E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

শিরোনাম:

নওগাঁর সর্বত্রই উড়ছে লাল সবুজের বিজয় কেতন

২০১৪ ডিসেম্বর ০৮ ১৫:০৬:৩৯
নওগাঁর সর্বত্রই উড়ছে লাল সবুজের বিজয় কেতন

নওগাঁ প্রতিনিধি : আর মাত্র কয়েকটা দিন। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস আসন্ন। এই মহান দিবসটি পালনের প্রস্তুতি চলছে এখন বাংলার ঘরে ঘরে। সেই প্রস্তুতি থেকে পিছিয়ে নেই, উত্তর জনপদের ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা জেলা নওগাঁও। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে এই নওগাঁ জেলার (তৎকালীন মহকুমা) দামাল ছেলেদের সক্রিয় অবদান খাটো করে দেখার এতটুকু অবকাশ নেই। জীবন বাজি রেখে দেশ মাতৃকাকে শত্রুর কবল থেকে মুক্ত করতে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল জেলার দামাল ছেলেরা। জীবনও দিয়েছিল অনেকেই। সম্ভ্রম হারিয়েছিল অনেক মা-বোন। এই ত্যাগের বিনিময়ে দামাল ছেলেরা ছিনিয়ে এনেছিল বিজয়।  এই বিজয় দিবসকে সামনে রেখে জেলা জুড়ে জাতীয় পতাকা তৈরী ও বিক্রির ধুম পড়েছে। 

পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ চলছে শহীদ মিনার ও বিজয় স্তম্ভগুলো। নতুন প্রজন্ম আজ চেতনার রঙে উদ্ভাসিত। তারা পতাকার পাশাপাশি বিজয়ের নানা ধরনের স্টিকার কিনছে মহা উল্লাসে। বাড়ি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য সংগ্রহ করা হচ্ছে সেই লাল-সবুজের বিজয় পতাকা। শিশুরা এই বিজয় পতাকা হাতে নিয়ে এবং মাথায়, কপালে ও হাতের কব্জিতে স্টিকার বেঁধে ছুটোছুটি করছে এখানে-সেখানে। শিশুদের এই অনাবিল আনন্দ যেন উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দিচ্ছে মাঠে-ঘাটে, পথে-প্রান্তরে, চারিদিকে।

শহরের বিভিন্ন দর্জি দোকানে জাতীয় পতাকা তৈরির কাজ চলছে। সেইসঙ্গে অন্যান্য জেলা থেকে বাঁশের লাঠির মাথায় বিভিন্ন সাইজের পতাকা বেঁধে কাঁধে নিয়ে ফেরি করে বিক্রি করছে বেশ ক’জন বিক্রেতা। তেমনি এক পতাকা বিক্রেতা লিয়াকতের সঙ্গে সোমবার কথা হলো শহরের লিটন সেতুর মুখে। লিয়াকত এসেছে সুদূর ফরিদপুর জেলা থেকে। লিয়াকত একা নন। তারা ৮/১০জন এসেছে এই পতাকা বিক্রি করতে। তারা শহরের বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথক ভাবে ঘুরে ঘুরে পতাকা বিক্রি করছে। শহরের প্রতিটি সড়কে দূর থেকেই নজরে পড়ে উড়ন্ত এই লাল-সবুজের পতাকা, আমাদের জাতীয় পতাকা।

রাত পোহালেই চোখে পড়ে এই মনোরম দৃশ্যের। লিয়াকত জানান, তারা কয়েকজন ১ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে বেরিয়েছে এই পতাকা বিক্রির জন্য। বড় পতাকার চেয়ে ছোট সাইজের পতাকাই বেশি বিক্রি হচ্ছে। শিশু ক্রেতার সংখ্যাই বেশি। পতাকার পাশাপাশি তারা বিভিন্ন সাইজের ষ্টীকারও কিনছে। ছোট সাইজের হাত পতাকাগুলো ১০ টাকা পিস এবং স্টিকার ১০ থেকে ১৫ টাকা করে বিক্রি করছে তারা। এছাড়া পতাকার মাপ অনুসারে নিম্নে ২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা করে এইসব জাতীয় পতাকা বিক্রি করছে তারা। এসব পতাকা বাড়িতে বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে টানানোর জন্য।

লিয়াকত জানান, এতে তাদের লাভ হয় সীমিত। কারণ, কাপড়ের দাম ও সুতার দাম বেশী এবং দর্জির মজুরি বাদ দিয়ে তেমন একটা বেশী লাভ থাকেনা তাদের। এছাড়া ভিন জেলায় এসে ঘুরে ঘুরে পতাকা বিক্রিতে পরিশ্রমও হয়। তবে ক্রেতাদের বিশেষ করে শিশুদের পতাকা কেনার উৎসাহ আর তাদের অনাবিল আনন্দ দেখে আমরাও আনন্দিত হই। এদের খুশিতে আমরাও খুশি হই, ঠিক এমনটিই জানালো লিয়াকত।

(বিএম/এএস/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০২ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test