E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চান ইসি কর্মকর্তারা

২০২৪ অক্টোবর ২৯ ১৭:৪০:২০
নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চান ইসি কর্মকর্তারা

স্টাফ রিপোর্টার : অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিতের তাগিদে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চাইছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা। এ জন্য নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনকে একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছেন তারা।

ইসি কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার যৌক্তিকতা তুলে ধরে তারা জানান, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পূর্বশর্ত হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হলে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রার্থী বা রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনে বাধ্য করা। আর এ জন্য নির্বাচন কমিশনে দায়িত্বরতদের হাতে তাৎক্ষণিক শাস্তি বিধানের ক্ষমতা ন্যস্ত করা জরুরি।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের আচরণবিধি মানাতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিনের আগেই নির্বাচন কমিশনের প্রতি রাজনৈতিক দল তথা প্রার্থীদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মাঠপর্যায়ে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হলে সার্বক্ষণিক নিবিড় তদারকি ও আইন ভঙ্গের সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের এ বিষয়টি দেখভাল করার কথা। কিন্তু বাস্তবতা হলো নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত আচরণবিধি ভঙ্গ করার ঘটনা প্রত্যক্ষ করা সত্ত্বেও তাৎক্ষণিকভাবে তা প্রতিহত করার জন্য তাকে আইনি ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি।

কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনে যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনগণ মনে করেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। ফলে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের ইলেক্টোরাল ম্যাজিস্ট্রেসি দেওয়া প্রয়োজন। যাতে তারা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় তাৎক্ষণিক শাস্তির বিধান করতে পারেন এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারেন।

প্রস্তাবনায় আরও জানানো হয়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের ইলেক্টোরাল ম্যাজিস্ট্রেসি প্রদান করে আচরণবিধি তদারকিতে নিয়োজিত করা হলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা সহজ হবে। আরপিও প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচনী আচরণবিধি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি বিধিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে নির্বাচন কর্মকর্তাদের ইলেক্টোরাল ম্যাজিস্ট্রেসি প্রদান করতে পারে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি তদারকি করার জন্য চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে বা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিয়োগ করা যেতে পারে বলে জানায় সংস্থাটি।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ২৯, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

৩০ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test