গাজীপুর হানাদারমুক্ত দিবস বৃহস্পতিবার

গাজীপুর প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার ১৫ ডিসেম্বর গাজীপুর হানাদারমুক্ত দিবস। ৪৪ বছর আগে ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতাযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পরাজিত হয়ে গাজীপুর থেকে পালিয়ে যায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। পরের দিন সকালে সারাদেশের মতো গাজীপুরের মু্ক্তিযোদ্ধারাও লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে বিজয়ীর বেশে রাস্তায় রাস্তায় উল্লাস করেন।
হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে নানা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসেও পালিত হবে নানা কর্মসূচি।
জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাষ্য মতে, গাজীপুরে সর্বশেষ জয়দেবপুর থানার আশপাশসহ ছয়দানা ও পূবাইল এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তি ও মিত্র বাহিনীর যুদ্ধ চলে। এসব যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী পরাজিত হয়ে পালিয়ে যায়। ফলে ১৫ ডিসেম্বর গাজীপুর পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত হয়। পরের দিন ১৬ ডিসেম্বর সকালে বিজয়ীর বেশে উল্লসিতভাবে মুক্তিযোদ্ধারা শত্রুমুক্ত গাজীপুরের জয়দেবপুরে প্রবেশ করেন।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে গাজীপুরবাসীর রয়েছে অবিস্মরণীয় বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ এই গাজীপুরের জয়দেবপুরে হয়েছিল প্রথম সশস্ত্র গণপ্রতিরোধযুদ্ধ। জয়দেবপুর রাজবাড়িতে অবস্থিত বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি সদস্যদের নিরস্ত্র করতে পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জাহান জেব ঢাকা সেনানিবাস থেকে গাজীপুরের উদ্দেশে রওয়ানা হলে সকল স্তরের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শহরের রেলগেট ও চান্দনা-চৌরাস্তায় তাকে বাধা দেওয়া হয়।
বাধা পেয়ে জাহান জেব ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিলে পাকিস্তানি সেনারা তাই করে। ওই সময় নেয়ামত, মনু খলিফা, হুরমত আলী ও কানু মিয়া শাহাদতবরণ করেন। ওইদিন সারাদেশে ধ্বনি উঠেছিল, ‘জয়দেবপুরের পথ ধর বাংলাদেশ স্বাধীন কর’।
২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দেশব্যাপী নৃশংস হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে গাজীপুরের রাজনৈতিক নেতাকর্মী, ছাত্র-জনতা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান। প্রশিক্ষণ শেষে জয়দেবপুরের আশপাশে এসে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেন। গাজীপুরে মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেন এবং হানাদার বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালাতে থাকেন।
১২ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর জোরালো আক্রমণ চালালে তারা অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে। জয়দেবপুর সেনানিবাস, অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি, মেসিনটুলস ফ্যাক্টরি, রাজেন্দ্রপুর অর্ডন্যান্স ডিপো থেকে পাকিস্তানি সৈন্যরা ঢাকার দিকে পালানোর জন্য চান্দনা-চৌরাস্তায় সমবেত হতে থাকে। এদিকে ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইলের দিকেও মিত্র ও মুক্তি বাহিনীর আক্রমণে টিকতে না পেরে সেখান থেকে পাকিস্তানি বাহিনী সড়ক পথে ঢাকার দিকে ছুটতে থাকে। পিছু হটার সময় তারা গাজীপুরের কড্ডা ব্রিজ বোমা মেরে উড়িয়ে দেয় এবং চান্দনা-চৌরাস্তায় এসে তাদের বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে যোগ দেয়। অপরদিকে তাদের পিছু ধাওয়া দেওয়া মুক্তি, মিত্র ও কাদেরিয়া বাহিনী কড্ডা ব্রিজ পেরোতে না পেরে গাজীপুরের কাশিমপুরে অবস্থান নেয়।
