কয়েকটি শিক্ষনীয় গল্প
আনন্দ বেলা ডেস্ক
রাতুল ছিল তার বাবা মায়ের একমাত্র আদরের সন্তান। তার কোন কিছুরই অভাব ছিল না। সে যা চাইতো তা হাত বাড়ালেই পেতো। তার আনন্দেরও কোন শেষ ছিলনা।
সারা দিন সে তার নানান খেলনা নিয়ে খেলতো। কোন খেলনা তার পছন্দ না হলে তা নিয়ে খেলত না এবং তা ছুড়ে ফেলে রাখতো। কোন খেলনা যদি পুরনো হয়ে যেত তাতেও তার ছিল ঘোরতর আপত্তি। এই খেলনা দিয়ে খেলতে সে রাজি নয়।
একদিন তার মামা তাদের বাসায় বেড়াতে আসলো। তিনি রাতুলের এইসব দেখে অনেক কষ্ট পেলেন। রাতুল তার মামার সামনেই তার কিছু পুরনো খেলনা ভেঙ্গে ফেললো।
মামা এটি দেখে তাকে তার ভাঙ্গা এবং পুরনো কিছু খেলনাসহ নিয়ে গেলেন পাশের একটি বস্তিতে। সেখানে কিছু দরিদ্র শিশুকে তার ভাঙ্গা, অকেজো খেলনাগুলো ভাগ করে দিলেন খেলতে।
রাতুল দেখে স্তম্ভিত হয়ে গেল। সে যে সব খেলনা ছুঁয়ে দেখতে চায় না, তা অনেকের কাছে সাত রাজার ধনের মত। খেলনার জন্য তারা হুড়োহুড়ি এবং হালকা ঝগড়াও শুরু করলো একে অপরের সাথে।
এটি দেখে রাতুল তার ভুল বুঝতে পারলো। সে ঠিক করলো যে, তার যা আছে তা সুন্দরভাবে ব্যবহার করবে। কোন কিছুই অকারণে, অবহেলায় নষ্ট করবেনা।
কিছু থাকার পরে আরও বেশি পাওয়ার জন্য চিৎকার চেঁচামেচি করবেনা। কেননা যা তার কাছে ছোট বলে মনে হয়, তা অনেকে ছুঁয়ে দেখারও সুযোগ পায়না।
আসুন আমরা আমাদের যা আছে তার সুষ্ঠু এবং পরিপূর্ণ ব্যবহার করি। কিছু নষ্ট করার আগে একবার ভেবে দেখি তাদের কথা যারা তাদের প্রয়োজনটুকুই পাচ্ছেনা।
*** নিজের জন্য যতটুকু প্রয়োজন তা থাকলে বাড়তিটুকু, বিশেষ করে যে সব বস্তু আমরা অবহেলায় ফেলে রাখি, তা অন্যদের দিই। হয়তো এতেই তারা তাদের জীবনে অনেক কিছু পেয়েছে বলে মনে করবে।
অতীত হচ্ছে একজন মানুষের সবচেয়ে, ভাল শিক্ষক
বিল গেটস একটি রেস্টুরেন্টে খেতে গেছে খাওয়ার পর বিল গেটস ওয়েটারকে ৫ ডলার বকশিস দিল।
বকসিস পেয়ে ওয়েটার বিল গেটস এর দিকে হা করে তাকিয়ে রইল। ওয়েটারের কাণ্ড দেখে বিল গেটস জিজ্ঞেস করল “কি হয়েছে? আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছ কেন?
ওয়েটার বলল- স্যার গতকাল আপনার ছেলে এইখানে নাস্তা করার পর আমাকে ১০০ ডলার বকসিস দিয়েছেন আর আপনি তার বাবা এবং এত বড় ধনী হয়ে আমাকে মাত্র ৫ ডলার দিলেন?
বিল গেটস হেসে ওয়েটারকে বলল- সে হচ্ছে বিশ্বের এক নম্বর ধনী মানুষের ছেলে আর আমি হচ্ছি একজন কাঠুরিয়ার ছেলে।
*** কখনো আপনার অতীতকে ভুলে যাবেন না। অতীত হচ্ছে একজন মানুষের সবচেয়ে ভাল শিক্ষক।
আশা নামের আলোটি কে কখনোই নিভতে দেওয়া উচিৎ নয়
একটি রুমের ভেতরে চারটি মোমবাতি জ্বলছিলো। মোমবাতি গুলো একে অপরের সাথে তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলা শুরু করলো। প্রথম মোমবাতি টি বললো, ‘আমি শান্তি। কেউ আমাকে জ্বালিয়ে রাখতে পারবেনা। আমি এখন নিভে যাবো।’ তারপর সেটি নিভে গেলো।
দ্বিতীয় মোমবাতি টি বললো, ‘আমি বিশ্বাস। শান্তি যেহেতু নেই, তাই আমার আর জ্বলতে থাকার কোনো প্রয়োজন দেখছিনা। আমি এখন এখন নিভে যাবো’। কথা শেষ করার পর দ্বিতীয় মোমবাতি টি নিভে গেলো।
তৃতীয় মোমবাতি এবার মুখ খুললো, আমি ভালবাসা। শান্তি এবং বিশ্বাস কেউ নেই, তাই আমারো বেশিক্ষণ জ্বলার মত শক্তি নেই। মানুষেরা আমাকে গুরুত্ব না দিয়ে একপাশে সরিয়ে রাখে। শুধু তাই না, ওরা প্রিয় মানুষ গুলোকে পর্যন্ত ভুলে যায়।” কথা শেষ করে তৃতীয় মোমবাতি টিও নিভে গেলো।
কিছুক্ষণ পর রুমের মধ্যে একটি বাচ্চা প্রবেশ করলো, তিনটা নিভে যাওয়া মোমবাতির পাশে টিমটিমে জ্বলতে থাকা চতুর্থ মোমবাতি দেখে বাচ্চা টি প্রশ্ন ছুড়ে দিলো, তোমরা জ্বলছো না কেন?
