অদৃশ্য হয়ে যাওয়া ঐতিহ্য
বিলুপ্তির পথে বাংলার দেশি ধানের জাত
ওয়াজেদুর রহমান কনক
বাংলাদেশের ধান চাষের ইতিহাস একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যা এ দেশের ভূপ্রকৃতি, জলবায়ু ও মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। প্রাচীনকাল থেকে বাংলায় ধান ছিল প্রধান খাদ্যশস্য, আর এর চাষ হতো তিনটি প্রধান মৌসুমে—আউশ, আমন ও বোরো। এই তিন মৌসুমে আলাদা আলাদা ধানের জাত বপন করা হতো এবং এগুলোর বৈশিষ্ট্যও ছিল ভিন্ন।
এক সময় বাংলায় প্রায় ১৫,০০০ প্রজাতির ধান চাষ হতো, যা বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকদের অভিজ্ঞতা, স্থানীয় আবহাওয়া এবং সংস্কৃতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল। বরিশালের ‘বালাম’, দিনাজপুরের ‘কাটারীভোগ’, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সুগন্ধি ‘রাঁধুনী পাগল’, নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলের ‘তুলসীমালা’, ‘ঝরাবাদল’ কিংবা ‘বাঁশফুল’—এসব জাত শুধু খাদ্যশস্য নয়, উৎসব ও ঐতিহ্যেরও প্রতীক ছিল। পিঠা-পায়েস তৈরিতে ব্যবহৃত ‘কালিজিরা’, ‘চিনিগুঁড়া’, ‘বাদশাভোগ’, ‘দুধরাজ’ ও ‘পঙ্খিরাজ’ জাতের ধান আজও গ্রামীণ স্মৃতির অংশ হিসেবে রয়ে গেছে, যদিও অনেকটাই বিলুপ্তির পথে।
উচ্চফলনশীল জাত ও হাইব্রিড ধানের আগমনের কারণে এই বৈচিত্র্য বিপন্ন হয়েছে। স্বাধীনতার পর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ধান উৎপাদনে গবেষণায় মনোযোগ দেয়। এখন পর্যন্ত তারা ১১৫টি জাত উদ্ভাবন করেছে—এর মধ্যে কিছু জাত লবণাক্ততা, খরা ও বন্যা সহিষ্ণু। যেমন ব্রি ধান-৯৮, যেটি আউশ মৌসুমে উপযোগী এবং স্বল্প সময়ে ফলন দেয়। বর্তমানে দেশের ধান উৎপাদনের প্রায় ৯১ শতাংশ আসে এই আধুনিক উচ্চফলনশীল ও হাইব্রিড জাত থেকে।
এই প্রযুক্তিনির্ভর কৃষির ফলে অনেক দেশীয় ধানপ্রজাতি হারিয়ে যেতে বসেছে। নেত্রকোনার মতো অঞ্চলে 'বিন্নি' ধান, নদীতীরবর্তী অঞ্চলের 'জলি' ধান এখন আর চাষ হয় না বললেই চলে। তবে কিছু উদ্যোগ এখনও টিকে আছে দেশীয় জাতের সংরক্ষণে। যেমন ব্রি প্রায় ৮,০০০ ধানের জাত তাদের জিন ব্যাংকে সংরক্ষণ করছে, আর ‘উবিনীগ’-এর ‘নয়াকৃষি আন্দোলন’ প্রায় ৩,০০০ দেশীয় জাতের ধান সংরক্ষণে কাজ করছে।
তবে এই প্রচেষ্টা এককভাবে যথেষ্ট নয়। দেশীয় ধানের সংরক্ষণ, পুনর্জীবন ও কৃষকদের মাঝে নতুন করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রয়োজন রাষ্ট্রীয় সহায়তা, বাজারে গ্রহণযোগ্যতা এবং কৃষিপলিসিতে নতুন করে ভাবনা। কারণ ধানের সঙ্গে এই দেশের লোকজ সংস্কৃতি, পুষ্টি নিরাপত্তা এবং জলবায়ু অভিযোজনের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।
বাংলাদেশের ধানচাষ কেবল খাদ্য উৎপাদনের অর্থেই নয়, এটি আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও পরিবেশগত ভারসাম্যের অংশ। এই বৈচিত্র্যকে টিকিয়ে রাখা আমাদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য।
