E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

‘ব্যালট পেপার ছাপানোর স্থান নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে না’

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৮ ১৪:৫৪:৫০
‘ব্যালট পেপার ছাপানোর স্থান নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে না’

স্টাফ রিপোর্টার : সদ্য অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নীলক্ষেতে ব্যালট পেপার ছাপানোর মাধ্যমে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন। তবে ব্যালট পেপার ছাপানোর স্থান বা সংখ্যা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।

রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ডাকসু নির্বাচন ইস্যুকে ঘিরে উত্থাপিত বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে নিয়ম মেনে একটি অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে ব্যালট পেপার ছাপানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ভোটার ও প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় দ্রুত সময়ে নির্ধারিত পরিমাণ ব্যালট ছাপানোর স্বার্থে মূল ভেণ্ডরের সঙ্গে আলোচনা করে একই টেন্ডারের অধীনে আরেকটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর বিষয়টি সহযোগী ভেণ্ডর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেনি।

উপাচার্য আরও বলেন, ব্যালট পেপার শুধু ছাপালেই তা ভোটের জন্য ব্যবহারযোগ্য হয় না। ছাপানোর পর নির্দিষ্ট মাপে কাটিং, নিরাপত্তা কোড আরোপ, ওএমআর মেশিনে প্রি-স্ক্যান, চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার সিল ও স্বাক্ষর এবং সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার স্বাক্ষর, এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরই তা ভোটগ্রহণের উপযোগী হয়। এসব ধাপ নিশ্চিত করেই সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, ২৪ সেপ্টেম্বরে দেওয়া আমাদের বিবৃতিটি দেখবেন। সেখানে বলা হয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ব্যালট পেপার ছাপানোর পর নির্দিষ্ট পরিমাণ কাটিং করে তা ওএমআর মেশিনে প্রি-স্ক্যানিংপূর্বক মেশিনের পাঠযোগ্যতা নিশ্চিত করে সিলগালাকৃত প্যাকেটে সরবরাহ করে। যে ওএমআর মেশিনে স্ক্যানিং করে ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজ সম্পন্ন করা হয়, তা নীলক্ষেতে কোনো দোকানে সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, আমরা এটিই বলেছি। এই সুরক্ষা পর্বটি সম্পন্ন করা নীলক্ষেতের দোকানে সম্ভব নয়। নীলক্ষেতে প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করে কোম্পানি নিজেদের কার্যালয়ে নিয়েই স্ক্যানিং করে ব্যালট পেপারগুলোকে ব্যবহার উপযোগী করে তুলেছে।

নির্বাচনে মোট ৪৮টি অভিযোগ এসেছে এবং সবগুলোই নিষ্পত্তি করা হয়েছে বলেও জানান উপাচার্য। এছাড়া কোনো প্রার্থী সিসিটিভি ফুটেজ বা ভোটারের স্বাক্ষর দেখতে চাইলে সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় তাকে আবেদন করতে হবে বলে জানান অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test