তোমাদের পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত জ্বলা উচিৎ ছিলো। তারপর বাচ্চাটি কাঁদতে শুরু করলো। এবার চার নম্বর মোমবাতি টি মুখ খোলে। ‘ভয় পেয়ো না। আমি যতক্ষণ জ্বলছি, তুমি চাইলেই আমাকে দিয়ে আবারো বাকি মোমবাতি গুলোকে জ্বালাতে পারো। আমার নাম আশা। “বাচ্চা টি আশা নামের মোমবাতি টি দিয়ে একে একে বাকি মোমবাতি গুলোকে আবারো জ্বালালো। সমস্ত রুমটা আবারো উজ্জ্বল আলোতে আলোকিত হয়ে উঠলো।
*** গল্পটি রূপক কিন্তু হাজারো হতাশা, দুঃখ আর সমস্যার অন্ধকারে ডুবে গিয়ে আশা নামের আলোটি কে কখনোই নিভতে দেওয়া উচিৎ নয়। কারন আশা না থাকলে আমাদের জীবন থেকে শান্তি, বিশ্বাস এবং ভালবাসাও অন্ধকারে হারিয়ে যাবে।
পাঠকের মতামত:
- পাংশায় মুক্তিযোদ্ধাদের কববের জন্য নির্ধারিত স্থানের আগুন
- চলচ্চিত্র উৎসবের নারী নির্মাতা বিভাগে বিচারক আফসানা মিমি
- আমিরাতের লিগে অভিষেকে উজ্জ্বল মোস্তাফিজ
- ‘বিএনপি সবসময়ই প্রতিশ্রুতিশীল রাজনীতিতে বিশ্বাসী’
- নড়াইলে পুকুর পাড় থেকে কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
- শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ
- রবিবার থেকে সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
- আরো আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে রসাটমের তৃতীয় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ প্ল্যান
- ‘বাংলাদেশের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক চায় ভারত’
- ‘ধর্মের নামে দেশে বিভাজনের পথ তৈরির চেষ্টা চলছে’
- ‘কওমি মাদরাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরা কাজী হতে পারবেন’
- কুমিল্লা ও লাকসামে তুমুল যুদ্ধ চলে
- নগরকান্দায় খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল
- ৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস
- গৌরবোজ্জ্বল ‘কলারোয়া মুক্ত’ দিবস পালিত
- ঝিনাইদহে পরিবার কল্যাণ সেবা সপ্তাহের শুরু
- ঝিনাইদহে বেড়েই চলেছে খুনোখুনি, নিরপত্তাহীনতায় জনজীবন
- লোহাগড়ায় খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
- ১০ জেলায় ২শ’ অভয়াশ্রম, জলাশয়ে ফিরছে দেশীয় মাছ
- ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ রাজৈরের যুবক, পরিবারে মাতম
- ‘লন্ডনে দিল্লিতে, পিন্ডিতে বসে রাজনীতি চলবে না'
- সালথায় মাছ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা মামলার এক আসামী গ্রেপ্তার
- চিৎমরম ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ বিহারে অষ্টপরিস্কার দান ও সংঘদান উৎসবে হাজারো ভক্তের ঢল
- বাগেরহাটে দুস্থ মায়েদের সরকারি চাল দিতে অর্থ আদায়
- গোপালগঞ্জে ভ্যানচালক ও পথচারীদের মাঝে কম্বল বিতরণ
- প্রাণ
- উখিয়ার লাল পাহাড়ে র্যাবের অভিযান, আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক ২
- বিবস্ত্র করে মারপিট, লজ্জায় কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা
- ভণ্ডামি আর নাটক থেকে মুক্তি চান আঁখি আলমগীর
- নরসিংদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ৫
- ভোলায় ১৩ জেলে নিয়ে ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ৮
- ‘ক্ষমতা ছেড়ে দিন, এক বছরের মধ্যে পরিবর্তন করে দেবো’
- কক্সবাজারে পাহাড় ধসে শিশুসহ ৪ মৃত্যু
- রবিবার থেকে সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
- বরাদ্দ সংকটে বরগুনার ৪৭৭ কি.মি. সড়ক, চরম দুর্ভোগে স্থানীয়রা
- বরগুনায় আওয়ামীলীগের ২৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা
- আবদুল হামিদ মাহবুব'র একগুচ্ছ লিমেরিক
- সিলেটে কমছে বন্যার পানি, দেখা মিলেছে রোদের
- শেখ হাসিনার সাথে মুঠোফোনে কথা বলায় গ্রেফতার আ.নেতা জাহাঙ্গীর
- পঞ্চগড়ে ভাষা সৈনিক সুলতান বইমেলায় নতুন তিনটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
- মহম্মদপুরে শহীদ আবীর পাঠাগারসহ মুক্তিযোদ্ধাদের স্থাপনা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি
- একদিনে ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু
- সন্ত্রাসীদের ঠাঁই নাই
- বই পড়ার অভ্যাসে তলানিতে বাংলাদেশ, বছরে পড়ে ৩টিরও কম
- 'নির্লজ্জ বেহায়া হতেই কী আমরা তোমাকে খুন করেছি কিংবা তোমাকে রক্ষা করিনি?'
-1.gif)








