শিশুদের মানসিক সমস্যায় হোমিওপ্যাথি

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
শিশুরা হলো জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের হাসি-খুশি মুখ, খেলা ও পড়াশোনার আনন্দই আমাদের সমাজকে প্রাণবন্ত করে রাখে। কিন্তু আধুনিক যুগে প্রযুক্তির ব্যবহার, পড়াশোনার চাপ, পারিবারিক টানাপোড়েন আর সামাজিক বৈষম্যের কারণে অনেক শিশু মানসিক সমস্যায় ভুগছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজন মানসিক সমস্যার শিকার। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপে দেখা গেছে, শিশু-কিশোরদের প্রায় ১৬ শতাংশ মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত। এখন সময় এসেছে—শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা, যেন তারা সুস্থ ও আত্মবিশ্বাসী মানুষ হয়ে বড় হতে পারে।
শিশুদের মানসিক সমস্যার মূল কারণ
শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা একটি বহুমাত্রিক ইস্যু। এটি কেবল ব্যক্তিগত বা পারিবারিক বিষয় নয়, বরং সামাজিক ও পরিবেশগত নানা কারণের সঙ্গে জড়িত। নিচে শিশুদের মানসিক সমস্যার মূল কারণগুলো বিশ্লেষণ করা হলো—
* পারিবারিক অশান্তি : পরিবার শিশুদের মানসিক বিকাশের প্রথম পরিবেশ। যখন পরিবারে নিয়মিত কলহ, নির্যাতন, বিবাহবিচ্ছেদ বা অভিভাবকের অনুপস্থিতি দেখা যায়, তখন শিশুর মনে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়। গবেষণা বলছে, এমন পরিস্থিতিতে বেড়ে ওঠা শিশুদের মানসিক সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি প্রায় তিন গুণ বেশি।
* পড়াশোনার চাপ : শিক্ষাব্যবস্থায় অতিরিক্ত প্রতিযোগিতা শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলে। ২০২৫ সালে ঢাকায় করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৭০ শতাংশ কিশোর-কিশোরী পড়াশোনার চাপে উদ্বেগে ভুগছে। পরীক্ষার ফলাফল, অভিভাবকের প্রত্যাশা এবং টিউশনি/কোচিং সংস্কৃতি শিশুদের মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করছে।
* প্রযুক্তির প্রভাব : শিশুরা প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইল, ট্যাব বা কম্পিউটারে আসক্ত হয়ে পড়ছে। শহুরে এলাকায় প্রায় ৭৫ শতাংশ শিশু প্রতিদিন তিন ঘণ্টারও বেশি সময় স্ক্রিনে কাটায়। এর ফলে মনোযোগ ঘাটতি, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, ঘুমের সমস্যা এবং আক্রমণাত্মক আচরণ দেখা দিচ্ছে।
* সামাজিক বৈষম্য : অর্থনৈতিক বৈষম্য মানসিক স্বাস্থ্যে বড় প্রভাব ফেলে। দরিদ্র পরিবারের শিশুরা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপত্তায় পিছিয়ে থাকে। এর ফলে তাদের মানসিক সমস্যার ঝুঁকি দ্বিগুণ বেশি।
* জেনেটিক কারণ : অটিজম, অতিচঞ্চলতা (ADHD) বা বিষণ্নতার মতো কিছু মানসিক সমস্যা বংশগত কারণেও হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব সমস্যার প্রায় ৩০–৪০ শতাংশ জেনেটিক কারণে ঘটে।
* সামাজিক যোগাযোগের অভাব : শহরে জীবনে খেলার মাঠের অভাব, পারস্পরিক মেলামেশার সুযোগ কমে যাওয়া এবং প্রতিবেশী সম্পর্কের দুর্বলতা শিশুদের মানসিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে। ফলে তারা একাকিত্বে ভুগছে।
* সহিংসতা ও বুলিং : বিদ্যালয়ে বা সমাজে সহপাঠীদের দ্বারা বুলিং বা নির্যাতনের শিকার হলে শিশুর আত্মবিশ্বাস ভেঙে যায়। দীর্ঘমেয়াদে এটি উদ্বেগ, হতাশা ও আত্মঘাতী প্রবণতার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
* মাদক ও খারাপ সঙ্গ : কৈশোরে অনেক শিশু কৌতূহলবশত বা বন্ধুর চাপে ধূমপান, মাদক বা অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে। এতে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
* প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বাস্তুচ্যুতি : বাংলাদেশে বন্যা, ঘূর্ণিঝড় বা নদীভাঙনের কারণে অনেক শিশু বাস্তুচ্যুত হয়। বাসস্থান হারানো, স্কুল বন্ধ হওয়া এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তাদের মধ্যে মানসিক চাপ বাড়িয়ে তোলে।
* চিকিৎসা ও সহায়তার অভাব : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় কর্মরত চিকিৎসকের সংখ্যা অত্যন্ত কম। শিশুদের জন্য বিশেষ মনোচিকিৎসক প্রায় নেই বললেই চলে। ফলে সমস্যা চিহ্নিত হলেও চিকিৎসা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