“আমার বাড়ি যাইও বন্ধু বসতে দিবো পিড়া, জলপান করতে দেব শালি ধানের চিড়া, শালি ধানের চিড়ারে ভাই বিন্নি ধানের খই, বাড়ির গাছের সবরি কলা গামছা বান্ধা দই”—এই লোকছড়ায় ধানের যে বন্দনা উচ্চারিত হয়েছে, তা আমাদের স্মৃতিকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় বাংলার প্রাচীন গ্রামীণ জীবনে। সেই সময়ের চাল দিয়ে তৈরি পিঠা-পায়েস, খই-মুড়ি ও ভাতের স্বাদ ছিল অতুলনীয়।
বাংলায় ধান চাষের ইতিহাস বহু প্রাচীন। এক সময় এ দেশে প্রায় ১৫ হাজার জাতের ধান আবাদ হতো। রাজভোগ, দুধরাজ, পঙ্খিরাজ—এই সব ঐতিহ্যবাহী ধানের ছিল নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। রাজভোগের চাল ছিল চিকন ও লম্বা, রান্নার পর হতো ধবধবে সাদা। দুধরাজ ব্যবহৃত হতো মূলত পিঠা-পায়েস তৈরিতে, আর পঙ্খিরাজ দিয়ে তৈরি হতো খই, মুড়ি ও চিড়া।
১৯৮০ সালের দিকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে এমন কিছু আমন ধান চাষ হতো যা পানির সাথে বেড়ে উঠতো—যেমন দলকচু, খুইয়েমটর, শ্রীবালাম। নদী বা খালের তীরবর্তী নিচু জমিতে চাষ হতো জলি বা জাগলি ধান, যা পানিতেই রোপণ ও কর্তন করা হতো। এই জলি ধান এখন প্রায় বিলুপ্ত।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সুগন্ধি ধান ‘রাঁধুনী পাগল’ আজ স্মৃতির পাতায় রয়ে গেছে। এক সময় বরেন্দ অঞ্চলে এর চাষ হতো। প্রবীণ চাষিদের ভাষ্যমতে, রান্নার সময় এ চালের এমন সুগন্ধ ছড়াতো যে পাশে বসা রাঁধুনীর পাগল হওয়ার উপক্রম হতো। সেই থেকেই এর নাম ‘রাঁধুনী পাগল’।
নেত্রকোনার পাহাড়ি অঞ্চলে হাজং, গারো, রাংসা, সাংমা, মান্দা ও দারিং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর লোকেরা দলবদ্ধভাবে বিন্নি ধান চাষ করে থাকেন। সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে বিন্নি ধান গুরুত্বপূর্ণ। নানা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসবে এটি অপরিহার্য।
দিনাজপুরের বিখ্যাত ‘কাটারীভোগ’ চাল ছিল এক সময়ের নবান্ন উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ। এই চালের সুগন্ধে চারপাশের বাড়ি ঘর ভরে যেত। চালের আকৃতি যেমন ছুরির মাথার দিকের মতো চোখা ও বাঁকা, তেমনি এর স্বাদ ও গন্ধ অতুলনীয়। কথিত আছে, এই চাল পেয়ে তৎকালীন সম্রাটরাও অভিভূত হতেন।
বরিশালের বানারীপাড়ার দেড়শ বছরের পুরনো ‘বালাম’ চালের ব্যবসা এক সময় দেশ-বিদেশে পরিচিতি লাভ করেছিল। এখন তার জৌলুস হারালেও কিছু সচ্ছল ও শৌখিন কৃষক আজও নিজের খাওয়ার জন্য বা অতিথি আপ্যায়নে এর চাষ করে থাকেন।
হাওর অঞ্চলে উৎপন্ন হতো ঝরাবাদল, বাঁশফুল, বর্ণজিরা, তুলসীমালা, গাজী, জোয়ালকোট, মধুমাধব, খাসিয়া বিন্নি, হলিনদামেথি, দুধজ্বর প্রভৃতি ধান—যেগুলো স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করত। আজ সেগুলোর অধিকাংশই হারিয়ে গেছে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চাষ হতো আরও অনেক দেশি ধান যেমন গৌরীকাজল, হাসবুয়ালে, দলকচু, পঙ্খিরাজ, বাঁশিরাজ, দেবমনি, কালাবায়রা, গন্ধকোস্তের, লতাবোরো, ঠাকুরভোগ, মুরালি, জোয়ালকোট, ময়নামতি, খাসিয়া বিন্নি, চাপরাস ইত্যাদি। এসব ধান এখন মাত্র হাতে গোনা কিছু জমিতে সীমিত আকারে আবাদ হয়।
