E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

টাঙ্গাইলে আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

২০২৫ ডিসেম্বর ০৪ ১৮:২১:১৪
টাঙ্গাইলে আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

সিরাজ আল মাসুদ, টাঙ্গাইল : অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এ বছর টাঙ্গাইলে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবার জেলার ১২টি উপজেলায় রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১,০২,০০০ হেক্টর।
১,০৪,৫৮৩ হেক্টর জমিতে  আমন চাষ হওয়ায়  লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এমন তথ্যই জানিয়েছে। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হতে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, জেলার ১২টি উপজেলায় রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১,০২,০০০ হেক্টর। তবে সরকারি প্রণোদনা ও উচ্চফলনশীল বীজের সহজলভ্যতার কারণে চাষাবাদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,০৪,৫৮৩ হেক্টরে। অগ্রহায়ণে জেলার সর্বত্র ধান কাটা ও মজুতের কাজ চলছে জোরেশোরে।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মোট চাষকৃত ভূমির প্রায় ৬৩ শতাংশ ইতোমধ্যে কাটা হয়ে গেছে, আর নতুন কাটা ধান মাড়াই ও শুকানোর ব্যস্ততা চলছে সর্বত্র। নাগরপুরসহ বিভিন্ন উপজেলার গ্রামগুলোর মাঠজুড়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। অনেক কৃষক দ্রুত কাটার জন্য কম্বাইন হারভেস্টারের মতো আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করছেন। তবে ভালো খড় পাওয়ার জন্য এখনও অনেক কৃষক হাতেই ধান কাটতে পছন্দ করেন।

কৃষকেরা জানান, আগের বছরগুলোতে এক বিঘায় ১৪–১৬ মণ ধান পেতেন। এ বছর সেই ফলন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮–২০ মণে যা কৃষকদের স্বস্তি এনেছে ।

ইরতা গ্রামের কৃষক শামীম হোসেন জানান, তিনি এ বছর দুই বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। “প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর কিছু ধান ঝড়া হয়ে যাওয়ার পরও আমি ১৮–২০ মণ পাওয়ার আশা করছি,”।

আরেক কৃষক মতিন মিয়া বলেন, সব কিছু মিলিয়ে ফলন ভালো হলেও ঝড়-বৃষ্টিতে বেশ ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টি আর দমকা হাওয়ায় অনেক ধান মাটিতে লুটিয়ে পরায় ক্ষতি হয়েছে । তারপরও সার,বীজ,কীটনাশকের খরচ বিবেচনায় নতুন ধান বিক্রি করে লাভ হবে বলেই আশা করছি।

নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এস. এম. রাশেদুল হাসান জানান, উপজেলায় রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩৫০ হেক্টর। তবে সরকারি প্রণোদনা ও উচ্চফলনশীল বীজের সহজলভ্যতার কারণে চাষাবাদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২০০ হেক্টরে।নিয়মিত মাঠ পর্যায়ের তদারকি, কৃষক প্রশিক্ষণ, আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি, উন্নত বীজ ব্যবস্থাপনা ও রোগবালাই নিয়ন্ত্রণে সচেতনতার কারণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন,ইতিমধ্যে ৯০ শতাংশ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে এবং হাতের কাজ ও যান্ত্রিক উভয় পদ্ধতিতে দ্রুতই এই প্রক্রিয়া এগোচ্ছে। বেশিরভাগ এলাকায় হাইব্রিড ও উচ্চফলনশীল জাতের ধান রোপণ করা হয়েছিল, আর স্থানীয় জাত চাষ হয়েছে অল্প কিছু জায়গায়। রোগবালাই কম হওয়ায় সব জাতেই ভালো ফলন হয়েছে ।

(এসএএম/এএস/ডিসেম্বর ০৪, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test