E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

সুপার অ্যাপ ক্যাটাগরিতে সুপারব্র্যান্ডস অ্যাওয়ার্ড জিতলো পাঠাও

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ ১৮:৫৪:৪৪
সুপার অ্যাপ ক্যাটাগরিতে সুপারব্র্যান্ডস অ্যাওয়ার্ড জিতলো পাঠাও

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম পাঠাও ২০২৫ সালের প্রেস্টিজিয়াস সুপারব্র্যান্ডস অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে সুপার অ্যাপ ক্যাটাগরিতে। বাংলাদেশে তৈরি, বাংলাদেশের জন্য তৈরি এই অ্যাপ এবার বিশ্বমানেও স্বীকৃতি পেল। মাত্র ১০ বছরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এমন স্বীকৃতি পাওয়া পাঠাও-এর জন্য বড় একটি অর্জন। এ বছরই পাঠাও তার ১০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে, যা এই অর্জনকে আরও বিশেষ করে তুলেছে।

সুপারব্র্যান্ডস হলো একটি বিশ্বমানের সংস্থা, যারা বিভিন্ন শিল্পখাতে মান, নির্ভরযোগ্যতা এবং স্বকীয়তার মাধ্যমে বিশেষভাবে এগিয়ে থাকা ব্র্যান্ডগুলোকে চিহ্নিত করে ও সম্মানিত করে। বিশেষজ্ঞ ও ভোক্তাদের মতামতের ভিত্তিতে দেওয়া এই স্বীকৃতি ব্র্যান্ড জগতের অন্যতম সম্মানজনক পুরস্কার। সাধারণত ব্র্যান্ডগুলো তাদের নিজ নিজ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পায়। কিন্তু পাঠাও আলাদা হয়ে উঠেছে কারণ বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সুপার অ্যাপ চালু করে এবং সেই ক্যাটাগরিতেই এই স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এটি প্রমাণ করে দেশীয় উদ্ভাবনও বিশ্বে নতুন মানদণ্ড তৈরি করতে পারে।

গত দশ বছরে পাঠাও বাংলাদেশে ডিজিটাল সেবার ধারা পাল্টে দিয়েছে। রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি, পার্সেল ও কুরিয়ার, এবং ডিজিটাল পেমেন্টকে এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসে পাঠাও তৈরি করেছে একটি লাইফস্টাইল-ড্রিভেন ডিজিটাল ইকোসিস্টেম, যা প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী, ব্যবসায়ী, রাইডার, ড্রাইভার ও ডেলিভারি এজেন্টকে সংযুক্ত করছে। বর্তমানে পাঠাও ১ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারীকে সেবা দিচ্ছে, ১ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি ব্যবসায়ীর সাথে কাজ করছে এবং কয়েক লক্ষ রাইডার, ড্রাইভার ও ডেলিভারি এজেন্টদের ক্ষমতায়ন করছে।

২০২৫ সালে সুপারব্র্যান্ডস অ্যাওয়ার্ড ছাড়াও পাঠাও, এ বছর ফোর্বস এশিয়া’র “100 to Watch” তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে, যেখানে কোম্পানির প্রভাব ও উদ্ভাবনকে বিশেষভাবে আলোচিত করা হয়েছে। ফলে পাঠাও-এর জন্য এই বছর হয়ে উঠেছে সাফল্য ও স্বীকৃতিতে পরিপূর্ণ।

পাঠাও-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফাহিম আহমেদ বলেন, “সুপার অ্যাপ ক্যাটাগরিতে সুপারব্র্যান্ডস অ্যাওয়ার্ড অর্জন করা পাঠাও-এর জন্য অনেক বড় গর্বের বিষয় এবং এটি প্রমাণ করে আমাদের ইউজার এবং পার্টনাররা আমাদের ওপর কতটা ভরসা রাখেন। গত দশ বছর ধরে আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি, যে প্রোডাক্ট মানুষ ব্যবহার করতে ভালোবাসবে এবং যার জন্য তারা অর্থ ব্যয় করতেও খুশি থাকবে। এই স্বীকৃতি আমাদের অনুপ্রাণিত করছে যেন আমরা আরও নতুনত্ব আনতে পারি এবং এমন প্রযুক্তি তৈরি করতে পারি, যা মানুষের প্রতিদিনের জীবনকে উন্নত করে, কমিউনিটিকে শক্তিশালী করে এবং দেশের অগ্রগতিকে গতিশীল করে। পাঠাও সবসময়ই আপনার যাত্রার নির্ভরযোগ্য সঙ্গী হয়ে থাকবে।”

২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পাঠাও, এমন একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরি করছে যা অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি সবার দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি এবং ই-কমার্স লজিস্টিকসে পাঠাও শীর্ষস্থানে রয়েছে। ১০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী, ৩,০০,০০০ ড্রাইভার ও ডেলিভারি এজেন্ট, ২ ,০০,০০০ মার্চেন্ট এবং ১০,০০০ রেস্টুরেন্ট নিয়ে পরিচালনা করছে পাঠাও। প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশে ৫,০০,০০০-এরও বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করেছে, যা দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।

(পিআর/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test