E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

ঈদুল আজহায় রোডক্র্যাশ রোধে আহছানিয়া মিশনের ৯ সুপারিশ

২০২৫ মে ০৬ ১৭:৫১:৩২
ঈদুল আজহায় রোডক্র্যাশ রোধে আহছানিয়া মিশনের ৯ সুপারিশ

স্টাফ রিপোর্টার : সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় (রোডক্র্যাশ) প্রতিদিনই ঝরছে প্রাণ। গত ঈদুল ফিতরের ছুটিতে আগে ও পরে সারাদেশে ৮ দিনে ১১০ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩২ জন নিহত ও ২০৮ জন আহত হয় বলে তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বিআরটিএ-এর তথ্য বলছে, গত ঈদুল আজহার আগে ও পরে ১২ দিনে ২১৬ টি রোডক্র্যাশে ২১৫ জন নিয়ত ও ২৭৮ জন আহত হয়। দেশে রোডক্র্যাশরোধে বহু পদক্ষেপ নেওয়ার পরও কমছে না রোডক্র্যাশের ব্যাপকতা। তাই আসন্ন ঈদুল আজহায় রোডক্র্যাশ রোধে ৯ দফা সুপারিশ তুলে ধরেছে ঢাকা আহছানিয়া মিশন।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শ্যামলীতে ঢাকা আহছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টর আয়োজিত ‘সড়ক নিরাপত্তা জোরদারকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সভায় একটি সমন্বিত ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নসহ ৯ টি সুপারিশ তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইকবাল মাসুদ।

সুপারিশগুলো হলো

১। রোডক্র্যাশ এড়াতে ঈদের মত বড় উৎসবসহ সকল সময়ে সড়কে নিরাপদ গতি নির্ধারণ করতে হবে। এবং অতিসত্বর গতি নির্ধারণ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রণয়ন করতে হবে।

২। চালকদের কর্মঘন্টা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। যাতে চালকরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায়।

৩। ঈদযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়কে নছিমন, করিমন, টেম্পুসহ সকল প্রকার ব্যাটারিচলিত যানবাহন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি, অন্যান্য সড়কে ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করতে হবে।

৪। পরিবহনের পাশাপাশি পথচারী পারাপার ও তাদের নিরাপদে চলাচলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যেমন-ফুটপাত হকারমুক্ত করা, ফুটপাত ও ফুটওভারব্রীজ ব্যবহারে পথচারীদের উদ্বুদ্ধ করা, পারাপারের সময় মুঠোফোন ব্যবহার না করা এবং জেব্রাক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হওয়া ইত্যাদি বিষয়ে পথচারীদের সচেতন করতে হবে।

৫। ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেল চালক-আরোহী উভয়েরই মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়কে মোটরসাইকেলে জন্য আলাদা লেন করে দিতে হবে। এবং মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার করতে এ সংক্রান্ত ইনফোর্সমেন্ট গাইডলাইন প্রণয়ন করতে হবে।

৬। মেয়াদোর্ত্তীন গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন অপসারণ করতে হবে।

৭। নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে মোটরযান পরিচালনা না করা সংক্রান্ত বিধি-বিধান বাস্তবায়ন করতে হবে।

৮। যানবাহনে চালকসহ সব যাত্রীর সিটবেল্ট ব্যবহার সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রণয়ন করতে হবে। পাশাপাশি মোটরযানে (বিশেষ করে কার/জিপ/মাইক্রোবাসে) শিশু সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় এনে শিশুদের জন্য উপযুক্ত শিশু সুরক্ষিত আসন ব্যবস্থা প্রচলন সংক্রান্ত বিধি-বিধান জারি করতে হবে।

৯। সবশেষে, সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস এবং এ সংক্রান্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে সড়ক নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয় সাধনের জন্য একটি জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ গঠন করতে হবে।

এসময় ইকবাল মাসুদ আরো বলেন, ‘২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনে সড়কের নিরাপত্তা প্রাধান্য পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেটি হয়নি। অথচ আমাদের দরকার সড়ক নিরাপত্তা আইন, যেখানে পরিবহন ও চালকদের পাশাপাশি যাত্রী ও পথচারীসহ সবার সুরক্ষার বিষয়টিকে সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে।’

(পিআর/এসপি/মে ০৬, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০৭ মে ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test