নিউ ইয়র্ক : যুক্তরাষ্ট্রের একজন ফেডারেল বিচারক রায় দিয়েছেন যে অভিবাসীদের বহিস্কারের জন্য করদাতাদের যাদের মধ্যে অনিবন্ধিত অভিবাসী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের ঠিকানাসহ ব্যক্তিগত তথ্য ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কে সরবরাহ করতে পারবে না ইন্টারনাল রেভিনিউ সার্ভিস (আইআরএস)।

মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট জজ কোলিন কোলার-কোটেলি শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ৯৪ পৃষ্ঠার রায়ে জানান, সেন্টার ফর ট্যাক্সপেয়ার রাইটস–এর দায়ের করা মামলায় আইসির সঙ্গে আইআরএসের তথ্য আদান-প্রদান 'অবৈধ'। তিনি আইআরএসকে এ ধরনের অবৈধ তথ্য হস্তান্তর অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেন।
রায়ে আরও বলা হয়, এই তথ্য বিনিময় ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব কোডের কিছু ধারার লঙ্ঘন হওয়ার 'উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা' রয়েছে এবং এটি আইআরএসের নিজস্ব 'কঠোর গোপনীয়তার নীতি'-র পরিপন্থী।

জজ কোলার-কোটেলি লিখেছেন, আইআরএস তার দীর্ঘদিনের কঠোর গোপনীয়তার নীতির ওপর ভিত্তি করে করদাতাদের আস্থাকে যথাযথভাবে বিবেচনা করেনি এবং নতুন নীতির জন্য যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যাও প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছে।

তবে তিনি উল্লেখ করেন, আইআরএস থেকে ইতোমধ্যে যে তথ্য আইসি বা তার মূল সংস্থা ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস) পেয়েছে, সেগুলো নিয়ে আদালত কোনো পদক্ষেপের নির্দেশ দিতে পারবে না, কারণ এই মামলার পক্ষভুক্ত নয় আইসি বা ডিএইচএস।

এ বছরের শুরুর দিকে আইসি আইআরএসের কাছে ১২ লাখ ৭০ হাজারের বেশি রেকর্ড চেয়েছিল, যাতে করদাতাদের বাড়ির ঠিকানা, জন্মতারিখ, ফিঙ্গারপ্রিন্ট শনাক্তকরণ নম্বরসহ ব্যক্তিগত তথ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এর মধ্যে ৪৭ হাজারের বেশি রেকর্ড আইসির খোঁজ করা ব্যক্তিদের প্রোফাইলের সঙ্গে মিলে গেছে। গত ৭ আগস্ট আইসির অনুরোধে আইআরএস এসব তথ্য সরবরাহ করেছিল।

এই রায় ট্রাম্প প্রশাসনের নেতৃত্বে দেশজুড়ে কঠোর অভিবাসন দমন অভিযানের প্রেক্ষাপটে এলো। জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ব্যাপকভাবে আটক ও নির্বাসন কার্যক্রম বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারে উদ্যোগ নিয়েছেন।

প্রশাসনের এই নির্বাসন তৎপরতার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে একাধিক মামলা হয়েছে, যার কয়েকটি অভিবাসন আইন প্রয়োগে তাদের পদক্ষেপ সীমিত করেছে।

গত আগস্টে এক ফেডারেল বিচারক ট্রাম্প প্রশাসনের দ্রুত নির্বাসন পরিকল্পনা বাধা দেন। আর চলতি সপ্তাহে আরেকজন ফেডারেল বিচারক নিউইয়র্কের সেই আইনকে বহাল রাখেন, যা আদালতে যাতায়াতকারী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে বাধা দেয় এ আইন বাতিল করতে ট্রাম্প প্রশাসন মামলা করেছিল।

(আইএ/এসপি/নভেম্বর ২৪, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

২৪ নভেম্বর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test