আউশ, রোপা আমন এবং বোনা আমন—এই তিন প্রকারের প্রধান জাতগুলো ছিল আড়াই, চেংড়ি, বাউরস, লাটিসাইল, বালাম, মুরালী, কাতিছিনি, পশুআইল ইত্যাদি। এসবের বহু জাতই আজ হারিয়ে গেছে।
রায়েদা নামের ধান ছিল জংলি আমন জাত, যেটি ছিল স্বয়ংক্রিয় অঙ্কুরোদ্গমে সক্ষম। এই রায়েদা থেকে বাছাই করে তৈরি হতো অন্যান্য বোনা আমন ধান। বন্যা সহ্য করতে না পারা জাতগুলো থেকে তৈরি হতো রোপা আমন। গভীর পানির ধান যেমন কালো আমন, লক্ষ্মীদীঘা থেকে উদ্ভব হতো জোয়ালভাঙ্গা, বাদল, কার্তিকা জাত।
তিলক কাচারি ধান থেকে আশ্বিনা বা ভাদুইয়া ধানের উৎপত্তি এবং এর থেকে শাইল, ইন্দশাইল, দুধসরা, ঝিঙ্গাশাইল ও দাদখানী বা কাটারীভোগ জাতের উদ্ভব হয়। পরবর্তীতে বিবর্তনের ধারায় সৃষ্টি হয় কালিজিরা, চিনিগুঁড়া, বাদশাভোগ, রাঁধুনী পাগল প্রভৃতি সুগন্ধি চাল।
ভাদুইয়া বা আশ্বিনা থেকে ধীরে ধীরে উদ্ভব হয় আউশের জাতসমূহ। বাংলাদেশের প্রাচীন ধানের এই ইতিহাস এখন ক্রমেই বিস্মৃতির অন্তরালে হারিয়ে যাচ্ছে। অবশ্যই। নিচে একটি ধারাবাহিক, সাহিত্যঘন ও তথ্যসমৃদ্ধ ৭০০ শব্দের প্রতিবেদনমূলক রচনা দেওয়া হলো, যাতে পয়েন্ট ব্যবহারের পরিবর্তে ধারাবাহিক বর্ণনার ভঙ্গিতে ধানের জাত, বিবর্তন, বিলুপ্তি ও সম্ভাবনার ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।
এক সময়ের কৃষিনির্ভর এই দেশের প্রতিটি জনপদে ধানের ছিল এক স্বতন্ত্র পরিচয়। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা—তিন ঋতুর বদলে যাওয়া প্রকৃতি যেমনভাবে বাংলাকে রাঙিয়ে তুলত, তেমনি ধানও গড়ে তুলত নিজস্ব রূপ ও ঘ্রাণে পূর্ণ গ্রামীণ এক জীবনব্যবস্থা।
এক সময়ে বাংলার মাঠে জন্মাত প্রায় পনেরো হাজার প্রজাতির ধান। প্রতিটি অঞ্চলের কৃষক নিজের অভিজ্ঞতা, প্রকৃতির বৈচিত্র্য, আর স্থানিক বাস্তবতা অনুযায়ী উদ্ভাবন করতেন নিজস্ব ধানের জাত। এই ধান ছিল কখনো জলের ধান, কখনো শুকনো জমির, কখনো পাহাড়ের ঢালে বেড়ে উঠা পরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক। নেত্রকোনার হাওরে ছিল তুলসীমালা, ঝরাবাদল, বাঁশফুল নামের ধান; বরেন্দভূমিতে রাঁধুনী পাগল—যার ঘ্রাণেই রান্নাঘর মাতোয়ারা হয়ে উঠত।
দিনাজপুরের কাটারীভোগ ছিল ছুরির মতো চোখা ও সুঘ্রাণে ভরপুর, আর বরিশালের বালাম ধান তো একসময় রপ্তানির জন্য বিখ্যাত ছিল। পাহাড়ি অঞ্চলগুলোয় আদিবাসীরা আজও বিন্নি ধান চাষ করে, যার সাথে জড়িয়ে আছে তাদের উৎসব ও আধ্যাত্মিক জীবনের গভীর সম্পর্ক। হাজং, গারো, রাংসা, সাংমা, দারিং জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে এই ধান শুধু পেট ভরায় না, পূজায় নিবেদনও হয়।
এক সময় নদীর পাশে চাষ হতো জাগলি ধান, যা পানির মধ্যেই রোপণ, বেড়ে ওঠা ও কাটা হতো। আর ছিল রায়েদা নামের এক জংলি ধান, যেটি নিজে থেকে জন্মাত, যা পরে ধীরে ধীরে পরিণত হয় বোনা আমনে। স্থানীয় অভিজ্ঞতায় গড়ে উঠেছিল আশ্বিনা, ইন্দশাইল, দুধসরা, শাইল, কাটারীভোগ থেকে শুরু করে রাঁধুনী পাগল, বাদশাভোগ, কালিজিরা ও চিনিগুঁড়ার মতো সুবাসিত ধান। প্রতিটি ধান ছিল একটি অঞ্চলভিত্তিক ইতিহাস, সংস্কৃতি ও জীবনবোধের প্রতিচ্ছবি।
