E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনুসলেটে স্মারকলিপি

দেশবিরোধী অপপ্রচার প্রতিরোধে ভারতীয় টিভি চ্যানেল বন্ধের দাবি

২০২৫ ডিসেম্বর ৩১ ১৭:২১:১৫
দেশবিরোধী অপপ্রচার প্রতিরোধে ভারতীয় টিভি চ্যানেল বন্ধের দাবি

ইমা এলিস, নিউ ইয়র্ক : দেশবিরোধী অপপ্রচার রোধে বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধের দাবি জানিয়েছে নিউইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা প্যাট্রিয়টস অব বাংলাদেশ (পিওবি)। এ মর্মে সোমবার (ডিসেম্বর ২৯) সংগঠনের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনুসলেটে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছেন পিওবির নেতারা।

পিওপি চেয়ারম্যান আবদুল কাদের স্মারকলিপিটি বাংলাদেশের কনসাল জেনারেলের কাছে হস্তান্তর করেন। সিনিয়র সাংবাদিক চৌধুরী মোহাম্মদ কাজল ও সংগঠনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ এই সময় উপস্থিত ছিলেন।

ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলি এক তরফা ভাবে দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশে চলে আসছে। এই সুযোগে প্রচুর অর্থ মুনাফা করলেও প্রতিনিয়ত তারা বাংলাদেশ ও বাংলাদেশিদের সম্পর্কে বিষোদগারও করছে। তাদের অনেক অনুষ্ঠানই বাংলাদেশের মানুষের সামাজিক মূল্যবোধের বিপরীত। অন্যদিকে ভারতে এমনকি কলকাতাতেও বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলগুলি কখনোই দেখানো হয় না।

স্মারকলিপি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আবদুল কাদের বলেন, এখন ভারতের ইউটিউবাররাও বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারনায় লিপ্ত হয়েছে। তারা আমাদের প্রধান উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বদের ব্যাপারে কটুক্তি করতে কার্পণ্য করছে না। তারা আমাদের সমাজকে অস্থিতিশীল করতে অব্যাহত ভাবে চেস্টা চালিয় যাচ্ছে। এদের প্রচারিত বিভিন্ন রাজনৈতিক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমাদের তরুন সমাজকে বিপথ গামী করে তুলছে ও অপসংস্কৃতির প্রসার ঘটিয়ে চলছে। আমরা মনে করি বাংলাদেশে বর্তমানে এই যে হিংসাত্মক ঘটনা,সন্ত্রাস ও অস্থিরতা বাড়ছে এর পেছনেও রয়েছে ভারতীয় অপসংস্কৃতির প্রভাব।

তিনি বলেন, আমরা জানি যে বর্তমানে হিন্দু মৌলবাদীরা ভারত শাসন করছে ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জীবন সেখানে দারুন ভাবে বিপন্ন। ভারতীয় হিন্দুত্ববাদীদের এই সব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড যেভাবে দিন দিন বাড়ছে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশেও এই সব ছড়িয়ে পড়তে বলে কাদের আশংকা প্রকাশ করেন।

সাংবাদিক ও কলামিস্ট চৌধুরী মোহাম্মদ কাজল বলেন, যেভাবে দীপু চন্দ্র দাসকে পুড়িয়ে মারা হল এটা তো বাংলাদেশের সংস্কৃতি নয়। এমন ঘটনা অতীতে ভারতে অনেক বার ঘটেছে, কিন্তু বাংলাদেশে ঘটেনি। সংখ্যালঘুদের হত্যা করা ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপাসনালয় গুড়িয়ে দেওয়া এগুলি ভারতে হয়। বাংলাদেশে কখনও এমন ঘটেনি। আমরা মনে করি ভারতীয় টিভি ও ইউ্টিউবারদের নিয়ন্ত্রন করতে না পারলে এইসব অপসংস্কৃতি ও হিংসাত্মক ঘটনা বাংলাদেশে আরও বাড়বে। তাই বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমাদের আবেদন এইসব অমানবিক অপকর্ম ও অপসংস্কৃতি বাংলাদেশে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ার আগেই কঠোর হস্তে দমন করা হোক।

তিনি বলেন, অতীতে বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে অনেক নমনীয়তা দেখিয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা আর নমনীয়তা দেখতে চাই না। দেশ ও দেশবাসীর স্বার্থে বাংলাদেশ সরকারকে এবার ব্যবস্থা নিতে হবে, কাজল বলেন।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন পিওবি’র সদস্য দীপন গাজী, সৈয়দ নাঈম, আলী আহমেদ কাশেমী, মশিউর রহমান লিটন,বুলবুল আহমেদ, রুহুল খান ও আলোকচিত্রী নিহার সিদ্দিক। কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক তাদের বক্তব্য শোনেন ও স্মারকলিপিটি যথাযথ পৌছে দেবেন বলে জানান।

(আইএ/এসপি/ডিসেম্বর ৩১, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test