শিশুদের মধ্যে যে সমস্যাগুলো দেখা যায়
* উদ্বেগ ও ভয়: বিদ্যালয়ে যেতে না চাওয়া, পরীক্ষার আগে পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব বা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা।
* মানসিক অবসাদ (ডিপ্রেশন): আনন্দে আগ্রহ না থাকা, একা থাকতে চাওয়া, অকারণে কান্না করা, আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলা।
* অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার : সামাজিক যোগাযোগে সমস্যা, অন্যের সাথে চোখে চোখ মিলিয়ে কথা না বলা, নিয়ম ভাঙতে না পারা।
*:অতিচঞ্চলতা ও মনোযোগ ঘাটতি : অতি চঞ্চল আচরণ, পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখতে না পারা, নিয়ম মেনে কাজ করতে না চাওয়া।
* আচরণগত সমস্যা: জেদ, আক্রমণাত্মক আচরণ, সহপাঠীর সাথে ঝগড়া, নিয়ম ভাঙা বা অন্যকে আঘাত করা।
* আত্মঘাতী প্রবণতা: কিশোর বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার বেড়ে যাচ্ছে, যা মূলত দীর্ঘমেয়াদি মানসিক অবসাদ ও চাপের ফল।
* খাদ্যাভ্যাসজনিত সমস্যা : অস্বাভাবিকভাবে কম খাওয়া বা না খাওয়া (অ্যানোরেক্সিয়া), আবার কখনো অতিরিক্ত খাওয়া (বুলিমিয়া), যা মানসিক চাপ থেকে জন্ম নেয়।
* ঘুমের ব্যাধি: দুঃস্বপ্ন দেখা, ঘুমাতে ভয় পাওয়া, মাঝরাতে ঘন ঘন জেগে ওঠা বা অতিরিক্ত ঘুমানো।
* ভাষা ও শেখার সমস্যা: অনেক শিশু পড়তে বা লিখতে শিখতে দেরি করে, বা বারবার ভুল করে। এটি মানসিক বিকাশজনিত সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
* একাকিত্ব ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতা: বন্ধু না থাকা, খেলায় অংশ না নেওয়া, পরিবার থেকেও দূরে থাকতে চাওয়া।
* ভীতি (ফোবিয়া): অন্ধকার, উচ্চতা, পানি, পশু বা নির্দিষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে অকারণ ভয় পাওয়া।
* মাদক ও আসক্তি প্রবণতা: কিছু কিশোর বয়সী শিশু নেশাজাতীয় দ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়ে, যা মানসিক সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
* শারীরিক লক্ষণে মানসিক সমস্যা : মাথা ব্যথা, বুক ধড়ফড় করা বা শ্বাসকষ্টের মতো শারীরিক সমস্যা, কিন্তু আসল কারণ মানসিক চাপ।
সমস্যার প্রভাব
শিশুদের মানসিক সমস্যার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে।
পড়াশোনায় মনোযোগ হারায়, ফলে ফলাফল খারাপ হয়।
বন্ধু বা পরিবারের সাথে সম্পর্ক দুর্বল হয়ে যায়।
আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে ভবিষ্যৎ জীবনে নানা জটিলতা তৈরি হয়।
অনেক সময় প্রাপ্তবয়স্ক বয়সে গুরুতর মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
বাস্তব উদাহরণ
ঢাকার এক কিশোরীর ঘটনা: নিয়মিত ক্লাসে ভালো করতে না পারায় সে হতাশ হয়ে পড়ে এবং একসময় আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে মানসিক চিকিৎসা দেওয়া হলে সে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে।
গ্রামের এক শিশুর ঘটনা: বাবা-মায়ের ঝগড়ার কারণে সে একা থাকতে শুরু করে, কারো সাথে কথা বলত না। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে কাউন্সেলিং দেওয়া হলে তার অবস্থার উন্নতি হয়।
সমাধান কীভাবে সম্ভব
> পরিবারে * সন্তানকে ভালোবাসা ও সময় দেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। * তাদের কথা মন দিয়ে শোনা এবং গুরুত্ব দেওয়া। * পরিবারে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখা।
> বিদ্যালয়ে * বিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শদাতা নিয়োগ করা। * শিক্ষার চাপ কমিয়ে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে উৎসাহ দেওয়া। * সহপাঠীদের দ্বারা অপমান প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া।
> সমাজ ও রাষ্ট্রে * জাতীয় পর্যায়ে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক নীতি গ্রহণ। * গণমাধ্যমের মাধ্যমে সচেতনতা তৈরি। *:শিশুদের জন্য বিশেষ চিকিৎসা কেন্দ্র ও প্রশিক্ষিত মনোবিজ্ঞানী নিয়োগ।
> ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা * শিশুদের ধৈর্য, সহমর্মিতা, নৈতিক মূল্যবোধ শেখানো। * ধর্মীয় অনুশাসন মানসিক স্থিতিশীলতা আনে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত জাতীয় বাজেটের পরিমাণ ৭ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৪১ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা। যা সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য খাতের জন্য বরাদ্দ। তবে এর মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ প্রায় ০.৪৪–০.৫০ শতাংশ, যা মোট বাজেটের কাছে নগণ্য। মোট মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দিতে সক্ষম ডাক্তার সংখ্যা তেমনই হতাশাজনক। বাংলাদেশে রয়েছে মাত্র ২৭০ জন সাইকিয়াট্রিস্ট, যা প্রতি ১,০০,০০০ জনের মধ্যে ০.১৬ জন। এমনিই পরামর্শদাতা বা সাইকোলজিস্ট সংখ্যা অত্যন্ত সীমিত। গ্রামাঞ্চলে এই ক্ষমতা আরো কম।
পর্যালোচনা করলে দেখা যায়—অফুরন্ত মানবসম্পদ সংকট, পরিষেবার ঘাটতি এবং অগ্রাধিকারহীন বাজেট বরাদ্দ মিলিয়ে বাংলাদেশের শিশু-কিশোর মানসিক স্বাস্থ্য একটি গুরুতর ঝুঁকির দিক প্রদর্শন করছে।
বিশ্লেষণ ও প্রভাব
এই সংখ্যাগুলো অসংখ্য ভাবনার জন্ম দেয়:
১. মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতি স্পষ্ট: ভৌগলিকভাবে এবং সংখ্যাগতভাবে সেবা অবিকল, বিশেষ করে গ্রামবাংলায় একেবারেই যেন নেই বললেই চলে।
২. অগ্রাধিকারহীন বাজেট বরাদ্দ: মোট স্বাস্থ্য বাজেটেই মানসিক স্বাস্থ্যের অনুপস্থিত অংশ বা চিরকালীন ‘বাই ডিফল্ট’ অবহেলিত বিষয়।
৩. ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ: শিশু এবং কিশোরদের মানসিক সমস্যা উপেক্ষা করা মানে ভবিষ্যতের এক অস্থির, অস্থিতিশীল সমাজের সৃষ্টি।
হোমিও সমাধান
শিশুদের মানসিক সমস্যা যেমন—উদ্বেগ, ভয়, অতিচঞ্চলতা, একাকিত্ব বা মানসিক অবসাদ—অধিকাংশ সময়ই পরিবার ও পড়াশোনার চাপ থেকে জন্ম নেয়। প্রচলিত চিকিৎসায় এগুলো অনেক সময় দীর্ঘস্থায়ী ওষুধের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। কিন্তু হোমিওপ্যাথি একটি প্রাকৃতিক ও নিরাপদ চিকিৎসা পদ্ধতি, যা শিশুর মানসিক অবস্থাকে ভেতর থেকে সুষম করে তুলতে সাহায্য করে।
হোমিওপ্যাথিক ঔষধ শিশুর মানসিক গঠন, স্বভাব ও উপসর্গ অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। যেমন—ইগ্নেশিয়া, কফিয়া ক্রুডা, ক্যালকেরিয়া ফসফোরিকা, স্ট্রামোনিয়াম, টিউবারকিউলিনাম, নাক্স ভূমিকা, সালফার। অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চিকিৎসকগণ প্রাথমিকভাবে এই সব ঔষধ লক্ষণের উপর ভিত্তি করে নির্বাচন করে থাকেন। তাই ঔষধ নিজে নিজে ব্যবহার না করে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আর হোমিওপ্যাথির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি শিশুদের শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সক্রিয় করে তোলে এবং দীর্ঘমেয়াদে মানসিক ভারসাম্য তৈরি করে। এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে, যা শিশুদের জন্য বিশেষভাবে নিরাপদ।
পরিশেষে বলতে চাই, শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য কোনোভাবেই অবহেলার বিষয় নয়। শারীরিক অসুস্থতা যেমন সহজেই চোখে পড়ে, মানসিক সমস্যা ততটা দৃশ্যমান নয়। কিন্তু এ সমস্যার প্রভাব অনেক বেশি দীর্ঘমেয়াদি এবং ভয়াবহ হতে পারে। একটি শিশুর আত্মবিশ্বাস, শিক্ষাজীবন, সামাজিক সম্পর্ক এমনকি ভবিষ্যতের কর্মদক্ষতা—সবই নির্ভর করে তার মানসিক সুস্থতার ওপর। তাই শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যকে হালকাভাবে নিলে শুধু একটি পরিবার নয়, গোটা সমাজ ও জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আজকের শিশুরাই আগামী দিনের নেতা, চিকিৎসক, শিক্ষক ও উদ্ভাবক। যদি তাদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষিত না হয়, তাহলে আমরা এক অস্থিতিশীল ও অনিরাপদ ভবিষ্যতের মুখোমুখি হব। অথচ বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার অবস্থা অত্যন্ত সীমিত—বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সংখ্যা কম, বাজেট বরাদ্দও নগণ্য। এ কারণে শিশু-কিশোরদের মানসিক সমস্যা প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে না, অনেক সময় জটিল আকার ধারণ করে।
এখনই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো জরুরি। পরিবার থেকে শুরু করে বিদ্যালয়, গণমাধ্যম থেকে নীতিনির্ধারক—সবারই সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে। বাবা-মাকে সচেতন হতে হবে সন্তানের আচরণগত পরিবর্তন সম্পর্কে; শিক্ষককে প্রশিক্ষিত হতে হবে শিক্ষার্থীর মানসিক সংকট বোঝার জন্য; এবং সরকারকে বাড়াতে হবে বাজেট ও বিশেষায়িত সেবার সুযোগ।
শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করা মানে কেবল একটি প্রজন্মকে বাঁচানো নয়—বরং পুরো জাতির জন্য সুস্থ, সৃজনশীল ও উৎপাদনশীল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা। তাই এখনই সময়, আমরা সবাই একসঙ্গে এগিয়ে আসি, যেন প্রতিটি শিশু বেড়ে উঠতে পারে সুস্থ, আনন্দময় ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে।
লেখক: কলাম লেখক ও গবেষক, প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।
পাঠকের মতামত:
- রাজবাড়ীতে ৭ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস
- পঞ্চগড় জুলাই স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন পঞ্চগড় সদর উপজেলা
- যশোরে খুলনা বিভাগের প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীর মতবিনিময় সভা
- টাঙ্গাইলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমী উদযাপিত
- ফরিদপুরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
- বাগেরহাটে ইয়াবাসহ মাদক কারবারি আটক
- পানিবন্দি হয়ে শতাধিক পরিবারের মানবেতর জীবন-যাপন
- ধামরাইয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব পালিত
- দিনাজপুরে প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের উদ্যোগে তৃতীয় দফায় বৃক্ষরোপণ
- নড়াইলে গ্রামের দুই পাড়ার মধ্যে ভয়ানক সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ৩০
- পাংশায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উদযাপন
- ফুলপুরে খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালিত
- আমার দেশ পত্রিকার কোটালীপাড়া প্রতিনিধির উপর যুবদল-ছাত্রদলের হামলা
- শ্যামনগরে সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম গ্রেপ্তার
- সালথা প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
- স্ত্রীকে তালাক দিয়ে ছেলেকে নিয়ে দুধে গোসল
- ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রেপ্তার
- ‘নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশকারীরা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয়’
- শিশুদের মানসিক সমস্যায় হোমিওপ্যাথি
- ঈশ্বরদীতে জন্মাষ্টমীতে মঙ্গল শোভাযাত্রা
- ‘এ দেশ সবার, এখানে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না’
- রাজারহাটে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালিত
- চাঁদা না পেয়ে ইতালি প্রবাসীর ওপর হামলার অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে
- নড়াইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
- সোনাতলায় পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি পালিত
- বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী : আনন্দে-বেদনায়
- ঠাকুরগাঁওয়ে সফল নারীরা পেলেন সম্মাননা ক্রেস্ট
- কাগজের নৌকা
- মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় মাসুদা বেগম বুলু
- ফুলপুরে খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালিত
- একুশের কবিতা
- দ্বিজেন্দ্রলাল রায়’র কবিতা
- বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস টি-টোয়েন্টি সিরিজ সিলেটে, দেখে নিন সূচি
- গৌরীপুরে প্রকৃতিতে শোভা ছড়াচ্ছে সোনালু ফুল
- সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু
- ধামরাইয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব পালিত
- 'যথাযথ প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ হয়ে বিদেশে গেলে কাজের অভাব হয় না'
- আমার দেশ পত্রিকার কোটালীপাড়া প্রতিনিধির উপর যুবদল-ছাত্রদলের হামলা
- সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট প্রাপ্তির অধিকারের স্বীকৃতি দিলো বাংলাদেশ
- ‘অসহায় নারীদের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের লক্ষ্য’
- কুমিল্লায় ট্রাক্টর খাদে, চালকসহ নিহত ৩
- পানিবন্দি হয়ে শতাধিক পরিবারের মানবেতর জীবন-যাপন
- এক কিশোর মুক্তিযোদ্ধার কথা
- ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪০৮ জন
- প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকের ৩৪ হাজার শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