দক্ষিণাঞ্চলের আমন ধান ছিল দলকচু, খুইয়েমটর, শ্রীবালাম। আর গভীর পানির ধানের মধ্যে ছিল কালো আমন ও লক্ষ্মীদীঘা, যেখান থেকে বিবর্তিত হয় জোয়ালভাঙ্গা, বাদল ও কার্তিকা নামের ধান। কেউ কেউ এসব ধান দিয়ে তৈরি করত রাজভোগ চাল, যা রান্নার পর ধবধবে সাদা হতো। দুধরাজ ছিল পিঠাপুলির রানী, আর পঙ্খিরাজ ছিল খই ও মুড়ির জন্য আদর্শ।
কিন্তু সময় বদলে যায়। ১৯৮০-এর দশকের পর উচ্চফলনশীল জাতের জয়যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) একের পর এক উদ্ভাবন করে নতুন জাত—ব্রি-৯৮ এর মতো স্বল্পমেয়াদি ধান আউশ মৌসুমে চাষযোগ্য হয়ে ওঠে। এমনকি এমন জাতও আসে, যেগুলো খরা, বন্যা ও লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে। এই বৈজ্ঞানিক উন্নয়নের ফলে দেশে ধানের উৎপাদন বাড়ে, কিন্তু তার সাথে হারাতে থাকে গন্ধ, ঘ্রাণ, রূপ আর রুচির ঐতিহ্য।
আজ বাংলাদেশে প্রায় ৯১ শতাংশ ধান চাষ হয় হাইব্রিড ও আধুনিক জাত দিয়ে। ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে সেই আঞ্চলিক সুগন্ধি ধান, যে ধান একসময় গ্রামবাংলার গর্ব ছিল। জলি, বিন্নি, রাজভোগ, পঙ্খিরাজ, দলকচুর মতো ধান আজ বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। এই হারিয়ে যাওয়া জাতের সাথে হারিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় জ্ঞান, কৃষক পরিবারের জীবনের রঙ, আর শিশুর শৈশবের স্মৃতি।
তবুও পুরো গল্পটা কেবল ক্ষয়মান ইতিহাস নয়। এখনও আছে কিছু আশার রেখা। ব্রি সংরক্ষণ করছে প্রায় আট হাজার প্রজাতির ধানের বীজ। উবিনীগের 'নয়াকৃষি আন্দোলন' কাজ করছে তিন হাজার স্থানীয় জাত সংরক্ষণে। ছোট পরিসরে হলেও এই উদ্যোগগুলোই ভবিষ্যতের জন্য রেখে যেতে পারে জাতিগত স্বকীয়তা ও কৃষির টিকে থাকার সংগ্রাম।
তবে এই প্রয়াস যেন কেবল গবেষণাগারে বন্দি না থাকে। দরকার রাষ্ট্রীয় সহায়তা, বাজারে স্থানীয় ধানের মূল্যায়ন, এবং কৃষিনীতিতে সংস্কৃতি সংরক্ষণের স্পষ্ট দিশা। কারণ ধান কেবল খাদ্য নয়, এটি বাংলার প্রাণ, ইতিহাস, এবং আগামী প্রজন্মের অস্তিত্ব রক্ষার এক মৌলিক শিকড়।
যখন শহরের শিশুরা হয়তো চিনে না ‘রাঁধুনী পাগল’ চালের নাম, তখন দরকার তাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া সেই ধানের সাথে—যার ঘ্রাণে একসময় ঘরভরা প্রেম, উৎসব আর ঐতিহ্য মিশে থাকত। ধানকে ফিরিয়ে আনতে হবে কেবল চাষের মাঠে নয়, ফিরিয়ে আনতে হবে হৃদয়ে, রন্ধ্রে, জীবনের প্রতিটি পরতে।
লেখক : গণমাধ্যমকর্মী।
পাঠকের মতামত:
- ৩৪ জন শিক্ষার্থী পেলেন সনদ, ক্রেস্ট ও অর্থ পুরস্কার
- র্যাব-ট্রাফিকের যৌথ অভিযান: ৩০ মামলা, জরিমানা আদায়
- ডিসি ইকোপার্ক ডিজাইন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
- নাটোরে ৬ লক্ষ টাকার চায়না জাল ধ্বংস
- ‘আগামী ৫-৬ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ’
- নাটোরে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
- হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা, দোষীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
- জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে গোপালগঞ্জে প্রতীকী ম্যারাথন
