E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাওসারের সফলতা

২০২৫ জুলাই ১৪ ১৮:২৫:২৮
ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাওসারের সফলতা

রাজন্য রুহানি, জামালপুর : অনলাইন প্লাটফর্মে ঘরে বসে আয় করার জন্য বর্তমান সময়ের সব চেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ফ্রিল্যান্সিং। এই স্বাধীন পেশায় যেকোনো স্থানে বসেই কাজ করে ভালো অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। প্রয়োজন শুধু নিজের দক্ষতা, আর দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ। এই ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আত্মনিয়োগ করে সফলতার মুখ দেখছেন তরুণ ফ্রিল্যান্সার কাওসার তালুকদার।

তরুণ ফ্রিল্যান্সার কাওসার তালুকদারের বাড়ি জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের কাহেতপাড়া এলাকায়। তিন ভাই বোনের মধ্যে কাওসার তালুকদার সবার বড়। পড়ালেখায় তিনি উচ্চমাধ্যমিক পাস। প্রযুক্তির প্রতি দারণ ঝুক থাকায় পড়ালেখা আর বেশি এগুয়নি। আগ্রহ জাগে ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইন প্লাটফর্মে ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রতি। আর এর জন্য শিখে নেন প্রয়োজনীয় কাজগুলো। লেগে পড়েন ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজে।

কাউসার তালুকদার অনলাইন প্লাটফর্মে মূলত: জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মেটাভেরিফাই প্রসেস ও স্টার বিক্রি করে একমাসে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা ইনকামও করেছেন। তার সেই কাজ এখনও অব্যাহত আছে। স্বপ্ন দেখেন একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার। একদিকে এটাকে পেশা হিসাবে নিয়েছেন, অন্যদিকে এই কাজের যোগসূত্র ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশী-বিদেশী বহু মানুষের সাথে আন্ত:ব্যক্তিক যোগাযোগও বেড়েছে। বলা যায় কাওসার তালুকদার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুবই পরিচিত মুখ।

এ নিয়ে কাওসার তালুকদারের সাথে কথা হলে শুরু থেকে কিভাবে নিজেকে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তা বলেছেন তিনি অকপটে। কাওসার তালুকদার বলেন, আধুনিকযোগে সবাই যখন এগিয়ে যাচ্ছে। তখন আমার চিন্তা-ভাবনা থেকে ফ্রিলান্সিংয়ের মত ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফেসবুক মেটাভেরিফাই ও স্টার বিক্রির কথা মাথায় আসে। একটা মেটাভেরিফাই করে প্রায় ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। পরবর্তীতে এই বিষয়টা আমি পেশা হিসেবে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এর আগে জি-মেইল মার্কেটিং ভেরিফাই করেও বেশ সাড়া পেয়েছি। মেটাভেরিফাই ও স্টার বিক্রি করেও ভালো সারা পাচ্ছি।

অনলাইন প্লাটফর্মে নানা দিক ও বিষয় থাকার পরও কেন ফেসবুক মেটাভেরিফাইকে পেশাকে হিসেবে বেছে নিলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে কাওসার তালুকদার বলেন, ২০২৪ সালে খেয়াল করি ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তখন ভাবলাম মেটাভেরিফাই ও স্টার বিক্রি করে ভালো কিছু ইনকাম করা যাবে। যদিও প্রথমে আমার বিষয়টা বুঝতে অনেক ডলার লস হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে এই কাজে আরো ভালো করে মনোযোগী হয়ে টাকা আয় করে সেই লস পুষিয়ে নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে আমি ইউরোপ কান্ট্রিগুলোতে শুরু করেছিলাম। পরে বাংলাদেশে কাজ শুরু করি। মেইড ইন জামালপুরের কর্ণধার জান্নাতুল ফেরদৌস মিতু ও জামালপুর উদ্যোক্তার ফোরামের এডমিন দোলন সোম তাদের ফেসবুক পেইজে আমার নাম ম্যানশন করে পোস্ট করে। সেই থেকে আমি জামালপুরের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বেশ সাড়া পাচ্ছি।

কাওসার বলেন, আমি মেটাভেরিফাই ও স্টার বিক্রি করে একমাসে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা ইনকাম করেছি। এখন জামালপুর জেলার অধিকাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারী আমাকে চিনতে পেরেছে। এখানে আমি জামালপুরের ছেলে হওয়ায় নিজ জেলায় বসেই কাজ করতে পারছি। এটা যেমন বেশ সুবিধা হয়েছে। অন্যদিকে এটিকে পেশা হিসাবে নিলেও ফেসবুক ব্যবহারকারীরা কিন্তু বেশ উপকৃত হচ্ছে। আমি চাই জামালপুর জেলার ফেসবুক ব্যবহারকারী কনটেন্ট ক্রিয়েটরেরা আরো বেশি অ্যাকটিভ হোক। আমার দিক থেকে সবাই প্রতি আন্তরিকতার কমতি হবে না। আমিও সবার সহযোগিতা চাই। জামালপুরের আমরা সবাই একসঙ্গে এগিয়ে যেতে চাই। আমি চাই ফেসবুক থেকে জামালপুরের মানুষও টাকা আয় করুক।

(আরআর/এসপি/জুলাই ১৪, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

৩০ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test