১৪ ডিসেম্বর চান্দনা-চৌরাস্তায় জড়ো হওয়া হানাদার বাহিনীর বিশাল একটি কনভয় ঢাকার দিকে রওনা হয়ে গাজীপুর ছয়দানা নামক স্থানে পৌঁছলে কাশিমপুর থেকে মুক্তিবাহিনী, মিত্রবাহিনী ও কাদেরিয়া বাহিনী তাদের ওপর কামান ও মর্টারের প্রবল গোলাবর্ষণ করে। এতে হানাদার বাহিনীর প্রায় ৪-৫শ’ সৈন্য মারা যায়, ধ্বংস হয় তাদের কামান-ট্যাংকসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ ও যানবাহন। এ আক্রমণ ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয়ে ১৫ ডিসেম্বর জয়দেবপুর মুক্ত হয়। তবে সেদিন পর্যন্ত যুদ্ধ অব্যাহত থাকায় অল্পসংখ্যক মুক্তি বাহিনী জয়দেবপুর প্রবেশ করে। পর দিন ১৬ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তি বাহিনী জয়বাংলা ধ্বনিতে চারিদিক প্রকম্পিত করে সম্মিলিতভাবে গাজীপুরের জয়দেবপুর প্রবেশ করেন।
(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬)
পাঠকের মতামত:
- ‘হাসিনার নির্দেশেই আন্দোলনে মারণাস্ত্রের ব্যবহার হয়’
- ‘আ.লীগ দেশের জন্য রাজনীতি না করে ভারতের তাবেদারি করেছে’
- শ্যামনগর বিএনপি’র একাংশের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ
- কুষ্টিয়ায় জিকে খালে মিলল অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ
- প্লট জালিয়াতি, শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিচার শুরু
- ‘আমরা এমন জাতি নিজেদের সন্তানদেরও পুড়িয়ে মারি’
- ‘শেখ হাসিনাকে ১০ বার ফাঁসিতে ঝোলালেও তার অপরাধ কমবে না’
- ভারতে শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৭১ লাখ ৩৩ হাজার ৪ জন
- নিজেকে বাঁচাতে মাকে দিয়ে বাদির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা সন্ধিগ্ধ আসামী রফিকুলের!
- জেলা প্রশাসকের বাসভবনে হামলার ঘটনায় ১০১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- আরবি লেখা শেখার ছলে ঘরে নিয়ে শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেফতার
- সাত উপাচার্যের অংশগ্রহণে গোপালগঞ্জ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ম ব্যাচের 'শিক্ষা সমাপনী
- হৃদরোগে আক্রান্ত জামায়াত আমির, বাইপাস সার্জারির পরামর্শ
- ‘৫ আগস্ট ঘিরে কোনো নিরাপত্তা শঙ্কা নেই’
- ‘সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে ফ্যাসিস্ট মাথাচাড়া দিতে পারে’
- শ্রীনগরে অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে চলছে স্বাস্থ্য সেবা
- হাসিনাকে দেশে ফেরাতে আ.লীগের নতুন পরিকল্পনা
- ‘গাজীপুরে আসন বাড়বে, কমবে বাগেরহাটে’
- ডেঙ্গুতে আরও ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৮৬ জন
- ১০২ এসিল্যান্ড প্রত্যাহার
- জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি ঐক্য পরিষদের
- ‘তিন মাসে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন হয়েছে, এক বছরেও না হওয়ার কারণ দেখছিনা’
- পাংশায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ
- স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে শাহীন গ্রেপ্তার
- জামালপুরে দুই টিকিট কালোবাজারি আটক
- ‘কোন মানুষ অর্থের কাছে চিকিৎসায় হেরে যাবে না, সবাই বাঁচবে’
- রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ৩ মোটরসাইকেল আরোহীর
- ঝিনাইদহে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ কর্মী নিহতের ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি
- প্রজন্মের কাছে এক মুক্তিযোদ্ধার খোলা চিঠি
- প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি, বিএনপি নেতা চাঁদের নামে মামলা
- মা
- পারিবো না
- ঝিনাইদহে বজ্রপাতে মৃত দুই কৃষক পরিবারকে তারেক রহমানের মানবিক সহায়তা প্রদান
- ‘আমরা এমন জাতি নিজেদের সন্তানদেরও পুড়িয়ে মারি’
- অতিরিক্ত ঠান্ডায় ঠাকুরগাঁওয়ে বেড়েছে শিশু রোগীর সংখ্যা
- রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক সামরিক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করছে জান্তা
- লক্ষ্মীপুরে গুলিবিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
- লক্ষ্মীপুরে বাংলা নববর্ষ উদযাপন
- নৌকার পক্ষে সমর্থন জানানেল এডভোকেট আব্দুল মতিন
- লক্ষ্মীপুরে দোকান ঘর বিক্রির নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা
- রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি: ১৭ নারীসহ ৫২ জন রিমান্ডে
- মহুয়া বনে
- সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রতিবাদে শেরপুরে প্রতিবাদ সমাবেশ
- প্লট জালিয়াতি, শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিচার শুরু
- বিজনেস সামিটের পর্দা নামছে আজ