E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

নেতিবাচক জনমত জরিপ

অভিবাসন প্রয়োগ কৌশল বদলাচ্ছে স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগ

২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ১৭:২০:৩৩
অভিবাসন প্রয়োগ কৌশল বদলাচ্ছে স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগ

ইমা এলিস, নিউ ইয়র্ক : নেতিবাচক জনমত জরিপের চাপের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগ (ডিএইচএস) অভিবাসন আইন প্রয়োগ কার্যক্রমে কৌশল পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে। দেশজুড়ে কয়েকটি শহরে ব্যাপকভাবে প্রচারিত বড় ধরনের অভিযান থেকে সরে এসে এখন আরও লক্ষ্যভিত্তিক পদক্ষেপে যেতে চায় সংস্থাটি।

ডিএইচএসের সূত্র নিউজনেশনের আলি ব্র্যাডলিকে জানিয়েছে, কমান্ডার গ্রেগরি বোভিনোর অধীনে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের বর্ডার প্যাট্রোল দলগুলো তাদের নজর সীমিত করবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর দিকে—যেমন গুরুতর অপরাধে দণ্ডিত অবৈধভাবে অবস্থানরত অভিবাসীরা। এই পরিবর্তনের ফলে হোম ডিপোর মতো স্থানে আগে যেসব বড় অভিযান চালানো হয়েছিল, সেগুলো আর বাধ্যতামূলকভাবে চালানো নাও হতে পারে বলে ব্র্যাডলির একান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এজেন্টরা ট্রাফিক স্টপের মাধ্যমেও আইন প্রয়োগে জোর দেবে। তবে রাস্তায় প্রকাশ্যে লোকজনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য সাধারণ মানুষ সম্ভবত আর দেখবে না, শুক্রবার রাতে নিউজনেশনের 'দ্য হিল' অনুষ্ঠানে ব্লেক বারম্যানের সঙ্গে আলাপচারিতায় বলেন ব্র্যাডলি।
এই কৌশল পরিবর্তন এসেছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসন দমন অভিযানের ওপর একের পর এক নেতিবাচক জরিপের প্রেক্ষাপটে। অভিবাসন নীতিই ছিল তার ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম প্রধান ভিত্তি এবং দ্বিতীয় মেয়াদের গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা। চলতি সপ্তাহের শুরুতে প্রকাশিত পাবলিক রিলিজিয়ন রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআরআই)–এর এক জরিপে দেখা গেছে, অভিবাসন ইস্যুতে ট্রাম্পের কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন মার্চের ৪২ শতাংশ থেকে কমে ৩৩ শতাংশে নেমে এসেছে।

নভেম্বরে প্রকাশিত ইউগভ জরিপে দেখা যায়, প্রশাসনের গণ–নির্বাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চালু হওয়া ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) অভিযানের প্রতি অধিকাংশ মার্কিন নাগরিক অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি, স্বাস্থ্যনীতি গবেষণা সংস্থা কেএফএফ ও দ্য নিউইয়র্ক টাইমস–এর গত মাসের এক জরিপে অংশ নেওয়া অভিবাসীদের প্রায় অর্ধেক বলেছেন, ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর তারা এবং তাদের পরিবার 'আরও কম নিরাপদ' বোধ করছেন।

চলতি বছর লস অ্যাঞ্জেলেস, শিকাগো ও নর্থ ক্যারোলিনার শার্লটসহ একাধিক অঙ্গরাজ্যে বর্ডার প্যাট্রোলের অভিবাসন আইন প্রয়োগ কার্যক্রম দৃশ্যমান ছিল। অনেক অভিযানের বিরুদ্ধেই বিক্ষোভ হয়েছে এবং কোথাও কোথাও এজেন্টদের সঙ্গে সংঘর্ষও ঘটেছে। এসব অভিযানকে অনেকেই মাত্রাতিরিক্ত বলে সমালোচনা করেছেন।

তবে ব্র্যাডলি শুক্রবার জানান, কৌশল পরিবর্তনের পরও নিউ অরলিন্সে সম্প্রতি শুরু হওয়া “ক্যাটাহুলা ক্রাঞ্চ” নামের অভিযান অব্যাহত থাকবে। ডিএইচএসের তথ্য অনুযায়ী, লুইজিয়ানার এই শহরে ইতোমধ্যে ২৫০–এর বেশি গ্রেপ্তার হয়েছে, এবং শেষ পর্যন্ত সংখ্যা ৫ হাজারে পৌঁছানোই তাদের লক্ষ্য।

(আইএ/এসপি/ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test