E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

সিপিএ সম্মেলনে গুরুত্ব পাবে লিঙ্গ বৈষম্য-মানবাধিকার

২০১৭ নভেম্বর ০১ ১৬:১০:৪১
সিপিএ সম্মেলনে গুরুত্ব পাবে লিঙ্গ বৈষম্য-মানবাধিকার

স্টাফ রিপোর্টার : কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়শনের মহাসচিব আকবর খান বলেছেন, ঢাকায় অনুষ্ঠিত সিপিএর সম্মলনে তরুণ সমাজকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে।

তিনি বলেন, সিপিএ ভুক্ত ৫২টি দেশের ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন জনসংখ্যার ষাট শতাংশই তরুণ। এ জনগোষ্ঠীর নানাবিধ সমস্যা যেমন লিঙ্গ বৈষম্য, মানবাধিকার ও মূল্যবোধের বিষয়গুলো সম্মেলনে প্রাধান্য পাবে। পরবর্তী প্রজন্মকে গড়ে তোলাই এ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য।

বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সিপিএ সম্মেলন সংক্রান্ত এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

বুধবার ঢাকায় এ সম্মেলন শুরু হলেও প্রথম দিন কোনো বৈঠক ছিল না। বৃহস্পতিবার কয়েকটি ছোট ছোট বৈঠকের মাধ্যমে এ সম্মেলনের কাজ শুরু হবে। মূল সম্মেলন হবে ৫-৮ নভেম্বর।

সিপিএ চেয়ারপারসন ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীকে তার পরিকল্পনা ও অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে মহাসচিব বলেন, সংসদীয় কমিউনিটির জন্য এ সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে রয়েছে ১৭ হাজার সদস্য। শতাধিক সংসদ যুক্ত রয়েছেন। কমনওয়েলথভুক্ত সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসবেন। যুব-সমাজদের কথা বলার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে এ সম্মেলনে। দেশের তরুণ সমাজের মধ্যে যাদের বয়স ২৯ বছরের নিচে তাদের নানাবিধ উদ্বেগ ও সমস্যাগুলো শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরা হবে। বাংলাদেশের পক্ষে ৫০ জন তরুণ সমস্যা ও উদ্বেগের জায়গাগুলো চিহ্নিত করে সম্মেলনে তুলে ধরবেন। কারণ বিশ্বেও মোট জনসংখ্যার ৬০ ভাগই তরুণ।

তিনি বলেন, জাতীয় সংসদে যারা প্রতিনিধিত্ব করেন ওই সব আইন প্রণেতাদের তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। তাদের মূল্যবান কথা শুনতে হবে। কারণ তারাই আগামীর নেতা এবং পরবর্তী নেতৃত্ব তারাই দেবেন।

মহাসচিব আরও বলেন, আগামী প্রজন্মকে সম্মান, মূল্যবোধ, আইনের শাসন, লিঙ্গ-সমতা, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, তরুণদের সম্পৃক্ততা এবং মানবাধিকারসহ অন্যান্য মূল্যবোধগুলোকে জানাতে হবে।

আকবর খান বলেন, ক্যারেবীয় দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো যেমন জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কিভাবে সমস্যাগুলোর সমাধান করা যায় সম্মেলনে সে বিষয়গুলোও গুরুত্ব পাবে।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার নারী সংসদদের বৈঠক শুরু হবে। এ বৈঠকের নিজস্ব ও নির্বাচিত চেয়ারপারসন আছেন, যিনি একজন মালয়েশিয়ান। এখানে নারীদের অংশগ্রহণ আরও ফলপ্রসূভাবে কিভাবে বাড়ানো যায় সেটা তুলে ধরা হবে। সংসদে নারী-পুরুষের সমতা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিতে আমরা বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, আমরা চাই সংসদে সংখ্যালঘুসহ অন্যদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হোক। বাংলাদেশের সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন রয়েছে, যা অত্যন্ত ইতিবাচক।

তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীদের কিভাবে মূল ধারায় নিয়ে আসা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হবে। এসব প্রতিবন্ধীরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের অংশ। সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র উচ্চ শ্রেণির কাছ থেকে এলে হবে না। ওই সব পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কাছ থেকেও আসতে হবে। তাই অন্তর্ভুক্তিতা, বৈচিত্র্যতার প্রতি সম্মান- এগুলো এ আলোচনায় অত্যন্ত গুরুত্ব পাবে।

সাম্প্রতিক আলোচিত রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এ সম্মেলনের ভূমিকা কী থাকবে জানতে চাইলে সিপিএ মহাসচিব বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ ও মানবিক বিষয়। আমার দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে, বিভিন্ন দেশ থেকে আগত সংসদ সদস্যরা এ বিষয়ে জানতে খুবই কৌতুহলি। এখানে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হবে না। আমাদের এজেন্ডায় এ ইস্যুটি নেই। তবে সিপিএ চেয়ারপারসন ও স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী এ বিষয়টি আনুষ্ঠানিক বক্তৃতায় তুলে ধরবেন। এখানে তাদের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরতে পারেন। সম্মেলনের নির্ধারিত বিষয়ে এটি নেই তবুও সিপিএর বিধান অনুযায়ী এ বিষয়টি শোনার ও প্রশ্ন উত্থাপনের সুযোগ থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে নাবিল আহমেদ ও তানভির ইমাম এমপি উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ০১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৪ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test