E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

‘স্কুলে মেয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার বেড়েছে’

২০২৩ সেপ্টেম্বর ৩০ ১৮:৪৯:০১
‘স্কুলে মেয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার বেড়েছে’

স্টাফ রিপোর্টার : স্কুলে স্বাস্থ্যসম্মত ওয়াশ ব্লক নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে মেয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতির হার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের যৌথ উদ্যোগে উদযাপিত হয় জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২৩। প্রধান অতিথি হিসেবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিং পুল গেট (দোয়েল চত্বর সংলগ্ন) থেকে র্যালির উদ্বোধন করেন। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।

ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, সরকারের সব উন্নয়ন পরিকল্পনায় কন্যা শিশুদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক থেকে স্নাতক পর্যন্ত ২.৫ কোটি কন্যা শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। ফলে কন্যা শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমেছে। স্কুলে স্বাস্থ্যসম্মত ওয়াশ ব্লক নির্মাণ করা হচ্ছে। যা কন্যা শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতির হার বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষাক্ষেত্রে জেন্ডার সমতা অর্জিত হয়েছে।

তিনি বলেন, কন্যা শিশুর উন্নয়নে বড় বাধা বাল্যবিয়ে। বাল্যবিয়ে বন্ধে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আইনের প্রয়োগ ও বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তাবায়ন করে যাচ্ছে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ আইন যুগোপযোগী ও বাল্যবিয়ে নিরোধকল্পে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে জাতীয়, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি রয়েছে। কন্যাশিশুদের গড়ে তুলতে হবে। তারা রাষ্ট্রের সম্পদে পরিণত হয়ে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের আয়োজনে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আজ রাজধানীর শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা একথা বলেন।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন, নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আক্তার ডলি, মরিয়ম আক্তার আইরিন, তাসলিমা ইসলাম মানহা ও শান্তা ইসলাম।

সভাপতির বক্তব্যে সচিব নাজমা মোবারেক বলেন, বাল্যবিয়ে, সামাজিক ও পারিবারিক কারণে একটি কন্যা শিশুর শিক্ষা ও উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত না হয়। ২০৪১ সালের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় কন্যা শিশুরা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে।

স্বাগত বক্তব্যে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি বলেন, কন্যা শিশুর জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সব কন্যা শিশুর শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে তিনজন কন্যাশিশু তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। তারা হলেন, রুম টু রিড-এর কিশোরী বন্ধু মরিয়ম আক্তার আইরিন, গুডনেইবারস বাংলাদেশ-এর তাসমিন ইসলাম সামিহা, এডুকো বাংলাদেশ-এর শান্তা আক্তার।

অনুষ্ঠানে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। দিবসকে কেন্দ্র করে প্রকাশিত পোস্টার এবং কন্যাশিশু-১৮ নামের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনও করা হয়।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৯ মে ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test