E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

নতুন বই ছাপা-বাঁধাইয়ে ব্যস্ত প্রেসপাড়া

২০২১ নভেম্বর ০২ ১৮:০৭:১২
নতুন বই ছাপা-বাঁধাইয়ে ব্যস্ত প্রেসপাড়া

স্টাফ রিপোর্টার : আরও একটি বছর বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে। দুয়ারে কড়া নাড়ছে ইংরেজি নববর্ষ। নতুন বছরে নতুন বই উঠবে শিক্ষার্থীদের হাতে। বাতাসে নতুন বইয়ের মৌ মৌ ঘ্রাণ ছড়াবে। সে ঘ্রাণে মাতোয়ারা হবে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। আনন্দ দোল খাবে তাদের কোমল প্রাণে। বছরান্তে সেসব বইয়ের ছাপা-বাঁধাইয়ের কাজেই ব্যস্ত এখন রাজধানীর প্রেসপাড়া। ছাপাখানাগুলোতে দিন-রাত খটখট আওয়াজ। পুরোদমে চলছে বই ছাপানো-বাঁধানোর কাজ। দম ফেলার ফুরসত নেই মুদ্রণ ও বাঁধাইকর্মীদের। নতুন বছর সামনে রেখে এমনই কর্মযজ্ঞ চলছে ছাপাখানাগুলোতে।

সরেজমিনে মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর বাংলাবাজারের বিভিন্ন ছাপখানা ও বাইন্ডিং হাউজ ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। শুধু নতুন বই ছাপানোই নয়, নতুন বছরের ক্যালেন্ডার, ডায়েরি, নোট, গাইড ছাপানোর কাজও চলছে পুরোদমে।

বাংলাবাজার ঘুরে দেখা যায়, মুদ্রণযন্ত্রের কর্মীরা বইয়ের পৃষ্ঠা প্রিন্ট করার কাজ করছেন। মুদ্রণযন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসছে ছাপানো কাগজের বড় শিট। এগুলো বাঁধাই করার জন্য মাথায় করে বাইন্ডিং হাউজগুলোতে নিয়ে যাচ্ছেন পুস্তক শ্রমিকরা। এরপর বাঁধাইকর্মীরা দুই হাতের কলাকৌশলে বাঁধাই করে বইয়ের আকৃতি দিচ্ছেন। বাঁধাইয়ের পর সেগুলোতে প্রচ্ছদ লাগিয়ে পাবলিকেশন ও লাইব্রেরিতে পাঠানো হচ্ছে।

সরকার বাইন্ডিং হাউজের বাঁধাইকর্মীরা জানান, এখন ব্যস্ত সময় যাচ্ছে। সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত কাজ চলছে। খাওয়া-বিশ্রামেরও সময় নেই। নতুন বইয়ের পাশাপাশি নোট গাইডের কাজও করছেন তারা। বিভিন্ন কিন্ডারগার্ডেনের বইও ছাপা-বাঁধাই হচ্ছে। বছর প্রায় শেষপ্রান্তে, বোর্ড থেকে আসা বইয়ের কাজ নিয়েই সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততা তাদের।

বাঁধাইকর্মীরা বলছেন, যখন কাজ থাকে না তখন তাদের কষ্টে দিন কাটাতে হয়। পরিবার নিয়ে তাদের বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে পড়ে। করোনা মহামারির কারণে গত বছর এ সময়ে তাদের কাজের তেমন চাপ ছিল না। নিয়মিত কাজ থাকলে কোনোরকম তাদের চলে যায়।

ওয়াসিমা প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশনের মুদ্রণযন্ত্র কর্মী কামাল হোসেন বলেন, দিন-রাত কাজ করা লাগে, কাস্টমারের চাপ বেশি। মেশিনের সামনেই সারাক্ষণ থাকা লাগে। মেশিন থেকে ছাপানো কাগজগুলো সাজিয়ে রাখতে হয়।

একুশে প্রিন্টার্সের ম্যানেজার মুরাদ বলেন, বছর শেষ দিকে, তাই কিছু অর্ডার আসছে। গত দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কাজই ছিল না। তখন কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়েছি। এখন স্কুল-কলেজ খুলেছে, তবে ছাপখানা তো অনেক, টুকটাক কাজ পাচ্ছি। আগামী বছরের জন্য সপ্তম শ্রেণির কিছু বোর্ড বইয়ের অর্ডার পেয়েছি, সেগুলোর কাজ চলছে।

মনময়ুরী প্রেসের স্বত্ত্বাধিকারী ইয়াসিন বলেন, গত বছর বই ছাপানোর কোনো অর্ডারই পাইনি, একদম কাজ ছিল না। সরকার থেকেও কোনো প্রণোদনা পাইনি। কিন্ডারগার্ডেন, বিভিন্ন সাহিত্যের বই ছাপিয়ে কোনো রকম চলেছে। তবে এ বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর নিয়মিত কাজ চলছে। এখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিভিন্ন গাইড ও নতুন বছর সামনে রেখে বোর্ড বইয়ের কাজে ব্যস্ততা বেড়েছে।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ০২, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

৩১ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test