E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

‘সাংবাদিক সুরক্ষা আইন করতে চাই’

২০২৫ মে ০৪ ১৫:১৮:৪৪
‘সাংবাদিক সুরক্ষা আইন করতে চাই’

স্টাফ রিপোর্টার : সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন করতে চান বলে উল্লেখ করেছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। 

রবিবার (৪ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে ইউনেস্কো ঢাকা অফিস, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এবং সুইডেন দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে ‘ব্রেব নিউ বাংলাদেশ : রিফর্ম রোডম্যাপ ফর প্রেস ফ্রিডম’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মাহফুজ আলম বলেন, শুনলে অবাক হবেন, এক দুইটা মিডিয়া হাউস বাদে আর কেউ ট্যাক্স দেয় না। আপনারা যে বলেন সাংবাদিকদের সুরক্ষা, অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়, আমি এগুলোর পক্ষে। আমি নিজেও এক সময় সাংবাদিকতার করার চেষ্টা করেছিলাম পারিনি, সেটা ভিন্ন কথা। যত ধরনের পজিটিভ এপ্রোচ আছে সবগুলোই আমরা নিতে চাই।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, সাংবাদিকদের স্বার্থেই অ্যাকাউন্টটিবিলিটি দরকার। যারা সংবাদ মাধ্যম চালান, তাদের ট্যাক্সেশন, তারা যদি রাষ্ট্রকে ট্যাক্স না দেয়। তাহলে এটা তো হতে পারে না। অধিকাংশ মিডিয়া হাউসের এ পলিসিই নেই, যে তারা রাষ্ট্রকে ট্যাক্স দেবে। অধিকাংশ হাউস একটা রাজনৈতিক বোঝাপড়ার মধ্য দিয়েই চলছে।

তিনি বলেন, সাংবাদিক সুরক্ষা আইন আমরা করতে চাই। রেডিও টেলিভিশনের স্বায়ত্তশাসন এবং তিনটা প্রতিষ্ঠানের (বিটিভি, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা) একত্রিকরণের প্রক্রিয়া আমরা দেখতে চাই। দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে মিডিয়ার তালিকা, লাইসেন্স পুনর্মূল্যায়ন থেকে শুরু করে বিজ্ঞাপনের হার মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করা।

স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়ে নেগেটিভ বিষয় আছে। পজিটিভ বিষয় হচ্ছে আমাদের স্থানীয় সাংবাদিক লাগবে। স্থানীয় সাংবাদিক না থাকলে সারা দেশের পরিস্থিতি বোঝা যাবে না। তবে স্ট্যান্ডার্ড প্র্যাকটিস কী হবে সেটা নিয়ে আমরা আলোচনায় বসতে চাই। স্থানীয় সাংবাদিকরা যেন সুরক্ষা পায়। স্থানীয়ভাবে আবার ৩০-৪০টা পত্রিকার দরকার নেই।

তিনি আরও বলেন, একটা তথ্য কমিশনের প্রস্তাবনা আছে। টেলিভিশন এবং অনলাইন পত্রিকাগুলোকে আমরা কীভাবে পুনর্মূল্যায়ন করবো এগুলোর লাইসেন্স কীভাবে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রচার নীতিমালা খুব শিগগিরই আমরা চূড়ান্ত করার চেষ্টা করব।

পলিটিক্যাল কনসেন্স ছাড়া সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্ভব না উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা দশটা ভালো আইন করে দিলাম কিন্তু পলিটিক্যাল সরকার এ আইনটাকে যদি কন্টিনিউ না করে, ওই কমিটমেন্ট যদি জনগণের প্রতি তাদের না থাকে, আমি মনে করি সাংবাদিকদের হয়রানির এবং মামলার রায় যে বিষয় আছে সেগুলো আমরা দেখার চেষ্টা করব।

মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ। মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা প্রধান রেজোয়ানুল হক রাজা।

অনুষ্ঠানে আরও অংশগ্রহণ করেন ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি ও অফিস প্রধান সুজান ভাইজ এবং টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের শীর্ষ সাংবাদিকরা এবং সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

(ওএস/এএস/মে ০৪, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test