E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

ডাকসুর প্রচারণার শেষদিন আজ

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৭ ১৩:২৫:০৫
ডাকসুর প্রচারণার শেষদিন আজ

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার শেষদিন আজ। গত ২৬ আগস্ট থেকে শিক্ষার্থীরা প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন। ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে বহুল কাঙ্ক্ষিত ডাকসু নির্বাচন।

প্রচারণার নির্ধারিত সময় শুরুর আগ থেকেই প্রার্থীরা কুশল বিনিময়ের নামে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ২৬ আগস্ট বিভিন্ন প্যানেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোরেশোরে প্রচারণাও চালান। প্রচারণা চালাতে গিয়ে একাধিক প্রার্থী আচরণবিধিও লঙ্ঘন করেছেন।

প্রচারণার শেষের দিকে সব প্যানেলের নজর নারী ভোটারদের দিকে। তাদের ভোটগুলো নিজেদের দিকে আনতে হলগুলোতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন প্রার্থীরা।

ডাকসু নির্বাচনে আটঘাট বেঁধে নেমেছিল ছাত্রদল। প্রচারণাতেও দলটি অব্যাহত রেখেছে। গত ১১ দিন ছাত্রদলের মনোনীত প্যানেলের প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়েছেন।

নারীদের ভোট টানতে শেষদিকে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল নারীদের হলে প্রজেকশন মিটিং করেছে। শেষদিনে এই প্যানেলের সদস্যরা অপরাজেয় বাংলার সামনে শপথবাক্য পাঠ করবে।

অন্যদিকে কৌশলী প্রচারণায় এগিয়ে ছাত্রশিবির। ছাত্রশিবির একইসঙ্গে অনলাইন এবং অফলাইনে নিজেদের প্রচারণাকে শক্তিশালী করেছে। তাদের পেছনে একটি পুরো ভিডিও টিম কাজ করছে। অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনে সক্রিয় শিক্ষার্থীদের কাছেও পৌঁছাতে চাচ্ছে তারা।

শুরুতে কিছুটা এলোমেলো হলেও অনেকটাই গুছিয়ে উঠেছে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সমর্থিত প্যানেল। তাদের নারী সদস্যরা হলগুলোতে সক্রিয় রয়েছেন। শেষদিনে নারী হলেই বিশেষ নজর তাদের।

এসব প্যানেলের বাইরে শামীম হোসেন, জামালুদ্দিন মোহাম্মদ খালিদ এবং বিনইয়ামীন মোল্লাসহ একাধিক প্রার্থী সক্রিয়াভাবে ক্যাম্পাসে কাজ করছেন।

এদিকে গত কয়েকদিন ধরে নিজেদের গ্রাম থেকে ফোনকলে পছন্দের প্রার্থীদের জন্য ভোট চাইছেন স্থানীয়রা। এসব অনুরোধে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন শিক্ষার্থীরা।

বিএনপির ও স্থানীয় ছাত্রদল নেতারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া স্থানীয় শিক্ষার্থীদের নম্বর সংগ্রহ করে আবিদুল ইসলাম খান এবং তার প্যানেলের পক্ষে ভোট চাইছেন।

দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ‘অযাচিতভাবে’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর কাছে ভোট চাওয়ায় ছাত্রদলের খুলনা জেলার অধিনস্ত পূর্ব রূপসা থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইমতিয়াজ আলী সুজনকে সব সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা করেছে দলটি।

একইকাজে জড়িত রয়েছে ছাত্রশিবির এবং জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। স্থানীয় নেতারা ফোনকলে সাদিক কায়েম ও তার প্যানেলকে জন্য ভোট দিতে অনুরোধ করছেন।

এছাড়াও ছাত্রশিবির পরিচালিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকেও শিক্ষার্থীদের সংরক্ষিত যোগাযোগ নম্বর ব্যবহার করে ভোট চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় ছাত্রদলের স্পষ্ট অবস্থান পাওয়া গেলেও ছাত্রশিবির থেকে কোনো স্পষ্ট অবস্থান জানা যায়নি।

প্রচারণার কয়েকদিনে একাধিক আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে শুরুর দিকে পাঠকক্ষে প্রবেশ করে আবিদুল ইসলামের দোয়া প্রার্থনা এবং শেষেরদিকে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ক্লাসে প্রবেশ করে ভোট চাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

এসব ঘটনা প্রশাসনকে একাধিকবার অবগত করা হলেও এই প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এসবের বাইরে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বড় পরিসরে খাবার খাওয়ানোর আয়োজন চলছে। ছাত্রশিবির, ছাত্রদল ও একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী এই কাজে জড়িত।

আবারও বুথসংখ্যা বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন। শিক্ষার্থীরা যেন দ্রুত ভোট দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতেই বুথের সংখ্যা ১০০ বাড়ানো হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সব ভোটার উপস্থিত হলেও এবং প্রত্যেকে ভোটদানে ১০ মিনিট করে সময় নিলেও ভোটদানে কোনো সমস্যা হবে না।

এছাড়াও নির্বাচনের দিন শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়ার জন্য শিডিউলের বাইরে অতিরিক্ত বাস থাকবে।

একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের ভোটদানের প্রক্রিয়া জানাতে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা অনুষদে ভোটার সচেতনতামূলক সভা হবে।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test