E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

১৩ নভেম্বর, ১৯৭১

মিত্রবাহিনীর সহায়তায় মুক্তিবাহিনী ভুরঙ্গামারী সম্পূর্ণরূপে হানাদার মুক্ত করে

২০২৫ নভেম্বর ১৩ ০০:২৫:০৬
মিত্রবাহিনীর সহায়তায় মুক্তিবাহিনী ভুরঙ্গামারী সম্পূর্ণরূপে হানাদার মুক্ত করে

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : সুবেদার মেজর লুৎফর রহমান নিজ প্লাটুন নিয়ে লক্ষ্মীপুর রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করেন। এই আকস্মিক আক্রমণে বহু রাজাকার হতাহত হয়। এখানে সর্বস্তরের মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করে।

মহিমাগঞ্জের দুলুর নেতৃত্বে ও মিহিপুরের বাবলু, খালেক, হামিদ, খলিল, নরুল, শুকু, ফিনু, জগলু, হালু, লিটু এবং অন্যান্য গেরিলাদের সহযোগিতায় সুকানপুকুর রেল স্টেশনের ধারে মিহিরপুরের নিকট একটি পাকসৈন্যবাহী স্পেশাল ট্রেন ডিনামাইট দিয়ে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়া হয়। ফলে প্রায় দেড়শত পাকসৈন্য মৃত্যুবরণ করে।

মিত্রবাহিনীর সহায়তায় মুক্তিবাহিনী ভুরঙ্গামারী সম্পূর্ণরূপে হানাদার মুক্ত করে। এই অভিযানে ভারতীয় বাহিনীর নেতৃত্ব দেন ব্রিগেডিয়ার যোশী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচালনা করেন সেক্টর কমান্ডার কে.এম.বাশার ও সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর নওয়াজেশ। এই যুদ্ধে প্রচুর গোলাবারুদ সম্মিলিত বাহিনীর হাতে আসে। এই যুদ্ধে বহু পাকসৈন্য নিহত হয় এবং ৩ জনকে বন্দী করা হয়।

হামজাপুর সাবসেক্টরে ঘনেপুর বি.ও.পি আক্রমণ করে ৩০ জন পাকসেনাকে হত্যা করে।

লে. কর্নেল তাহের রাত ৩.২০ মিনিটে মুক্তিফৌজ কোম্পানী কমান্ডারদের ডেকে কামালপুর পাকঘাঁটি আক্রমণ করার পরিকল্পনা অবহিত করেন। তিনি কোম্পানী কমান্ডারদের মোট ৮৫ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে কামালপুরের আশেপাশে গ্রামে এ্যামবুশ নিয়ে থাকার নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য কর্নেল তাহের ঐ যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন।

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ১৩, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

১৩ নভেম্বর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test