E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

নিবিরুর ছবি তুলবে নাসা!

২০১৬ নভেম্বর ১৬ ১৭:৪৪:১৬
নিবিরুর ছবি তুলবে নাসা!

নিউজ ডেস্ক : আমাদের সৌরজগতের গ্রহের তালিকা থেকে যখন প্লুটোকে বাদ দিয়ে বামনগ্রহে পরিণত করা হয়, তখনই নতুন একটি প্রশ্নের জন্ম হয়েছিল। তাহলে সৌরজগতের ৯ম গ্রহ কোনটি! সেই গ্রহটি সত্যিই রয়েছে? বিষয়টি নিয়ে তখন ঠাট্টা-তামাশাও হয়। তবে বিজ্ঞানীদের একটি পক্ষ সেসময় পুরোপুরি চুপ ছিলেন।

প্রাচীন যুগে মায়া সভ্যতা ছিল জ্যোতির্বিদ্যায় অনেক উন্নত। সে সময় মায়ান জাতি দূর মহাকাশের গ্রহ, উপগ্রহ আর জ্যোতিষ্ক নিয়ে অনেক তথ্য লিপিবদ্ধ করে গেছেন যা আজকের বিজ্ঞানীদের গবেষণায় পথ দেখিয়েছে।

অবশ্য প্লুটোকে বামন গ্রহ হিসেবে চিহ্নিত করার পর থেকেই ৯ম গ্রহ হিসেবে নিবিরু বা প্লানেট এক্স-এর নাম শোনা যেতে থাকে। মায়ানদের বর্ণনায় সৌরজগতের ৯ম গ্রহ হিসেবে নিবিরু’র নাম রয়েছে। তবে হারানো সেই জাতির দাবি ছিল, সূর্যকে ঘিরে গ্রহটি প্রদক্ষিণ করলেও এর কক্ষপথ এতোটাই বিশাল যে এর ঘুরে আসতে সময় লাগে পৃথিবীর হিসেবে ৩ হাজার ৪শ’ বছর। তবে সেই গ্রহটি যখন পৃথিবীর খুব কাছ থেকে ঘুরে যায় তখন আমাদের বাসভূমিতে দেখা যায় নানা ধরনের ভয়ঙ্কর সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

মায়ানদের দাবি খ্রিস্টাব্দ ২ হাজার সালের পর এই গ্রহটি আবারও পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে ঘুরে যাবে। আর তার অর্থ হচ্ছে এই সভ্যতার জন্য সামনে অপেক্ষা করছে কঠিন দিন।

তবে এই গ্রহের অস্তিত্ব নিয়ে বরাবরই সন্দেহ পোষণ করা হয়েছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র বিজ্ঞানীরাও নিবিরু গ্রহকে পুরোপুলি কাল্পনিক বলে জানিয়ে এসেছে। তবে এই বিষয়টিতে বিশ্বাসী এক দল রয়েছে, যারা এখনও নিবিরু গ্রহের অস্তিত্ব প্রমাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তাদের দাবি, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা নিবিরুকে অস্বীকার করলেও প্ল্যানেট এক্স বা প্ল্যানেট নাইন বলে একটি গ্রহের অস্তিত্বের কথা ঠিকই স্বীকার করেছে। তবে সেই গ্রহটি পৃথিবীর কোনো ক্ষতি করবে না বলেই মত তাদের। যদিও গ্রহটি কোথায় রয়েছে, সে সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই তাদেরও।

ভিন্নধর্মী অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিফোর ইট নিউজের প্রতিবেদন বলছে, নিবিরু বিশ্বাসী একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী সম্প্রতি দাবি করেছেন, অচিরেই এই গ্রহ রহস্যের সমাধান হচ্ছে। আগামী বছরের মধ্যে গ্রহটি আমাদের চোখে ধরা দেবে।

মাইক ব্রাউন নামের ওই জ্যোতির্বিজ্ঞানী আরও জানিয়েছেন, বিষয়টি নাসা’ও বেশ ভালোভাবেই জানে। আর তাই সংস্থাটি গোপনে গ্রহটিকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে। গ্রহটি সম্পর্কে আরও স্পস্ট ধারণা পেতে ৮ থেকে ১০টি দল কাজও শুরু করেছে। সংস্থাটির ভেতরের খবর, খুব শীঘ্রই গ্রহটির পরিস্কার ছবিও তুলতে সক্ষম হবে নাসা।

মাইক ব্রাউনের মতে, গ্রহটি কক্ষপথের অপসূর বিন্দু অনুসরণ করে ধিরে ধিরে এগিয়ে আসছে। এটাও পরিস্কার হয়েছে যে মায়ানদের বর্ণনার মতোই গ্রহটি পৃথিবীর চাইতে অন্তত ৪ গুণ বড়। তবে এখনও গ্রহটি ১৫ হাজার লক্ষ কোটি কিলোমিটার দূরে রয়েছে। এবং সূর্যের আড়ালে থাকায় গ্রহটির স্পস্ট ছবি তোলা সম্ভর হয়ে ওঠেনি।

শুধু তাই নয়, গ্রহটিতে কোনো প্রাণীর বাস আছে কিনা সেটি নিয়েও চলছে গোপন তল্লাশি। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া যেমন উদ্যোগ নিয়েছে। পিছিয়ে নেই চীনও। এরই মধ্যে তারা স্থাপন করেছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেডিও টেলিস্কোপ।

মাইক জানিয়েছেন, মহাকাশে থাকা স্পুটনিক দূরবীক্ষণ যন্ত্র গ্রহটির অস্পস্ট ছবি তুললেও নাসা আরও ভালো মানের ছবি চাইছে।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ১৬, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০১ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test