- রাজৈর ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার
- বড়ইছড়ি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল অংশগ্রহণ প্রতিযোগিতা
- জমি দান করতে এসে মন্দির কমিটির প্রতারণায় সর্বস্বান্ত দাতা
- ‘কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচনের ঘোষণা আসবে’
- জুলাইয়ের ৩০ দিনে রেমিট্যান্সে এলো ২৩৭ কোটি ডলার
- সাইফিয়া দরবার শরীফে বাৎসরিক ওরস অনুষ্ঠিত
- ‘আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত নাহলে গণতন্ত্র টেকসই হয় না’
- পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে ১৭ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ
- সোনাতলায় নদী থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধার
- মাদারীপুরে পৃথক ঘটনায় ভ্যানচালক ও বাবুর্চির লাশ উদ্ধার
- পানির উচ্চতা ১০৮ ফুট অতিক্রম করলে খুলবে জলকপাট
- যশোর- ৪ আসনে মনোনয়ন পেলেন অ্যাডভোকেট বায়েজীদ
- মাতৃদুগ্ধ ভালোবাসার স্পর্শ, সুস্থ জীবনের শুরু
- উৎপাদনে ফিরল বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট
- গোপালগঞ্জে সহিংসতা : ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ ৪৭৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি আর দখলদারিত্বের মহা উৎসব
- সালথায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর থেকে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার
- ‘কোন মানুষ অর্থের কাছে চিকিৎসায় হেরে যাবে না, সবাই বাঁচবে’
- রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ৩ মোটরসাইকেল আরোহীর
- ঝিনাইদহে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ কর্মী নিহতের ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি
- প্রজন্মের কাছে এক মুক্তিযোদ্ধার খোলা চিঠি
- প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি, বিএনপি নেতা চাঁদের নামে মামলা
- মা
- উৎপাদনে ফিরল বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট
- ঝিনাইদহে বজ্রপাতে মৃত দুই কৃষক পরিবারকে তারেক রহমানের মানবিক সহায়তা প্রদান
- পারিবো না
- জমি দান করতে এসে মন্দির কমিটির প্রতারণায় সর্বস্বান্ত দাতা
- ‘আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত নাহলে গণতন্ত্র টেকসই হয় না’
- মাদারীপুরে পৃথক ঘটনায় ভ্যানচালক ও বাবুর্চির লাশ উদ্ধার
- অতিরিক্ত ঠান্ডায় ঠাকুরগাঁওয়ে বেড়েছে শিশু রোগীর সংখ্যা
- রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক সামরিক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করছে জান্তা
- লক্ষ্মীপুরে গুলিবিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
- নৌকার পক্ষে সমর্থন জানানেল এডভোকেট আব্দুল মতিন
- জুলাইয়ের ৩০ দিনে রেমিট্যান্সে এলো ২৩৭ কোটি ডলার
- লক্ষ্মীপুরে বাংলা নববর্ষ উদযাপন
- লক্ষ্মীপুরে দোকান ঘর বিক্রির নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা
- রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি: ১৭ নারীসহ ৫২ জন রিমান্ডে